Site icon Taaza Khobor (তাজা খবর)

Horrible experience of pizza from dark web by 3 brothers

Horrible experience of pizza from dark web

Horrible experience of pizza from dark web

Spread the news and knowledge

Horrible experience of pizza from dark web

“Pizza” শুনতেই মুখে পানি এসে যাই তাই না বন্ধুরা!! কিন্তু এই পিজ্জায় যদি ভয়ানক মৃত্রুর দেবতার সাথে দেখা করিয়ে আনে আপনাকে, তাহলে কেমন হয়!!
হাঁ বন্ধুরা আজকের ঘটনাটা ঠিক তেমনটাই, সাধের পিজ্জা কেমনে মৃত্রুর ফরোয়ানা নিয়ে এলো সেটাই এখন বলি।

আজকের ঘটনাটি ঘটেছে আসামের কোনো একটা জায়গায়, যাদের সাথে ঘটেছে তারা ছিল কাকাতো ভাই। হয়েছিল এমনটা,একদিন রাহুলের মা-বাবা বাড়িতে ছিল না ,সে বাড়িতে একা-একা বিরক্ত হচ্ছিলো, আর তখনি তার কাকাতো(cousin) ভাইরা আসে তাকে সঙ্গ দিতে।

রাহুল খুব খুশি হয়ে যাই তার কাকাতো ভাই “নয়ন” আর “দেবকে” দেখে। তারা তিনজন মিলে বেশকিছুক্ষন নানা খেলাধুলা করে , কিছুক্ষন টিভি দেখে প্লেস্টেশনে গেম খেলে তারপর তারা আবার কেমন যেন একঘেয়ে বিরক্ত হতে শুরু করে। তখনি ভাগ্যের বিড়ম্বনায় ভয়ঙ্কর পিজ্জার পথ খুলে যাই , আরে বস সবই বলবো খুলে।

রাহুলের বড়ো কাকাতো ভাই নয়ন তাদের বলে তারা ডার্ক-ওয়েব এক্সপ্লোর করতে পারে। নয়নের কথা শুনে প্রথমে “রাহুল” ও “দেব” খুব ভয় পেয়ে যাই ,যেটাই স্বাভাবিক কারণ ডার্ক-ওয়েব সম্বন্ধে সবার ধারণায় এক। কিন্তু “নয়ন ” এর বক্তব্য ছিল VPN লাগিয়ে ঠিক ঠাক চালালে ভয় এর ব্যাপার নেই তাই “রাহুল” আর “দেব”ও পরে তার সাথে একমত হয়ে যায়। (Horrible experience of pizza from dark web)

Horrible experience of pizza from dark web

অনেক সাবধানতার সাথে তিন ভাই ডার্ক-ওয়েব এ ঢুকলো। বেশ কিছুক্ষন তারা ডার্ক-ওয়েব এক্সপ্লোর করলো ,কিন্তু তেমন কিছু একটা আপত্তিজনক কিছু পেলো না তারা ,যেমনটা তারা শুনেছিলো। তারপর হঠাৎ “নয়ন” বলে উঠলো তার তো ক্ষিদে পেয়েছে ,বাকিদের পেয়েছে কিনা সে জিজ্ঞেস করলো। তখন তারাও বললো হা, আর তখনি অবাক এক কান্ড ঘটলো। ডার্ক-ওয়েবের একটা সাইট থেকে পপ-আপ নোটিফিকেশন আসে pizza ডেলিভারির।

তারা সবাই ভাবে হয়তো কোএন্সিডেন্স , কিন্তু ব্যাপারটা তাদের কাছে অনেক কৌতূহলের ছিল এতোদিন যেখানে তারা সাধারণ স্টোরে গিয়ে পিজ্জা খেতো, সেখানে আজকে ডার্ক-ওয়েবের পিজ্জা(pizza) খাওয়ার একটা সুযোগ এসেছিলো তাদের কাছে। এটা তাদের কাছে খুব মজাদার ছিল সবাইকে বলবে যে তারা ডার্ক-ওয়েবের পিজ্জা(pizza) খেয়েছে। কিন্তু সন্দেহ এই ছিল যে এটা কোনো স্ক্যাম না তো !!, আসলে কি ডার্ক-ওয়েব থেকে পিজ্জা আসবে ??

তাদের একটু ভয়ও করছিলো , কিন্তু শেষমেশ রাহুল মানে যার ল্যাপটপ ছিল তার অনুমতিতে তারা পিজ্জা অর্ডার করেই দিলো , কিন্তু এড্রেস(address ) তারা দিয়েছিলো পাশের একটা লোকাল কমন লোকেশন , যেন সেখান থেকে তারা পিজ্জা নিয়ে আসতে পারে আর কেউ বাড়িও চিনতে পারবে না। বস বুদ্ধি তো অনেক লাগিয়েছিল বলতে হবে,তাও পড়ে গেলো বিপদে , ঠিক কিভাবে পড়লো সেটাই বলছি এখন।

Horrible experience of pizza from dark web (image credit pinterest)

পিজ্জা(pizza) অর্ডার দেয়ার পর তারা তাদের মতো অন্য কাজে লেগে পড়ে , আর সত্যি বলতে বেশি আসাও ছিল না যে ডার্ক-ওয়েব থেকে পিজ্জা(pizza) আসবে। কিন্তু একটু পর একটা unkhown প্রাইভেট নম্বর থেকে ফোন আসে, বলা হয় পার্সেল আছে ,কিন্তু রাহুলরা যে এড্র্রেস দিয়েছিলো সেখানে না এসে , ডেলিভারি বয় তার পাশের নির্জন পরিত্যক্ত পুরোনো বিল্ডিংয়ের সামনে আসতে বলে। রাহুল ও তার ভাইয়েরাও ভাবে ঠিক আছে তাতে আর কি , তারা মাস্ক পড়ে পার্সেল আনতে চলে যায়। একজন বাইকার কালো জামা পড়ে স্বাভাবিক ডেলিভারি বয়ের মতোই ছিল, ডেলিভারি দিয়ে বললো,” স্যার ৫ ষ্টার রেট দিয়ে দেবেন ” ।

রাহুল ও তার ভাইয়েরা বেশ খুশি ছিল তারা পিজ্জা নিয়ে car এ এসে বসে পড়লো আর পিজ্জা(pizza) খাওয়া শুরু করলো। পিজ্জাটা দেখতে বাকি সব পিজ্জা থেকে খুব আলাদা ও সুন্দর ছিল , আর খেতে এতো সুস্বাদু ছিল যে তারা নির্বাক হয়ে পড়েছিল। তখনি হঠাৎ ডেলিভারি বয়টা গাড়ির উইন্ডো গ্লাস এ নক করে , আর বলে সে নাকি ফ্রি কুকিজ দিতে ভুলে গেছিলো যেটা পিজ্জা কোম্পানির পলিসি।

৩ ভাই ভাবে আরে সাবাশ আজকের দিনটাই ভালো, এতো ভালো পিজ্জা(pizza) এলো তাও আবার ডার্ক-ওয়েব থেকে,সাথে ফ্রি কুকিজ , সোনায় সোহাগা ,কিন্তু এটাই যে একটু পর তাদের কাল হতে যাচ্ছিলো সেটা তাদের জানা ছিল না। ফ্রি কুকিজ এর প্যাকেট যখনি তারা খুলে তারপর সব অন্ধকার , তারপরের কোনো কিছুই মনে নেই তাদের, বস, তাদের এমন ট্রান্সফরমেশন হলো যে!!, গাড়ি থেকে সোজা যমের দুয়ারে পোঁছে গেলো ৩ ভাই ।

বলছি বুঝিয়ে , কুকিজ এর প্যাকেট এর প্যাকেট খোলার পরেই একটা ধোঁয়া তাদের পুরো গাড়ি ঘিরে ফেলে আর তারা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তারপর যখন জ্ঞান ফিরে , দেখতে পায় তারা একটা হল ঘরে ছিল , যেখানে প্রচন্ড একটা দুর্গন্ধ আসছিলো আর চারদিকে পিজ্জা পড়ে আছে।

৩ ভাইয়েরই হাত-পা বাঁধা ছিল। তারা তখন বুঝতে পারে এগুলো ওই ডেলিভারি বয়েরই কাজ, চারদিকে তো আছে পিজ্জা(pizza) তাহলে এই ভয়ানক দুর্গন্ধটা কোথা আসছিলো এটা ভাবতে ভাবতেই রাহুলের চোখে পড়ে তার ডানদিকে থাকা ট্রান্সপেরেন্ট পর্দা দেয়া ঘরটার দিকে।

এইবার তারা ৩ জনই ভালো করে সেইদিকে তাকাই , তখনি হঠাৎ পর্দাটা খুলে বেরিয়ে আসে ওই পিজ্জা ডেলিভারি বয়। আর সেই রুম এর দৃশ্য দেখে রাহুল ও তার ভাইদের চোখ ফাটার উপদ্রব হয়, এ কেমন দৃশ্য, বড়ো -বড়ো হুক দিয়ে ঝোলানো আছে মানব শরীর , কারো মাথা নেয়,কারো হাত নেয়, কারো বা পা। (Horrible experience of pizza from dark web)

Horrible experience of pizza from dark web( image credit pinterest)

এই দৃশ্য দেখে যতটা অবস্থা খারাপ হয় নি , তার চেয়ে অবস্থা খারাপ হয় ডেলিভারি বয় এর কথা গুলো শুনে। সে বলে একটু আগে রাহুল ও তার ভাইরা যে পিজ্জা খেয়েছে সেটা নাকি ঝোলানো বডিগুলো দিয়েই বানানো, তাই জন্য নাকি খেতে এতো ভালো ছিল।

আর যাদের নাকি পিজ্জা পছন্দ হয় পরের পিজ্জায় তারাই হয় রেসিপির মঈন ইনগ্রেডিয়েন্ট। মানে কি আর বলবো, পিজ্জা ডেলিভারি বয়টা আসলে ছিল একটা পাগলাটে সাইকো কিল্লার(killer ), সে সাধারণ সমাজে থাকার যোগ্য ছিল না।

সাইকো কিল্লার এর এবারের পিজ্জার জন্য meat ছিল রাহুল আর তার দুই ভাই , কিন্তু তাদের ভাগ্য ভালো ছিল কারণ সেই দিনই পুলিশও ওই কিল্লার এর গোপন খবর পেয়েছিলো আর কিল্লার রাহুলদের মারার আগেই পুলিশ তাদের বাঁচিয়ে নেয়।

পুলিশ নাকি রাহুলদের জানায় এই “পিজ্জা সাইকো কিল্লার” এর প্রথম শিকার ছিল তার পুরো পরিবার। রাক্ষসটা নিজের পরিবারকেই মেরে তাদেরকেই পিজ্জা বানিয়ে দিয়েছিলো। সত্যি!! ভাবা যাই !!

এই কাহিনীর সত্যতা তাজাখবর যাচাই করে নি , কিন্তু এটা ঠিক যে এইরকম ঘটনা ডার্ক-ওয়েবে হয়ে থাকে বলে অনেকেই বলে । (Horrible experience of pizza from dark web)

More You can read:

https://taazakhobor.in/haunted-theatre-of-pune-2025/

https://taazakhobor.in/horrifying-experience-of-himachals-cursed-and-horrifying-family/

https://taazakhobor.in/silence-of-the-haunted-truck-by-the-donkey/

https://taazakhobor.in/mystery-of-apartment-no-23-and-dennis-nilsen/

https://taazakhobor.in/loch-ness-monster-mystery/

https://taazakhobor.in/most-horrible-clown-serial-killer/

https://taazakhobor.in/dna-test-that-have-recognized-dead-body-after-4-years/

Exit mobile version