Haunted Theatre of Pune 2025
আজকের কাহিনীটি হচ্ছে পুনের ভুতিয়া সিনেমা হল নিয়ে। পুনেতে ৯০ থেকেও অধিক থিয়েটার থাকলেও একটা এমন থিয়েটার আছে যেখানে সকালে যেতে তেমন ভয় না পেলেও রাতে তো কোটি টাকা দিলেও কেউ যাবে না বস। কিভাবে এই থিয়েটারটা ভুতিয়া হলো সে সব কিছু খুবই ইন্টেরেস্টিং আর ভয়ানকও , সবই বলবো সাথে থাকো , পড়তে থাকো, মেয়েবন্ধুর মতো মাঝ পথে রেখে চলে যেও না তাহলেই হবে।
প্রথমে থিয়েটারের নাম বলে দি,”ভিক্টোরি” থিয়েটার। এটা পুনেতে অবস্থিত এমন একটা থিয়েটার যেটা রাতের বেলায় তো ভয়ানক দেখাই সাথে দিনেও খুবই আতঙ্কে দিন কাটাই সেখানকার লোকজন। দিন হোক আর রাত থিয়েটারের আশপাশের এলাকা সবসময় সেই সমানে অন্ধকার থাকে ,যদি কেউ খুব সাহস দেখিয়ে সেই থিয়েটারে মুভি দেখতে যায় ,তাহলে সে তো বস অনেক সাহসী। (Haunted Theatre of Pune 2025)
এই থিয়েটারে যেই আসতো তার সাথেই কিছু না কিছু খুব ভয়ানক অস্বাভাবিক কিছু হতো। যেমন অনেকে বলে মুভি দেখার সময় খালি থিয়েটারে কে যেন নীচ থেকে তাদের পা টানে। অনেকে আবার নানা রকম আওয়াজ শুনতে পায় , যেমন চলছে কোনো দুঃখের সিন ,সেখানে পেছন থেকে রহস্যময়ী অট্টহাসির আওয়াজ ভেসে আসে, কখনো হাসির দৃশ্যে ভয়ানক কান্নার আওয়াজ!! (Haunted Theatre of Pune 2025)
ঠিক এমনি কিছু ঘটনা হয় নানীতালের বাসিন্দা শ্রেয়ার সাথে। বেচারী ঘুরতে এসেছিলো পুনে আর এইসব অনুভব করে গেলো। সেই যাই হোক। শ্রেয়া ঘুরতে ছোটকাল থেকেই খুব পছন্দ করতো। দেশ-বিদেশের নানা স্থান ঘুরার শখ ছিল তার , আর অনেক জায়গা ঘুড়েছেও।
আর শ্রেয়ার ঘোরার তালিকায় পুনেও ছিল। পুনে যাওয়ার আরেকটা কারণও ছিল তার অনেক বন্ধুরাও পুনে থাকতো। প্রথমে শ্রেয়া ভেবেছিলো পুনেতে হয়তো তেমন ছিল সে দেখতে এক্সপ্লোর করতে পারবে না। কিন্তু পুনেতে নেমেই সে বুজতে পারলো আসলে পুনে অনেক সুন্দর আর কালারফুল।
শ্রেয়া ও তার বুন্ধুরা সন্ধেবেলা অবধি খুব মজা করে ও ঘোরাঘুরি করে , তারপর শ্রেয়া হঠাৎ বলে “ভিক্টোরি” থিয়েটারে গিয়ে একটা মুভি দেখা হোক। এই কথা শুনেই শ্রেয়ার সব বন্ধুরা খুব গাবড়ে যায়। শ্রেয়া জিজ্ঞেস করে তাদের কোনো সমস্যা আছে নাকি , কিন্তু ভূতুড়ে ব্যাপারটা শ্রেয়াকে বললে সে যদি তাদের ওপর হাসে , তাই কেউ শ্রেয়াকে কিছু বলে না।
কিন্তু শ্রেয়ার সাথে “ভিক্টোরি” থিয়েটারে কেউ যেতে রাজি হয় না , সে একা একাই সেখানে চলে যায়। শ্রেয়া যখন সেখানে পোঁছায় চারদিক ছিল অন্ধকার মনেই হচ্ছিলো না যে থিয়েটার খোলা আছে , টিকেট বিক্রেতাও অবাক , কারণ এই ভুতুড়ে থিয়েটারে রাতের বেলাতে তো কেউ আসেই না।
যাই হোক শ্রেয়া উৎসাহের সাথে মুভি দেখতে থিয়েটারে ঢুকে পড়ে। কিন্তু থিয়েটারে ঢুকে শ্রেয়া অবাক হয়ে যায় কারণ সে বাদে আর কেউই ছিল থিয়েটারে। সে ভাবে যাই হোক সে একাই আনন্দ করবে।
কিন্তু আনন্দ তখন সাজায় পরিণত হয় যখন কিছুক্ষন পর শ্রেয়ার মনে হতে থাকে সে ছাড়াও থিয়েটারে কেউ না কেউ আছে , কিন্তু সে ঐসব না ভেবে মুভি দেখতে থাকে। কিন্তু একটু পর মুভিতে হঠাৎ যখন একটা হাসির দৃশ্য চলছিল পিছন থেকে ভয়ানক একটা কান্নার আওয়াজ ভেসে আসে , শ্রেয়া ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে কিন্তু ভাগ্যক্রমে তখনি মুভির ইন্টারভাল হয়ে যায় আর সব আলো জ্বলে ওঠে। শ্রেয়া দেখে পিছনে কেউ নেয়। শ্রেয়া ভয়ে ভয়ে একটু বাইরে আসে আর ভাবতে থাকে হয়তো সেটা তার কল্পনা হবে।
তারপর ইন্টারভাল শেষে শ্রেয়া আবার থিয়েটারে ঢুকে এবার সিটের দিকে যাওয়ার পথে সে ৪টা লোককে পিছনের সিটগুলোতে বসে থাকতে দেখে। শ্রেয়া ভাবে এরাই হয়তো পেছন থেকে ঐসব আওয়াজ গুলো করছিলো ,তাই শ্রেয়া তাদের কাছে যায় এই বলতে তারা যেন আওয়াজটা একটু কম করে।
কিন্তু কাছে যেতেই শ্রেয়া যা দেখে সেটা তার হোঁশ উড়িয়ে দেয় , সে হাঁউমাঁউ করে চিৎকার করতে করতে থিয়েটার থেকে বেরিয়ে পড়ে। শ্রেয়ার মতে ,সে যাদের দেখেছিলো তারা কেউই মানুষ ছিল না, কারণ সব কজনেরই মুখ ছিল পোড়া , কারো হাত , কারো পা কাঁটা ছিল , পড়ছিলো রক্ত। মানতে হবে বস শ্রেয়ার সাহস আছে , শ্রেয়ারর জায়গায় আপনি আমি হলে হয়তো ওখানেই ঢের হয়ে যেতাম।
শ্রেয়া যখন এইসব কথা বাইরে এসে চোকিদারকে বলে সে কিন্তু খুব স্বাভাবিক ছিল যেন সে এইসব কিছু আগেই দেখেছে অনেকবার। চোকিদার শ্রেয়াকে বলে “ভিক্টোরি” থিয়েটারের ইতিহাস ১০০ বছর পুরোনো ইংরেজদের আমলের।ইংরেজরা আসলে এখানে তাদের মনোরঞ্জন করতো। আর হ্যা সাধারণ ভারতীয়দের সেই আমলে “ভিক্টোরি” থিয়েটারে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল, শুধু তারাই যেতে পারতো যাদের ইংরেজরা মনোরঞ্জনের জন্য অত্যাচার করার জন্য নিয়ে যেতে চাইতো। এইসকল বিষয় মাথায় রেখে একজন দেশপ্রেমী ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা “ভিক্টোরি” থিয়েটারকে ইংরেজ অধিকারী সমেত বোমা দিয়ে উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা বানান , আর সেটা সফলও হয়।
ঐজন্য শ্রেয়া যাদের দেখেছিলো তারা সবাই জ্বলন্ত অবস্থায় ছিল ,তারাও ওই ইংরেজদের মধ্যেই কয়েকজন হবে। আসলে যে যাই কিছুই বলুক না কেন , কোথাও একসাথে অনেকগুলো লোকের অস্বাভাবিক দুঃখত মৃত্রু হলে সেই জায়গাটাতে কিছু না কিছু একটা কালো ছায়া সব সময় অনুভব তো করাই যাই , আপনাদের কি মতামত , কমেন্ট এ জানাবেন।
More you can read:
https://taazakhobor.in/cyber-crime-thriller-movie-100/
https://taazakhobor.in/most-horrible-clown-serial-killer/
https://taazakhobor.in/apocalypse-the-dancing-epidemic-never-solved-mystery/
https://taazakhobor.in/horrifying-experience-of-himachals-cursed-and-horrifying-family/
https://taazakhobor.in/maddock-horror-universe-upcoming-movies/