Loch Ness monster mystery
আজকে আমরা এমন এক সমুদ্রি দানব নিয়ে আলোচনা করবো যা ১৯ শতাব্দীতে অনেক প্রচলিত ছিল, এই রাক্ষসটা শুধু পানিতেই থাকতো আর লোককে ভ্রমান্নিত করতেও মাহির ছিল, আমরা যার কথা এতক্ষন বলছি সেটা The Loch Ness Monster অথবা ঝিলের রাক্ষস নামে পরিচিত। স্কটিক্স এর কাহানিতে The Loch Ness Monster এর কথা উল্লেখ পাওয়া যায়। এই দানবের নাম Loch Ness পড়ার কারণ দানবটি স্কোর্ডল্যান্ডের Loch Ness ঝিলে থাকতো বলে মনে করা হতো।
Loch Ness 56 km2 (22 sq mi) জায়গা জুড়ে অবস্থিত একটা ঝিল। প্রথমবার ১৯৩৩ সালে এই Loch Ness Monster টাকে প্রথম দেখা যায়। কিছু ছবি সেসময় ব্যাপক ভাইরাল হয় যেখানে দেখা যাচ্ছিলো একটা উঁচু ও লম্বা গর্দানের একটা জীব ঝিলে দেখা মেলে। তারপর সময়ে সময়ে নানা লোক দাবি করতে থাকে তারা ঝিলে বিশাল দানব আকৃতির জীব দেখতে পেয়েছে।
এটা এমন একটি অজানা রহস্য যেটা আজ পর্যন্ত সমাধান করার চেষ্টা করছে রিসার্চাররা। এই প্রাণীর গলাটা অনেক লম্বা হয়, এরা যখন জলের মধ্যে চলাচল করে তখন মনে হয় যেন অনেক বড় প্রজাতির কোনো সাপ যাচ্ছে। কিন্তু আসলে Loch Ness Monster আসলে ডাইনোসরের একটা বিরল প্রজাতি যেটা এখনো পৃথিবীর বুকে জীবিত আছে। লোকেদের মনে এই জীবের এতটা ভয় এসে গেছিলো যে তারা ঝিলের কাছে যেতেও ভয় পাচ্ছিলো। রহস্যজনক ব্যাপার এই যে Loch Ness Monster কখনো পুরোপুরি জলের বাইরেই আসে নি। কেউ কেউ ভাবে Loch Ness Monster একটা বন্য সাপ মাত্র, আবার কেউ কেই ভাবে এটা শুধুমাত্র লোকের কল্পনা (Loch Ness monster mystery)।
মনে করা হয় অনেক বছর আগে স্কটল্যান্ডে থাকা আদিবাসী সম্প্রদায় Loch Ness Monster এর মতো একই রকম দেখতে জীবকে পাথরে একেছিলো, যার অংশাবশেষ এখনো আছে। ধর্ম প্রচারক সেন্ট কলম্বাস তার প্রচার গ্রন্থে সর্ব প্রথম Loch Ness Monster এর কথা উল্লেখ করেন। সেন্ট কলম্বাস ৫৮৩ এড তে ধর্মের প্রচারের জন্য স্কটল্যান্ডে আসে। বলা হয় যে সেন্ট কলম্বাস যখন স্কটল্যান্ডে যাচ্ছিলো মাঝ পথে Loch Ness Monster তার শীর্ষদের ওপর হামলা করে দেয় (Loch Ness monster mystery)।
সেখানে নিজের শীর্ষদের বাঁচানোর জন্য সেন্ট কলম্বাস নিজের চমৎকারী শক্তি ব্যবহার করে ও ওই জীবটিকে জলে ফিরে যেতে বাধ্য করে। বিশাল ওই দানব নিজের সমস্ত হিংসা ভুলে যায় ও জলে ফিরে যায়, বলা হয় যে সে সময় দানবটি সেন্ট কলম্বাসকে কথা দিয়েছিলো যে সে মানুষদের এলাকায় এসে হামলা করবে না, তখন থেকে বহুবছর পর অবধি ওই দানবকে দেখা যায় নি আর। কিন্তু তারপর ১৯৩৩ এর দিকে Loch Ness যখন ব্রিজ বানানো হয় তখন আবার এক couple Loch Ness Monster কে দেখতে পাওয়ার কথা জানায় তারপর থেকে আবার Loch Ness Monster এর চর্চা শুরু হয়।
লোকের মধ্যে Loch Ness Monster এর জন্য উৎসাহ এতটা বেড়ে যায় যে একটা সার্কাস ঘোষণা করে যে Loch Ness Monster কে ধরতে পারবে তাকে মোটা অংকের পুরস্কার দেয়া হবে। আর তখন অনেক সংস্থা ও রিসার্চ গ্রুপ এই Loch Ness Monster কে নিয়ে খোঁজ করে, কিন্তু কেউ কিছুই খুঁজে পায় না ।
ধীরে ধীরে Loch Ness Monster এর কথা ঠান্ডা হতে থাকে, ঠিক সেই সময় ১৯৩৪ এর দিকে একটা ছবি প্রকাশিত হয় যেখানে Loch Ness Monster কে দেখা যাচ্ছিলো। কেউ কেউ বলছিলো Loch Ness Monster আসলে বহু কোটি বছর আগে বিলুপ্ত হওয়া Plesiosaur এর বংশধর। কিন্তু এটা আসলে সম্ভব ছিল না কারণ Plesiosaur শীতল রক্তের প্রাণী ছিল যা ঝিলের মতো ঠান্ডা জলে বাস করতো না (Loch Ness monster mystery)।
তারপর ১৯৬০ সালে ব্রিটিশ ইউনিভার্সিটি থেকে সোনার (sonar technology) টেকনিক এর মাদ্ধমে Loch Ness ঝিলে অভিযান চালানো হয় কিন্তু তারা কোনো প্রতক্ষ কোনো দানবাকৃতির প্রাণীকে ধরতেব্যর্থ হয় , কিন্তু তারা তারা জানায় ঝিলটিতে একটা বিশাল কিছু ছিল যা জলের নিচে বারবার নিজের জায়গা পরিবর্তন করছিলো। এটা থেকে একটা জিনিস পাক্কা ছিল Loch Ness ঝিলটিতে কিছু তো এমন আছে যা খুব রহস্যজনক।Loch Ness Monster কি আদো আছে নাকি এটা লোকের কল্পনা তা কারো জানা নেই। হয়তো হতে পারে সেন্ট কলম্বাসকে দেয়া কথা রাখার জন্য ওই রহস্যময়ী জীব কারো সামনে আসে না।
আপনাদের কি মত কমেন্টে জানান (Loch Ness monster mystery)।
More Visit: https://deepblogs.net/
More you can read:
https://taazakhobor.in/jigra-movie-review-2024/
https://taazakhobor.in/vicky-vidya-ka-woh-wala-video-movie-review-in-bengali/
https://taazakhobor.in/bhool-bhulaiyaa-3-official-trailer-review-in-bangla/
https://taazakhobor.in/top-best-durga-puja-mandap-to-visit-in-kolkata-2024/