Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer
একটা বাচ্চা তার ছোটবেলায় কি পরিমাণ আদর যত্ন পেয়েছে ও কি সংস্কার পেয়েছে সেটা তার ভবিষ্যত নিশ্চিত করে। কিন্তু ছোটবেলাই ঘটে যাওয়া জিনিসে কি ১১ বছরের কাউকে সিরিয়াল কিল্লার বানিয়ে দিতে পারে !!
মেরি বেল (Mary Flora Bell ) ১৯৫৭ সালের ২৬ মে Northumberland England এ জন্মায়। মেরি বেল এর মা “Elizabeth Bell ” যার ডাকনাম ছিল “”Betty” । Betty পেশায় ছিল একজন বেশ্যা। এই কারণে সে অনেকদিন তার বাড়িতে থাকতে পারতো না , আর মেয়ে মেরি বেলকে যেকোনো কারো সাথে একা রেখেই চলে যেত। মেরি বেল এর আগেও Bettyর আরেকটা বড়ো ছেলে ছিল, কিন্তু গর্ভ থেকে বেরোনোর পরই বেটটি (Betty) নাকি ডাক্তারকে বলেছিলো সদ্যোজাত সন্তানকে তার চোখের সামনে থেকে দূরে সরিয়ে নিতে, betty তাকে চাই না । Betty সব সময়ই নিজের সন্তানদের প্রতি এরম দায়িত্বহীন ছিল (Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer)।
Betty ট্রাভেলিং এর সময় “উইলিয়াম বিল্লি বেল” নামের এক আলকোহলিক ক্রিমিনাল মাইন্ডেড মানুষের সাথে দেখা করে। “Mary Flora Bell” এর জন্মের ১ বছর পরই Betty, উইলিয়ামের সাথে বিয়ে করে নেয়। আরে হ্যা বুজতেই পারছি আপনাদের মনেও same question , মেয়েদের টেস্ট শালা এমন কেন !!jokes a part, সে যাই হোক মুরগি নিজেই হালাল হতে চলে গেলে কে কিই বা করতে পারে।
এখন আসি Mary Flora Bell ও তার মা “Betty” র মদ্ধকার সম্পর্ক কেমন ছিল ?
ছোটবেলায় যখন “Flora Bell” বেথা পেতো তার মা betty তার কোনো খোঁজ খবর নিতো না , ওষুধ লাগিয়ে কেয়ার করতো না। “Mary Flora Bell” এর aunty “ঈশা”এসব কিছু লক্ষ্য করতো সে ভাবতো তার বোন “Betty” এগুলো ইচ্ছে করে করছে যেন “Mary Flora Bell” কোনো গভীর আঘাত পেয়ে একেবারে দুনিয়া থেকেই চলে যায়। আর এটা অনেকটা সত্যিও ছিল একবার “Betty”, মেরিকে 1st ফ্লোর থেকে ফেলে মারার চেষ্টা করে , কিন্তু ভাগ্য ক্রমে মেরি(Mary ) বেঁচে যায়, একবার স্লিপিং পিল খাবিয়ে মারার চেষ্টা করে, কিন্তু একজন মা কি করে এত নিষ্ঠুর হতে পারে !! (Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer)
“Betty” ছিল মায়ের নামে কলঙ্ক। সে একবার এক পাগল মহিলার কাছে মেরিকে (Mary ) বেঁচে দেয়ার চেষ্টা করে, আপনাদের সহ্যের সীমা তো তখন অতিক্রম হবে যখন জানতে পারবেন , শুধু সামান্য কিছু টাকার জন্য “Betty”, তার ৫ বছরের বাচ্চা মেয়ে “মেরির” ওপর সেক্সচুয়াল abuse করতে দিতো। প্রতিদিন নানা রকম লোক আসতো আর ওই ৫ বছরের মেয়েটার সাথে এইসব করতো ভাবা যাই !!, আর নিজের মা এইসবের পেছনে, সত্যি দুনিয়া খুব বিচিত্ত। এগুলোই ছিল যা ধীরে ধীরে মেরিকে killer এ পরিণত করেছে।
এইসকল কিছু মেরির মেন্টাল হেলথকে এফেক্ট করবে সেটা তো পাক্কা ছিল। আর সেটা ধীরে ধীরে সামনেও আসছিলো। “মেরি” স্কুলের বাচ্চাদের সাথে খুব অগ্গ্রেসিভভাবে ঝগড়া করতো আর অনেকবার “মেরি” অনেক বাচ্চাকে গলা টিপে মারার চেষ্টাও করে। মেরির আচরণ কখন কিরম হয়ে উঠে সেটা জানা খুবই কষ্টকর হয়ে উঠেছিল। মেরির ( “Mary Flora Bell” ) এরূপ আচরণের জন্য ধীরে ধীরে সবাই তার থেকে দূরে চলে যেতে থাকে। কিন্তু মেরির একটা বন্ধু ছিল সে ছিল “নরমা জয়েস বেল” (” NORMA JOYCE BELL” ) । নরমা মেরির পাশের বাড়িতে থাকতো। মেরি যত বড়ো হচ্ছিলো ততো তার রাগ ও ইমোশনাল মুড-swings গুলো বাড়ছিল, ১১ মে ১৯৬৮ মার্গারেট রোড এর ধারে ৩ বছরের একবাচ্চা, গায়ে রক্তে লোটপাট জামা।(Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer)
রাস্তার ধারে থাকা এক লোক বাচ্চাটাকে দেখতে পাই আর হাসপাতাল নিয়ে যায় , হোশ আসার পর বাচ্চাটা বলে মেরি ( “Mary Flora Bell” ) তার এই অবস্থা করেছে। সে আরো বলে মেরি তাকে গলা দাবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুলিশ ইনভেস্টিগেশন করলে মেরি ( “Mary Flora Bell” ) সব কিছু মানতে মানা করে দেয়। কিন্তু তারপর অনেক ছেলে-মেয়ের সাথেই মেরি এইরূপ আচরণ করতে থাকে , কিন্তু পুলিশ কিছু করতে পারছিলো না কারণ মেরি এখনো খুব কম বয়সী। তখন যদি পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিতো তাহলে হয়তো পরবর্তী সময় এতো জান যেত না।(Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer)
২৫ মে ১৯৬৮, “”মার্টেন” নামের খুব চঞ্চল একটা ছেলে , মার্গারেট এলাকার খালি পড়ে থাকা বিল্ডিং এ খেলছিল বাকি বাচ্চাদের সাথে , কিছুক্ষন খেলার পর হঠাৎ মার্টেন বাকিদের থেকে আলাদা হয়ে যায় , বাকি বাচ্চারাও তাদের খেলায় ব্যস্ত ছিল , হঠাৎ তারা দেখে “”মার্টেন” নিস্প্রান পড়ে আছে, চারদিকে লাল রক্ত , সব বাচ্চারা সেটা দেখে ভয়ে ঘাবড়ে উঠে , কিন্তু দুজন এমন ছিল যাদের চোখে কোনো ভয় ছিল না, তারা ছিল মেরি ( “Mary Flora Bell” ) ও “নরমা জয়েস বেল” (” NORMA JOYCE BELL” ) ।
৩১ জুলাই ১৯৬৮, ব্রায়েন হাওয়ি যে তখন শুধু ৩ বছর বয়সী ছিল। খেলতে নিয়ে যাবে বলে মেরি ও নরমা, ব্রায়েনকে এলাকার শুনসান পার্ককে নিয়ে যায়, ব্রায়েনের পরিবারের লোকজনও ভাবছিলো হয়তো বাচ্চা খেলতে গেছে এসে যাবে। কিন্তু যখন রাত অবধি ব্রায়েন বাড়ি ফিরে না তখন পুলিশসহ সবাই খুঁজতে বেরিয়ে যায়। পার্কের এক কোণে ব্রায়েনের লাশ পাওয়া যায়। এইবার পুলিশ বুজতে পারে বাচ্চাদের এই মরে যাওয়া বা আহত হওয়াটা কোনো দুর্ঘটনা হতে পারে না, আর ব্রায়েনের লাশ দেখে এটা নিচ্চিত ছিল যে কোনো ১১থেকে ১২ বছরের বাচ্চায় তাকে মেরেছে।
পুলিশ আশপাশের সকল বাচ্চাদের ইন্টারোগেট করে , কিন্তু প্রথম পর্যায়ে পুলিশ মেরি ও নরমা কে সন্দেহ করে না , কারন ১১ বছরের ছোট বয়সেও অত্যন্ত বুদ্ধির সাথে খুব সুন্দর কাহিনী বানিয়েছিলো তারা। কিন্তু ইন্টারোগেটের সময় একটা পর্যায়ে মেরি ওভার স্মার্ট হতে গিয়ে পুলিশকে এমন একটা কথা বলে বসে যেটা শুধু পুলিশ আর ক্রিমিনালই জানে।
এটা থেকে এইটুকু তো বোঝাই যাচ্ছে যে আপনি যখন একটা নতুন জানকে জন্ম দিচ্ছেন সেটাকে বড়ো করে তোলাও আপনারই দায়িত্ব, মেরির সাথে খুব ছোটবেলাতেই অনেককিছু হয়েছে , যা ওই ছোট মেয়েটা সহ্য করতে পারে নি যার দরুন সে এসব কিছু করে বসেছিল।
আসা করি আপনাদের আজকের ব্লগ(Mary Bell an 11 Years Old little Serial Killer) ভালো লেগেছে।
More Visit For educational content: https://deepblogs.net/
More read:
https://taazakhobor.in/silence-of-the-haunted-truck-by-the-donkey/
https://taazakhobor.in/maddock-horror-universe-upcoming-movies/
https://taazakhobor.in/mystery-of-apartment-no-23-and-dennis-nilsen/
APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery till now(2024)