APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery
সাল ১৯৬২ তাঞ্জানিয়া এক কৃষক তার জমির ফসল কেটে তার বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো তখনি হঠাৎ তার কানে একটা আওয়াজের প্রতিধ্বনি আসে ও সে খেয়াল করে যে সেটা সামনের পাহাড়ি থেকেই আসছিলো। কৃষক কিন্তু তখনো কিছুই বুজতে পারছিলো না , ধীরে ধীরে ওই আওয়াজ আরো বাড়তে থাকে। কৃষক যে বুজবে আওয়াজটা আসলে কার তার আগেই কৃষক আওয়াজের কব্জায় এসে হাসতে আরম্ভ করে দেয়।
হাসিটা এমন ছিল ও এতো ভয়ানক ছিল যে ওই হাসি কৃষকের প্রাণ নিয়ে ছাড়ে। টানা ১৫ মাস দিন-রাত হাসতে থাকে ওই কৃষক, শেষে হার্ট এটাক এসে মারা যায় সে। এমন কিই বা ছিল ওই পাহাড়ে ঐদিন, যা ওই কৃষককে হাসিয়ে হাসিয়ে নিয়ে গেলো নিজের সাথে (APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery)।
১৯৬২ সালে তাঞ্জানিয়ার এক সাধারণ সকাল ছিল আর এটা সেই সকাল ছিল, যেই সকালে কৃষক ওই আওয়াজ শুনতে পায় , ঐখানকার এলাকার তিন মেয়ে রোজকার মতো তৈরী হয়ে স্কুল চলে যায়, আর স্কুল ছিল ওই পাহাড়ির ওখানেই।
স্কুলে স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিদিনের মতো ক্লাস হচ্ছিলো, কিন্তু তখনি হঠাৎ ওই তিন মেয়ের মধ্যে একটা মেয়ে এমন কিছু বলে বসলো যা শুনে পুরো স্কুল হাসতে শুরু করে, সবাই হাসতে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়ে যে তারা হাসি থামাতেই ভুলে যায় , সবাই হাসতে হাসতে পেট চেপে মাটিতে গড়িয়ে পড়তে থাকে, কিন্তু হাসি থামছিল না। আর এই হাসিটাই শুনতে পেয়েছিলো পাশের জমিতে কাজ করা ওই কৃষক, যার ফলে সেও হাসতে শুরু করে।
আশপাশের অনেকলোক এই হাসি থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়, বরং তারাও তাদের সাথে হাসতে শুরু করে। এইভাবে এই হাসি একে একে ওই এলাকার ১৫টি স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে। এই হাসার ব্যাধিটার ভয়াবহতা চারদিকে এমনভাবে ছড়ায় যে লোক একজনের সাথে অন্যজন মজ-মস্তি করা ছেড়ে দেয়, এই ভয়ে যে তারাও না হাসতে শুরু করে (APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery)।
বাড়িতে মা-বাবারা ছেলে-মেয়েদের মারধর করেও দেখে যে হাসি থামছে কিনা, কিন্তু কোনো লাভ হচ্ছিলো না। কিন্তু ১৮ মাস পর একদিন হঠাৎ সবার হাসি থেমে যায়। ১৮ মাস অবধি কোনো কারণ ছাড়া টানা হাসতে থাকে সবাই , বিশ্বাস করা যায় !!
এতক্ষন আমরা যে ঘটনা শুনলাম সেটা তো সামান্য টুকু। এখন যে ঘটনা আমরা বলতে চলেছি সেটা আরো অনেকবেশি খতরনাক (APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery)।
সাল ১৫১৮, জুলাই এর সময় ছিল। ফ্রান্সের স্ট্রাসবোর্গ শহরের এক মহিলা এমন কিছু শুরু করে যা কখনো কেউ কল্পনাও করতে পারে নি। মহিলা ঘর থেকে বেরিয়ে রাস্তা অবধি যেতে থাকে ,ততক্ষন সব ঠিক ছিল। যেই সে মহিলা রাস্তায় তার পা রাখে, আপনাআপনি ওই মহিলা নাচতে শুরু করে, অদ্ভুত ব্যাপার ছিল সেখানে কোনো গানও চলছিল না। এই মহিলার নাম ছিল ট্রফি। ট্রফির এই রূপ নাচ দেখে সবাই হেসে ফেলে।
আর তাদের দেখে ট্রফি এবার নাচার সাথে হাসতেও থাকে। ট্রফি ঐভাবে সারাদিন হাসতে ও নাচতে থাকে ও রাতে খুব ক্লান্ত হয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। আবার কিছুক্ষন পর সকালে ট্রফি আবার নাচতে শুরু করে,গলা ফাটিয়ে ফাটিয়ে হাসতেও শুরু করে। ট্রফিকে দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিলো সে নিজের ইচ্ছেই এইসব করছিলো না। এইবার ভয়ানক বেপার ছিল , ট্রফির মতো আরো কিছু লোক তাদের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে ও তারাও হাসতে হাসতে নাচতে থাকে। ট্রফি ও বাকিদের এইভাবে নাচতে দেখে সেখানে ভিড় জমা হতে থাকে।
আর এক সময়ের পর পুরো ভিড়টাও ট্রফির সাথে সাথে নাচতে থাকে ও হাসতে থাকে। লোকের সংখ্যা বাড়তেই থাকে ১০, তারপর ২০, এক পর্যায়ে এই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৪০০ তে। এভাবে কিছুদিন পর নাচতে নাচতে মারা যাই ট্রফি, কিন্তু তার মৃত্রুর পরও এই ভয়ানক নৃত্যখেলা চলতেই থাকে। মাসের পর মাস কাটতে যাচ্ছিলো আর তারা থামার নাম নিচ্ছিলো না। ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ জন লোক মরেই গেছিলো কেউ হার্ট এটাক হয়ে তো কেউ গরমে। নগর কাউন্সিলর ভয়ঙ্করভাবে ঘাবড়ে যায়, কি যে করা যায় কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না তারা।
কাউন্সিল কর্তৃপক্ষভাবে লোক তো এইভাবে নাচ বন্ধ করছে না, কেন না গান-বাজনা বাজিয়ে তাদের বেশি করে নাচানো হোক তাহলে যদি কিছু একটা হয়। কিন্তু কাউন্সিল যা ভেবেছিলো সেরম কিছুই হলো না, হলো ঠিক উল্টো আরো বেশি লোক এই ভয়ানক নৃত্যখেলায় অংশ নিতে থাকে। কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ শেষে লোকের বাড়ির রুমের সামনে তালা দিতে শুরু করে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায়, যে প্রশাসনের লোকেরাও তাদের সাথে যোগ দিতে থাকে (APOCALYPSE The Dancing Epidemic Never solved Mystery)।
২ থেকে ৩ মাস পর এক সকালে হঠাৎ করেই থেমে গেলো এই ভয়ানক নৃত্যখেলা। কিন্তু কেউ জানতো না যে এটা কি ছিল, কে করেছিল এসব , আর কিভাবেই বা করিয়েছিলো। এই ঘটনাচক্রে ৪০০ ও বেশি লোকের মৃত্রু হয়েছিল, আর সবার মৃতদেহও ঠিক ঠাক উদ্ধার করে কর্তৃপক্ষ, কিন্তু রহস্যজনকভাবে উদাও ছিল ট্রফির লাশ,সে কি আদো মরেছিল, সত্যি কি ট্রফিই এইসবের পেছনে ছিল?, থাকলেও কিভাবে ?, সে কি মানুষ ছিল না!!
এই ঘটনা কোনো কাল্পনিক না গল্প নয় , এখনো জাদুঘরে এই সম্মন্দীয় জিনিস রাখা আছে। এই অদ্ভুত ব্যাধিকে নাম দেয়া হয়েছিল “ডানসিং প্লেগ” । সবচেয়ে অবিশ্বাস্য ছিলো, এইরকম ঘটনা প্রথমবার ছিল না , ৭তম সেঞ্চুরিতেও এইরকম ঘটনা ঘটেছিলো। এইসকল ঘটনার কেউ কখনোই সঠিক ব্যক্ষা দিতে পারে নি , কেউ বলতো ভৌতিক ঘটনা , কেউ আবার বলতো কোনো বিশেষ পাঙ্গাস এর জন্য, কেউ বা বলতো সাইকোলোজিক্যাল সমস্যা ছিল। যেটাই কারণ ছিল, কিন্তু একসাথে এতগুলো লোককে কি করে নিজের আওতায় আনলো সেটাই বড়ো রহস্য।
More you can visit : https://deepblogs.net/
More you can read:
https://taazakhobor.in/silence-of-the-haunted-truck-by-the-donkey/
https://taazakhobor.in/bhool-bhulaiyaa-3-movie-review/
https://taazakhobor.in/mystery-of-apartment-no-23-and-dennis-nilsen/