The all time haunted ship queen mary untold horrible story
আজকের এই ঘটনা ১৯৩০ সালের একটি জাহাজ কুইন মেরিকে নিয়ে। ১৯৩০ থেকে ১৯৬০ অবধি এই ship বহু লোককে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলো, যার মধ্যে বিখ্যাত নানা লোকও ছিল । ইংল্যান্ডের PM উইনস্টন চার্চিলও এই জাহাজটি ব্যবহার করেছেন। এর পাশাপাশি জাহাজটি পরিচিত ছিল বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূতিয়া জাহাজ হিসেবে (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
আমরা যে কুইন মেরি জাহাজের কথা বলছি সেটা বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত, যা ইংল্যান্ডের মিউজিয়াম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । কাহানি এখান থেকেই শুরু, যবে থেকে জাহাজটি মিউজিয়াম হিসেবে রাখা হয় , ও সাধারণ লোকের জন্য এটা খুলে দেয়া হয়। কুইন মেরি জাহাজরূপী মিউজিয়ামটির রক্ষনাবেক্ষনের জন্য অনেক লোকেরও দরকার পড়ছিলো। যার জন্য অনেক কর্মী রাখা হয় , যার একজন ছিল মেথেউ। মেথেউর জাহাজে এন্ট্রি পাওয়া টাও একটা রহস্যে ঘেরা ছিল। হয়েছিল এমনটা, যে কর্মী আগে কাজ করতো সে রহস্যজনকভাবে হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই পালিয়ে যায়, আর সেই লোকের পরিবর্তে চাকরিটা পায় মেথেউ। যেন মেথেউকে ওই ভূতিয়া জাহাজ নিজের কাছে ডাকছিলো (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
মেথেউকে জাহাজের যে অংশে দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়া হয়, সে অংশ ছিল খুব নিঃস্তব্দ ও সেখানে তার সহকর্মী হিসেবেও ছিল মোটে একটা মাত্র লোক ,যার নাম ছিল জন।প্রথমদিন যখন মেথেউ যখন কাজে আসে, সে কিছু অস্বাভাবিক অনুভব করছিলো, তার মনে হচ্ছিলো যেন কেউ পেছন দিক থেকে তাকে দেখছে ও ডাকছে। প্রথমে তো মেথেউ ভাবে এটা তার কল্পনা, কিন্তু শেষে সে জনকে এই কথা বলেই ফেলে (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।

তখন জন মেথেউকে বলে, জন যখন প্রথম কাজে এসেছিলো সেও এসব পরিস্থিতি দেখে এসেছে। জন মেথেউকে বলে তারা যে শিপে আছে, সেটা কোনো সামান্য শিপ নয়, এখানে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখানে যাওয়া নিষিদ্ধ। রাতে এই জাহাজের কোথাও হাটাহাটি করাও জীবনের জন্য ভয়াবহ হতে পারে, বিশেষ করে ১৩ নম্বর ডেকের দরজা, এমন সব কথা মেথেউ শুনতে পায় জনের কাছ থেকে।
কিন্তু মেথেউ এসব ব্যাপারকে একদমই সিরিয়াসলি নেয় না, তার মনে হচ্ছিলো সবাই মিলে তার সাথে মজা করছে। মেথেউ তাই সেদিন রাতেই জাহাজ এর ঐজায়গাটা ( মানে যেখানে তার আর জনের পোস্টিং হয়েছিল) ঘুরতে লাগে।
তারা আসলে ইঞ্জিন রুমের ওখানটায় কাজ করছিলো, তাই এলাকাটা অনেকটাই বড় ছিল। ঘুরতে ঘুরতে একটা সময় এমন আসে, মেথেউ জনের কাছে ফিরতে গিয়ে আর ফিরতে পারছিলো না, সে যেন খুঁজেই পাচ্ছিলো না যে সে কোথা থেকে এসেছে। মেথেউ জনকে আওয়াজ লাগাই, কিন্তু জন কোনো উত্তর দিচ্ছিলো না, যেহেতু জাহাজের এলাকা ফাঁকাফাঁকা ছিল তাই আওয়াজ জন অবধি সহজে পোঁছানোর কথা।
মেথেউ এইবারও ভাবে জন তার সাথে মজা করছে। কিছুক্ষন খোজাখুজির পর সে ক্লান্ত হয়ে পরে এবং তখনি সে শুনতে পায় কারো জুতোর শব্দ, কিন্তু আশেপাশে তো কেউ ছিল না। হঠাৎ মেথেউ পেছনে ফিরে , আর পেছনে ছিল রুম ১৩।জনের কথা অনুসারে রুম ১৩ ছিল restricted area , যেটা সব সময় বন্ধ থাকে (ghost ship)।
কিন্তু মেথেউ দেখে রুম ১৩এর ভারিভরকম দরজাটা খোলা আর মাঝে দাঁড়িয়ে এক লোক। জাহাজের (ghost ship) দরজাগুলো অনেকটা পুরু আর ভারী হয়, তাই মেথেউ লোকটিকে ওখান থেকে সরতে বলে , কারণ দরজাটা আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো, আর লোকটি না সরলে তার দেহের টুকরো হয়ে যাবে। লোকটি সরছিলো না আর মেথেউর দিকে দেখে হাসছিলো, আর মেথেউর চোখের সামনে লোকটির দুটুকরো হয়ে যায়। মেথেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই, ওই আড়কাটা লোকটি নিজের চোখ খুলে হাসতে থাকে।

মেথেউ আর দেরি না করে দৌড়াতে থাকে আর দৌড়াতে দৌড়াতে সে বয়লার রুমে আসে পোঁছায়। মেথেউ পেছন ফিরে ফিরেও দেখছিলো যে ওই আদকাটা লোক কোনো তার পিছু নিচ্ছে নাতো। মেথেউ বয়লার রুমে কেমন যেন আওয়াজ শুনতে পারছিলো। বয়লার রুম সাধারণত সেসব রুম যেখানের ফার্নেস এ জাহাজ (ghost ship) চালানোর জন্য কয়লা ভরা হয়। কিন্তু মেথেউ ভাবে এটা তো অবসরপ্রাপ্ত জাহাজ যা এখন মিউজিয়াম, তাহলে এখানে কে হতে পারে। তারপর মেথেউ যা দেখে তা সত্যিই কেউ কল্পনা করতে পারে নি। মেথেউ দেখে একজন ফার্নেসের সামনে দাঁড়িয়ে আছে আর ফার্নেস এ আগুন জ্বলছে, যেখানে সে লোকটা কয়লা ঢালছে (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
মেথেউ লোকটাকে ডেকে থামতে বলে কিন্তু ফার্নেসের আওয়াজ এতটাই বেশি ছিল যে কেউ কারো কথা শুনতে পারছিলো না।
মেথেউ লোকটির কাছে যায় আর তার কাঁধে হাত রাখে, মেথেউ কিন্তু শুধু লোকটির পেছনটাই দেখছিলো, লোকটা যেই মেথেউর দিকে ফিরে তাকাই, মেথেউ ভয়ে নিচে পড়ে যায়, কারণ লোকটার মুখ ছিলই না, মানে পুরো মুখটাই জলে গেছে, আর যেন গলে পড়বে। মেথেউ কিছু করার আগেই লোকটা নিজেনিজে ফার্নেস এর মধ্যে পড়ে যায়।
মেথেউর কাছে এটা স্পষ্ট ছিলো যে, সে পাঙ্গা নিয়ে নিয়েছে, আর এখানে শুধু স্টাফ মেম্বার নয়, কিছু অন্য লোকও থাকে, যারা এখন আর জীবিত নেই। আর মেথেউ ঐসকল লোককে ঠিক ওভাবেই দেখছিলো যেভাবে তারা মারা গেছিলো ।মেথেউ সেখান থেকে পালিয়ে জাহাজের দ্বিতীয় তোলার ডেক এ এসে যায় , সে যখন চারপাশ তাকাই সে দেখে চারদিক গভীর সমুদ্র। আপনারা যারা শুনছেন তারাই এখন অনেকটা ঘাবড়ে গেছেন তাহলে ভাবুন মেথেউর কি অবস্থা হচ্ছিলো (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
সে রীতিমতো ভয়ে হুস হারিয়ে ফেলেছিলো, তখনি সে একটা মেয়েকে সুইমিং সুইটে দেখতে পায়, যে সুইমিং পুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল।মেয়েটিকে দেখে মেথেউর জানে একটু প্রাণ আসে,ভাবে যাই হোক কেউ তো তার মতো মানুষ আছে। মেথেউ মেয়েটির দিকে এগোতে থাকে আর মেয়েটিও মেথেউর দিকে আসতে থাকে। মেয়েটি মেথেউকে বলে, “তুমি কি মেইনটেইন্যান্সের লোক “।

মেথেউ বলে হ্যা। মেয়েটি মেথেউকে পুল থেকে ইলেকট্রিকাল ওয়্যার বা তারটি বের করে দিতে বলে, যাতে মেয়েটি পুলে নামতে পারে। মেথেউ ভাবে সে তার টি তুলেই দেবে, তখনি তার দুই সহকর্মী তাকে আওয়াজ দিয়ে বলে, ওখান থেকে সরে আসতে। মেথেউ তখন মেয়েটির দিকে তাকাই, মেয়েটি বলে, “তুমি এদের কথা শুনো না,আমি মৃত নয় , আমি জীবিত “। মেথেউ তো এবার বুজতে পেরে যায়, যে ওটা সুন্দরী মেয়ে না সুন্দরী পেত্। মুহূর্তের মধ্যে মেয়েটি উধাও হয়ে যায় শুধু রয়ে যায় তার উল্টো পায়ের জলে ভেজা চিহ্ন। ততক্ষণে ওখানে জনও এসে পোঁছায়। মেথেউ তাড়াতাড়ি জনের কাছে যায়, আর জিজ্ঞেস করে,”ভাই রে ভাই কোথায় ছিলি তুই,এতো ডাকলাম তোকে , এতক্ষণ ধরে আমার সাথে যে কিসব অদ্ভুদ জিনিস হয়েছে বলে বোঝাতে পারবো না “।
অবাক করা ব্যাপার এই ছিল জন বলে তার সাথেও নাকি এতক্ষন অনেক অদ্ভুদ ঘটনা ঘটেছে। জন বলে তাকে একজন এসে বলে যে ২তম floor এ কিছু লোক পার্টি করছে, যেখানে জনকে যেতে হবে। জন সেই মতো যখন সিঁড়ির কাছে পোঁছায় সে পার্টি ও গানবাজনার আওয়াজও পায়, লোকের শব্দও পায় , কিন্তু জন উপরে উঠে দেখলে, সেখানে কেউ ছিল না আর লাগছিলোও না যে কেউ আদেও এসেছিলো। এসব তাদের সাথে কেন হচ্ছিলো কিছুই বুজতে পারছিলো না তারা।
তারা দুজন তাদের বাকি সহকর্মীদের এইসব ঘটনা খুলে বলেন। কিন্তু তারা কেউ বিশ্বাস করে না , এবং তাদের দুজনকে জাহাজ থেকে নামিয়ে দেয়া হয়।
কেন তাদের সাথে জাহাজে অমনটা হচ্ছিলো আর জাহাজের বাকি জায়গায় থাকা বাকিদের কেন কিছু মনে হয় নি, সেসবের কারণ এই জাহাজের ইতিহাস।
১৯৩০ সালের সময় এই শিপটি একটি কমার্শিয়াল শিপ ছিল, কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় এই শিপটিকে ব্যবহার করার কথা ভাবা হয়, তখন এই শিপ এর নাম দেয়া হয় “দি গ্রে গোস্ট “(ghost ship) ।

জাহাজটি একবারে ১৫০০০ এর বেশি সেনাকে যাতায়াত করাতে পারতো।এইসময় অসংখ্য সৈনিকের মৃত্যু হতো, আর বিভিন্ন দেশে মৃত সৈনিকদেরও এই জাহাজেই আনা হতো, তাই এই জাহাজ স্বাভাবিক ভাবেই কেনো চলমান শশান বা কবরস্থানের কম ছিল না।এই জাহাজের কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার মধ্যে কিছু ছিল , যেমন রুম নম্বর ১৩ এর দরজায় হেরি নামের এক সৈনিক দুই টুকরো হয়ে গেছিলো, আরেকটি হলো রুম B ৩৪০ এর এক প্যাসেন্জারের মৃত্যু, সুইমিং পুলের আত্মা যা আমরা আগেই বলেছিলাম।
একটি আছে লাইফগার্ড এর ঘটনা , বলা হয় রাতের বেলা এই লাইফগার্ড সিটি বাজিয়ে লোকেদের সাবধান করে।বলা যেতে পারে জাহাজটিতে কত লোকের দুঃখত মৃত্যু হয়েছে তা কখনো কেউ ধারণাও করতে পারবে না, তাই পুরো জাহাজে আজও নানা পেত্আত্মা ঘুরে বেড়ায় (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
আপনারা ভাবতে পারেন এইসবই হয়তো বানানো কাহানি , কিন্তু এমনটি নয়।বিভিন্ন বিশ্ববিখ্যাত প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটররা এই শিপ এ গিয়ে ভয়ভীত হয়েছেন, একটাই শিপে এত গুলো আত্মা কি করে থাকতে পারে তা দেখে। তারাযখন সেখানে পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন তারা স্পষ্ট বিভিন্ন আত্মার আওয়াজ শুনতে পান, যখনকি তখন জাহাজে কেউ ছিল , এমনকি কোনো ক্রিউ মেম্বারও ছিল না।আজকের দিনেও যারা সেই শিপ এ কাজ করে তারা জানিয়েছেন যে, রোজ সকাল ৫:৩০ এ একজন অচেনা লোক আপনাআপনি জাহাজে প্রকট হয়, তারপর আবার গায়েব হয়ে যায়, যখনকি ক্রিও মেম্বার ছাড়া মিউজিয়ামে আর কেউ ঢুকতে পারে না (The all time haunted ship queen mary untold horrible story)।
More you visit: https://deepblogs.net/
More you can read:
https://taazakhobor.in/incredible-journey-of-gama-pehlwan-in-2024/
https://taazakhobor.in/jeffrey-vandersay-zero-to-hero-cricketer/
Lifesaver Doctor to bloody serial killer, know the mystery that gives 100% horrible feel
The real zombie occupied city of world by xylazine drug, that 99.99% people don’t know
Necrophilia where people wild sex with dead body that gives you 100% brain stroke