Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies 18+

Spread the news and knowledge

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies

আমরা সবাই জানি ১৯৩০ সালে ইডলি (Italy) ও তার আশপাশের দেশগুলোতে এমন একটা ভূমিকম্প এসেছিলো যার ফলে সেখানকার লোকেরা ভীষণভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। সেখানেই একটা পরিবার ছিল লিওনার্ডো সিএনসিয়াল্লি ও তার স্বামীর। তাদের পরিবারে তারা সময়-স্ত্রী ছাড়া ছিল তাদের চার সন্তান। ভূমিকম্পের ফলে তাদের ঘরবাড়ি সব নষ্ট হয়ে যায়। তাই তারা তাদের বাকি কিছু সঞ্চয় সম্পত্তি নিয়ে উত্তর ইডলির দিকে রওনা দেয়। উত্তর ইটালির রেগ্গিও শহরে তারা পোঁছায় এই শহরটাও তেমন কোনো বড়ো শহর ছিল না, কিন্তু এই শহরটি ভূমিকম্পে তেমন ক্ষতিগ্রস্ত ছিল না (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

এই শহরে পরিবারটি সম্পূর্ণ নতুন ছিল আর তাদের কাছে থাকা বা খাওয়ার জন্যও কিছু ছিল না। কিন্তু তাদের মনে আসা ছিল এই নতুন শহরের লোক তাদের সাহায্য করবে আর হলোও তেমনটা। আশপাশের লোক তাদের নিজের লোকের মতো খেয়াল রাখে ও তাদের পুনরায় বসবাসে অনেক সাহায্য করে। ঐখানকার লোকেরা এতটাই ভালো ছিল যে তারা এক সপ্তাহের মধ্যে রাফেলকে (লিওনার্দোর স্বামী) চাকরি পাইয়ে দেয়। সাথেই তারা লিওনার্ডকেও জিজ্ঞেস করে যে সে কি করতে চায়। লিওনার্ডো বলে সে সুগন্ধময়ী সাবান বানাতে খুব দক্ষ। লিওনার্ডোর পাড়াপ্রতিবেশীরা তাকে নানা প্রয়োজনীয় জিনিস এনে দেয় যাতে সে বাড়িতে বসেই তার সুগন্ধিময়ী সাবান বানাতে পারে। এইসকল কিছুর পর লেওনার্ডোর পরিবার এখন ঠিক ঠাক চলে যাচ্ছিলো (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies

এইবার আমরা একটু পেছনে যায় লিওনার্ডোর ছোটবেলার কথায়। লিওনার্ডো জন্মেছিলো এক একক মায়ের ঘরে, অর্থাৎ তার বাবার কথা কেউ জানতো না। লিওনার্ডোর মা ছিল অনেক ধনী পরিবারের মেয়ে। তাই তার থাকা খাওয়া বা কোনো কিছুরই কোনো অভাব ছিল না। কিন্তু খেলা তখন ঘুরে যায় যখন লিওনার্ডো জন্ম নেয়। যে মহিলা প্রতিবেলায় শাহী খাবার খেতো তার এক বেলা খাওয়ার টাকা ছিল না। কারণ লিওনার্দোর জন্মের পর তার মা কে সকল সম্পত্তি থেকে বেদখল করে দেয়া হয় আর লিওনার্ডোর মাও ভাবতো যে এইসব কিছুর দায়ী লিওনার্ডো (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

তাই ছোটবেলা থেকেই লিওনার্ডো ভালোবাসা পাই নি, বরং লিওনার্ডোর ভাগ্যে ছিল তিরস্কার ও নিজের মায়ের অত্যাচার। হঠাৎ করে লিওনার্ডোর জীবনে ভালোবাসার কিরণ হয়ে আসে রাফেল। লিওনার্ডো ও রাফেল একে ওপরের ভালোবাসায় পাগল হয়ে উঠেছিল। তাই লিওনার্ডো রাফেলকে তার মায়ের সামনে নিয়ে যায়। কিন্তু লিওনার্ডোর মা খুশি হওয়ার বদলে লিওনার্ডো ও রাফেলকে গালাগাল করে ও অভিশাপ দিয়ে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। যাওয়ার আগে লিওনার্ডোর মা লিওনার্ডোকে সাপ দেয় যে, সে জীবনে কখনও সুখে থাকতে পারবে না (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

আর এই জিনিসটাই কেমন যেন সবসময় লিওনার্ডোর পিছু করতো, লিওনার্ডোর মনে হতো তার মায়ের দেয়া অভিশাপ জীবনভর তার পিছু করবে। আর এইবিষয় তখন সত্যি হতে দেখা যায়, যখন একের পর এক গর্ভপাত হতে থাকে লিওনার্ডোর। লিওনার্ডোর কাছে মনে হচ্ছিলো এগুলো সব তার মায়ের দেয়া অভিশাপের ফল। তাই লিওনার্ডো এক তান্ত্রিক বাবার কাছে তার হাত দেখতে যায়। তখন বাবা লিওনার্ডোর হাত দেখে বলে, লিওনার্ডোর সন্তান তো হবে কিন্তু তারা খুব অল্প বয়সে মারা যাবে। আর হতে পারে লিওনার্ডো কেও জেলে যেতে হতে পারে।

লিওনার্ডো এখন বুজতে পারছিলো যে এইসব আর কিছু না তার মায়ের অভিশাপেরই ফল। লিওনার্ডোর ভাগ্য এতটাই খারাপ ছিল যে তার স্বামী রাফেলও ধীরে ধীরে কেমন যেন হয়ে যাচ্ছিলো বিনা কারণে রাফেল লিওনার্ডোর ওপর চিৎকার করতো আর কাজেও যেতে চাইতো না। পরিবার করার ইচ্ছেই লিওনার্ডো ও রাফেল ১৪ সন্তানের জন্ম দেয়। কিন্তু তার মধ্যে শুধু ৪টা সন্তানই বেঁচে ছিল।তাই ওই চার সন্তানকে নিয়ে লিওনার্ডো ও তার স্বামী রাফেল সব সময়ই খুব চাপে থাকতো। তাদের এই ভয় লেগে থাকতো যে তাদের ওই চার সন্তানের কিছু না হয়ে যায় (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

লিওনার্ডো ও তার পরিবার এই নতুন শহরে এখন প্রায় স্বাভাবিক জীবন-যাপন শুরু করেছিল। লিওনার্ডোর সবচেয়ে ভালো এক প্রতিবেশী বন্ধু ছিল ভির্জিনিয়া। এই ভির্জিনিয়ায় লিওনার্ডোকে অনেক ধরণের রান্না করা শেখায় ও নানা বিস্কুট বানানো ও শেখায় । তারপর লিওনার্ডো তার নিজের ব্র্যান্ড এর বিস্কুট ও বানানো শুরু করে।

লিওনার্ডোর জীবন এখন বেশ ভালোই যাচ্ছিলো। এমন সময় লিওনার্ডোর মনে হয় এই শহরের লোক তাদের জন্য অনেক কিছু করেছে তাই তারও এই শহরের লোকের জন্য কিছু করা দরকার। লিওনার্ডো তখন তার অতীতের সেই তান্ত্রিক বাবার কথা ভাবে। লিওনার্ডো ভাবে সেও যদি ওই বাবার মতো হাত দেখে ভবিষ্যত বলা শিখে যায় তাহলে খুব ভালো হয়, সে শহরের সব লোকেদের ভবিষ্যত বলে দিতে পারবে।তাই লিওনার্ডো ভবিষ্যত বলার বিদ্যা শিখতে থাকে (Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies)।

আর কিছু দিনের মদ্ধ্যেই লিওনার্ডো খুব ভালো জ্ঞান লাভ করে ফেলে। লোকের হাত আর কপাল দেখেই লিওনার্ডো বলে দিতে পারছিলো যে তার ভবিষ্যৎ কেমন টা হতে পারে। লিওনার্ডোর এই ব্যবসাটাও খুব ভালোই যাচ্ছিলো। আশপাশের লোকের কাছে লিওনার্ডো খুব বিখ্যাত হয়ে ওঠে। লিওনার্ডোর ওপর টাকার বর্ষা হতে থাকে। লিওনার্ডো ও তার পরিবার এই নতুন শহরে এসেছিলো প্রায় ১০ বছর হয়ে ওঠে। রেগ্গিওতে লিওনার্ডো ও তার পরিবারের খুব ভালো একটা অবস্থান হয়ে ওঠে। লিওনার্ডোর ৪ সন্তান ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে। তাদের সবচেয়ে বড় ছেলে জিউসেপ্পে ১৭ বছরের হয়ে যায়।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

জিউসেপ্পে যেহেতু তার মায়ের অর্থাৎ লিওনার্ডোর সবচেয়ে বড়ো সন্তান ছিল তাই সে তার মায়ের খুব ক্লোস ছিল। জিউসেপ্পে রোজ স্কুল থেকে ফিরে তার মার সাথে সময় কাটাতো নানা গল্প করতো। কিন্তু ১৯৩৯ সালে হঠাৎ অদ্ভুত কিছু হতে শুরু করে। প্রতিদিনের মতো জিউসেপ্পে একদিন বাড়িতে এসে মায়ের সাথে কথাবার্তা না বলে হঠাৎ তার রুমে চলে যায়। অনেকক্ষন সে রুম থেকে বেরোয় না আর অদ্ভুত রকমের আচরণ করতে থাকে, মনে হচ্ছিল যেন কোনো কিছু সে লুকোনোর চেষ্টা করছিল। লিওনার্ডো ও রাফেল ভাবে হয়তো বয়সের সাথে তার মধ্যে একটু পরিবর্তন আসছে।

লিওনার্ডো ও রাফেল এর মাথায় তখন আকাশ ভেঙে পরে যখন তারা জানতে পারে তাদের বড়ো ছেলে বিশ্বযুদ্ধের সেনাবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে। লিওনার্ডোর মনে হচ্ছিলো তার মার দেয়া অভিশাপ আবার যেন তার পরিবারে ফিরে এসেছে। লিওনার্ডোর মনে হচ্ছিলো তার ছেলে তার থেকে দূরে চলে যাচ্ছে , সে এও জানতো না যে জিউসেপ্পে যুদ্ধ থেকে বেঁচে ফিরবে কিনা। লিওনার্ডো নানা রকম আধ্যাত্মিক বই পড়তে থাকে, যাতে সে কোনো এমন রহস্যময়ী উপায় পেয়ে যায় যা তার ছেলেকে যুদ্ধে যাওয়া থেকে আটকাতে পারে ।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

এমন সময় লিওনার্ডো জানতে পারে , লিওনার্ডো যদি দুনিয়ার সকলের জন্য অনেক ভালো কিছু করতে থাকে তাহলে তার বদলে প্রকৃতিও তাকে ভালো কিছু উপহার করবে। লিওনার্ডো ভাবে সে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গরিব-দুস্থ অসহায় লোকেদের সাহায্য করা শুরু করবে। আর লিওনার্ডোর এই যাত্রায় প্রথম সাহায্যগ্রহণকারী ছিলেন ফস্টিনা নামের এক মহিলা। ফস্টিনা ৬০ বছরের একজন বৃদ্ধা ছিলেন যার বিবাহ হয় নি। কিন্তু এই বয়সেও ফস্টিনা বিয়ে করতে চাইছিলো। লিওনার্ডো ভাবে সে যদি ফস্টিনার বিয়ে করিয়ে দেয় তাহলে হয়তো এর পরিবর্তে তার ছেলের প্রাণ বেঁচে যাবে।

তাই লিওনার্ডো ৭৫ বছরের তার এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের সাথে ফস্টিনার বিয়ে দিয়ে দেয় আর ভাগ্যক্রমে তারা খুব সুখী দাম্পত্য জীবন শুরু করে। ফস্টিনার বিয়ের খবর শহরের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সবাই লিওনার্ডোর অনেক নাম করে কারণ সে একজনের জীবনের শেষ ইচ্ছে পূরণ করেছিল। ফস্টিনা কিছুদিন পর পর তার শহর, অর্থাৎ যেখানে সে তার স্বামীর সাথে থাকা শুরু করেছে, সেখান থেকে লিওনার্ডো কে চিঠি পাঠাতে থাকে আর চিঠিতে ফস্টিনা বলে তারা খুব সুখে আছে।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

লিওনার্ডো এইসব কথা তার আশপাশের প্রতিবেশীদেরও জানায়, লিওনার্ডো বলে সে যত বেশি এই ব্রম্মান্ডের জন্য ভালো কিছু করবে ততবেশি ব্রম্মান্ড তার ছেলেকে রক্ষা করবে। ফস্টিনার সুখী দাম্পত্য জীবন শুরু হয়ে গিয়েছিলো কিন্তু এখনো তার ছেলে জিউসেপ্পের মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছিলো না। লিওনার্ডো ভাবতে থাকে হয়তো সে অতটা পরিমান কিছু করছে না যা উপহার স্বরূপ জিউসেপ্পের জীবন বাঁচাতে পারবে।

লিওনার্ডো আবার এমন কোনো লোকের সন্ধান করতে থাকে যার খুব সাহায্যের দরকার। আর সবাই বলে ফ্রান্সেসকা নামের এক মহিলার কথা। ফ্রান্সেসকা অল্প বয়সে তার স্বামীকে হারিয়েছিল, আর স্বামীই ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। লিওনার্ডো তার পরিচয় থেকে ফ্রান্সেসকাকে একটা চাকরি পায়ে দেয়, যেটা ছিল লন্ডন এর একটা শহরে। ফ্রান্সেসকাও লিওনার্ডোর পাওয়া চাকরিতে খুশি ছিল আর লন্ডন থেকে সেও লিওনার্ডোর জন্য চিঠি এইবলে যে সে অনেক সুখে আছে।

কিন্তু এইবারও এতো কিছু করার পরেও লিওনার্ডোর ছেলে আর্মিতে যাওয়ার মন পাল্টায় না। যারা এইসব ঘটনা জানতো তারা সকলেই লিওনার্ডোর জন্য খুব খারাপ অনুভব করছিলো, তারা ভাবছিলো লিওনার্ডো এতো ভালো কাজ করছে আর ব্রম্মান্ড তার একটা ছোট ইচ্ছে পূরণ করতে পারছে না!!যেহেতু লিওনার্ডোর ইচ্ছে এখনো পূরণ হচ্ছিলো না তাই সে থামবে না ঠিক করলো (psycho killer)।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

এইবার সাহায্য নেয়ার পালা ছিল তার ঘনিষ্ট বন্ধু ভার্জিনিয়ার, আগেই যার কথা বলেছিলাম, যে লিওনার্দোকে বিস্কুট ও রান্না শিখিয়েছিলো। ভার্জিনিয়া তার পুরুনো শহর ও শহরে কাটানো দিন গুলো নিয়ে খুবই দুঃখে থাকতো, যেটা সে লিওনার্ডোকে এসে বলে। লিওনার্ডোও ভাবে সবাইকে যখন সে সাহায্য করছে ভার্জিনিয়াকে কেননা করবে। লিওনার্ডো তার মামার বাড়ির দিকের একজন পরিচিতকে বলে ভার্জিনিয়ার পুরোনো শহরে ভার্জিনিয়াকে একটি চাকরি পায়ে দেয় ও তার থাকারও ব্যবস্থা করে দেয়। ভার্জিনিয়া খুব খুশি হয়ে যায়, আর শেষ বারের মতো ভার্জিনিয়া লিওনার্ডোর সাথে দেখা করে তার পুরোনো শহরে ফিরে যায়।

লিওনার্ডো যে ৩ জনের সাহায্য করেছিল তারা প্রত্যেকেই কিন্তু যাওয়ার আগে শেষ বারের মতো একবার করে লিওনার্ডোর সাথে দেখা করেছিল।
কিন্তু এইবারও লিওনার্ডোর সাথে তাই হয় যা সবাই আসা করছিলো,লিওনার্ডোর এতো কিছু করার পরও লিওনার্ডোর ছেলে তার সেনাবাহিনীতে যাওয়ার মত পাল্টায় না। লিওনার্ডো এইবার বুঝে যায় এইসব দিয়ে কিছু হবে না,লিওনার্ডো শেষ বারের মতো একটা অন্তিম ক্রিয়া করতে চায় যাতে জিউসেপ্পের প্রাণ বেঁচে যায়।লিওনার্ডো জিউসেপ্পেকে বলে তুমি সেনাবাহিনীতে যাওয়ার মত পাল্টাতে চাও না ঠিক আছে, কিন্তু শেষ বারের মতো আমার একটা কথা শোনো।

লিওনার্ডো জিউসেপ্পেকে বলে,সে যেন রাতে তার মায়ের কাছে একবার আসে, সে জিউসেপ্পেকে নিজের হাতে সান করিয়ে দেবে আর নিজের হাতের বিস্কুট খাওয়াবে তাকে । জিউসেপ্পে বড় হয়ে গেলেও নিজের মায়ের এই কথা সে মেনে নেয়।জিউসেপ্পে কথা অনুসারে মার সাথে সান করতে চলে যায়। লিওনার্ডো পেছনে বসে আর জিউসেপ্পে সামনে বসে,লিওনার্ডো বিশেষ প্রকারের সুগন্ধিযুক্ত সাবান দিয়ে জিউসেপ্পেকে সান করিয়ে দেয় আর নিজের হাতের তৈরী কুকিস মানে বিস্কুটও খেতে দেয়।

এইসব করার পর লিওনার্ডো যেন আবার আগের মতো নিশ্চিত হয়ে যায় ,সে ভাবে সে তার তরফ থেকে সকল প্রকার ব্যবস্থাই করে নিয়েছে এখন আর তার ছেলের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা নেয়। লিওনার্ডো আবার হাসি-খুশি থাকতে শুরু করে। নিজের দৈনন্দিন কাজও ঠিক থাকে করতে শুরু করে। এইভাবে বেশ কিছু দিন চলার পর হঠাৎ একদিন পুলিশ আসে লিওনার্ডোর বাড়িতে, পুলিশও জানতো যে লিওনার্ডো একজন পরোপকারী মহিলা ,তাই পুলিশ নম্রতার সাথে লিওনার্ডোকে বলে, সে যে ৩ মহিলার উপকার করেছে,সেই ৩ মহিলার পরিবার পুলিশ এর কাছে তাদের নিখোঁজ হওয়ার রিপোর্ট লিখিয়েছে।

Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies
image credit pinterest

লিওনার্ডো হতবাক হয়ে বলে ওরম হতেই পারে না,কারণ ঐদিন ৩ জন খুব সুখে আছে আর তার প্রমান হচ্ছে তাদের পাঠানো চিঠি। পুলিশকে লিওনার্ডো সেই সব চিঠি দেখায় , তখন পুলিশও চিন্তা করে লিওনার্ডো সত্যিই তো বলছে, তারা নিজেরাই বিভিন্ন শহর থেকে লিওনার্ডোকে চিঠি পাঠিয়েছে।
আশপাশের লোকেরাও ভাবে হয়তো পুলিশের কোনো ভুল হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার কিছুদিনপর আবার পুলিশ আসে আর এইবার দরজা ভেঙে আসে আর লিওনার্ডোর ছেলে জিউসেপ্পেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রাফেল লিওনার্ডোকে বলে তাদের কিছু করতে হবে, কিন্তু লিওনার্ডোর জানা ছিল যে তার ঠিক কি করা উচিত।

লিওনার্ডো সোজা পোঁছে যায় পুলিশ স্টেশনে সেখানে গিয়ে সে অফিসারদেরকে বলতে থাকে যে তার ছেলে জিউসেপ্পে সম্পূর্ণ নিৰ্দোষ, তখন অফিসারও বলে যে দুনিয়ার সকল মায়ের কাছে তার সন্তান ভালোই হয়। কিন্তু তার পরেই যা হয় তা সবার কল্পনার বাইরে ছিল। লিওনার্ডো পুলিশকে শোনায় তার আসল চেহেরার ঘৃণ্য ও ভয়াবহ কীর্তিকর্ম।

লিওনার্ডো আসলে লোকেদের উপকার করছিলো না, সে করছিলো তার তান্ত্রিক নিয়মবিধি। লিওনার্ডো লোকের ভবিষ্যত দেখার জন্য যে বইগুলো পড়তো সেখানেই লিওনার্ডো একটা শয়তানি রোসম শেখে, আর লিওনার্ডোর বিশ্বাস ছিল যে এই বিধি করার পর তার ছেলের প্রাণ বেঁচে যাবে। তাই লোকের উপকারের ভান করে নিজের শিকার ধরতো লিওনার্ডো। প্রথম শিকার ছিল ফস্টিনা। আর এই বিধিতে তাকে মানুষের রক্ত দিয়ে জিউসেপ্পেকে সান করাতে হতো আর ওই মানুষের মাংস জিউসেপ্পেকে খাওয়াতেও হতো। আর ঐজন্যই লিওনার্ডো জিউসেপ্পেকে তার কাছে সান করতে ডেকেছিল।

হয়েছিল এমনটা, প্রথম শিকার ফস্টিনা যখন শেষ দেখা করতে আসে, তখন লিওনার্ডো ফস্টিনাকে ছলনা করে মেরে দেয় তারপর লিওনার্ডো ফস্টিনার ৬ ভাগ করে সব রক্ত আলাদা করে, তারপর সেই রক্ত দিয়ে সে সাবান বানাই ও মাংস দিয়ে কুকিস, কিন্তু সমস্যা ছিল এই সেইবার কুকিসগুলো জ্বলে যায়। যার ফলে লিওনার্ডো দ্বিতীয় শিকার খোঁজে যে ছিল ফ্রান্সেসকা। কিন্তু পুলিশকে দেয়া তত্ত্ব অনুযায়ী সেবারও নাকি আশানুরূপ সাবান ও কুকিজ হয় না ফ্রান্সেসকার রক্ত ও মাংস দিয়ে।

আর শেষ শিকার ছিল ভার্জিনিয়া। লিওনার্ডোর সবচেয়ে কাছের মানুষ যে লিওনার্দোকে নতুন শহরে আশ্রয় দিয়েছিল সব কাজ শিখিয়েছিলো। লিওনার্দো বলে ভির্জিনিয়াকে সে ততক্ষণ চুরি দিয়ে মারতে থাকে যতক্ষণ না ভির্জিনিয়ার সব খুন বেরিয়ে যায়। কিন্তু এইবার ভির্জিনিয়ার রক্ত আর মাংস দিয়ে আশানুরূপ সাবান ও কুকিজ বানাতে সফল ছিল লিওনার্দো (psycho killer)। তাই তো যেই দিন ভির্জিনিয়া, লিওনার্ডোর দেয়া নতুন চাকরি করতে রওনা দেয় সেইদিনই লিওনার্ডো তার ছেলেকে সান করানোর কথা বলে, আর জিউসেপ্পে যে বিস্কুট খাচ্ছিলো তা ছিল তার মুবলি চাচির লাশ দিয়ে তৈরী।

লিওনার্ডোর ছেলে এই মামলায় ফেঁসে যায় কারণ যে চিঠি গুলো লিওনার্দোর নাম আসতো তা আসলে পাঠাতো লিওনার্ডোর ছেলে জিউসেপ্পে, কিন্তু তার জানা ছিল না যে চিঠিতে কি আছে, সে শুধু নিজের মায়ের কথা মতো নানা শহর থেকে তাদের বাড়ির ঠিকানায় ওই চিঠিগুলো পাঠাতো। লিওনার্ডো বাঁচার জন্য সব সম্ভাব্য পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু বলে না সত্যি কখনো চাপা থাকে না, আর তাই হলো।

এই ঘটনা চারদিকে সারা ফেলে দিয়েছিলো, ঘটনার দায়ে লিওনার্ডোকে ১৫ বছরের জেল হয় তারপর আবার ১০ বছর পাগলখানায়ও কাটাতে হয়, এখানে সেই ভবিষ্যৎ বাবার কথা কিন্তু বরাবরই সত্যি হয় , যে লিওনার্দোকে বলেছিল যে লিওনার্ডো জেলে যাবে ও তাকে পাগলাগারোতেও থাকতে হবে।

More You can visit: https://deepblogs.net/

More you can read:

Russia trade isolation grows as China cuts payments.

https://taazakhobor.in/love-kills-or-something-else-shabnam-aur-saleem/

https://taazakhobor.in/taking-rebirth-to-capture-killer/

One night brutal rape that gives 42 years coma life to a girl

Mysterious paths of demon’s paatal lok, know all important facts with taaza khobor in 2024

Darkest creepy dirty face of a stalker teacher,zero to 100, all details case study

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *