MYSTERY of Apartment No. 23 and Dennis Nilsen
সাল ১৯৮৩ নর্থ লন্ডনের cranley garden এপার্টমেন্টের সব বাসিন্দা একটা বিষয়ে খুব বিরক্তি ছিল। তারা লাগাতার ম্যানেজমেন্টকে এই বলে নালিশ করছিলেন যে তাদের বাড়ির ড্রেনেজ সিস্টেম ব্লক হয়ে গেছে আর ঐজন্য তাদের বাড়ির ওয়াশরুমে ড্রেন এর জল চলে আসছে, আর তারা টয়লেটে ফ্লাশও করতে পারছিলো না। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের কথা ছিল বিল্ডিংটা অনেক পুরোনো তাই ড্রেন এর জল ধীরে ধীরে যাচ্ছে, তাই তারা বেশি একটা কিছু করতে পারবে না (MYSTERY of Apartment No. 23 and Dennis Nilsen)।
কিন্তু শেষমেশ নালিশ বেড়ে যাওয়ার কারণে একটা প্লাম্বিং কোম্পানিকে ডাকা হয়। ৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৩, সন্ধ্যা ৬ টার দিকে প্লাম্বিং কোম্পানি মাইক নামের এক্সপেরিয়েন্স এক প্লাম্বারকে cranley garden এপার্টমেন্টে পাঠায়। এপার্টমেন্টের বাসিন্দারা মাইকের কাছে এসে নিজেদের সব কমপ্লেইন জানায়। সেই অনুযায়ী মাইক এপার্টমেন্টের পেছনের সাইডের ড্রেনের সিমেন্টের ঢাকনাটা খুলে চেক করা শুরু করে (MYSTERY of Apartment No. 23 and Dennis Nilsen)।

প্রথমে তো মাইক ড্রেনেজ পাইপ এ কিছু পলি আর কাগজের সংমিশ্রণ ময়লা দেখতে পায়, মাইক হাতদস্তানা পড়ে সেই ময়লাগুলো বার করতে আরম্ভ করে। এক পর্যায়ে মাইক তার পুরো হাত ওই ড্রেনেজ পাইপ এ ঢুখিয়ে দেয়, তখন হঠাৎ তার হাতে একপ্রকার নরম একটা পদার্থ লাগে, পদার্থটা খুব অদ্ভুত ছিল, সেই নরম বস্তুটিতে আবার কিছু শক্ত টাইপের জিনিসও ছিল, মাইক তার হাত দিয়ে জিনিসটাকে বার করে আনে।
মাইক তার জীবনে এতো পাইপ পরিষ্কার করেছিল কিন্তু এরম অদ্ভুত জিনিসের উপস্থিতি সে কখনো দেখে নি। ভালো করে দেখে লাগছিলো ওটা একটা মাংসের টুকরো, কিন্তু সেটা ছিল খুব অদ্ভুত রঙের, দেখতে কোনো জীবজন্তুর মাংস মনে হচ্ছিলো না। এইদিকে রাত ঘনিয়ে আসছিলো তাই মাইক ভাবে তার একার পক্ষে তো এই ড্রেনেজ পরিষ্কার করা সম্ভব না, তাই মাইক ভাবে সে পরের দিন তার সুপারভিসরকে নিয়ে আবার আসবে আর ড্রেন পরিষ্কার করে দেবে (MYSTERY of Apartment No. 23 and Dennis Nilsen)।
কিন্তু পরের দিন যখন মাইক আসে সে একদম হতবাক হয়ে যায়, সে দেখে গতকাল রাতে সে যেই পরিমান ময়লা দেখেছিলো তা কোনো ভাবেই নিজে নিজেই পরিষ্কার হয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না, তার মানে কেউ একজন জেনে বুজে মাইক আসার আগে ড্রেন পরিষ্কার করে দিয়েছে। অদ্ভুত ব্যাপার এটাই ছিল যে যদি কারো এই ড্রেন পরিষ্কার করারই ছিল তো মাইকদের কেন ডেকেছিল।

তারপর মাইক আর তার সুপারভিসর একে একে সব কানেকটিং ড্রেননেজ পাইপ চেক করা শুরু করে, তারা দেখে সবকটি পাইপই পরিষ্কার করা ছিল, শুধু একটা ছাড়া, সেটা ছিল এপার্টমেন্ট নম্বর ২৩ এর ড্রেনেজ পাইপ। মাইকরা জানতো না যে এই এপার্টমেন্ট এ কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে যেটা পুরো দুনিয়ায় সারা ফেলতে চলছিল। মাইক দেখে সে যে আগের দিন একটা মাংসের টুকরো সমেত ময়লার ঢের দেখেছিলো সেটা আসলে এপার্টমেন্ট নম্বর ২৩ এর ড্রেনেজ পাইপ দিয়েই এসেছিলো (MYSTERY of Apartment No. 23 and Dennis Nilsen)।
মাইক আর তার সুপারভিসর এই কথা ওই এপার্টমেন্টের মালিককে জানায়। মালিক খুব ঘাবড়ে যায় ও পুলিশকে ফোন করে দেয়। পুলিশ সেখানে এসে প্রথমে ওই meat sample কালেক্ট করে ও সেটা ল্যাব এ পাঠায়। ল্যাব এর রিপোর্ট যখন পুলিশের কাছে আসে তখন পুলিশও একবারের জন্য ভয় পেয়ে যাই , রিপোর্ট অনুযায়ী সেই meat sampleটা ছিল কোনো মানুষের গলার দিকটার মাংসপেশি।
পুলিশ একটুও দেরি না করে এপার্টমেন্ট নম্বর ২৩ এ পোঁছায়। যেই এপার্টমেন্ট এর দরজা খোলা হয় হঠাৎ এক ভয়ানক পচা-গলা জিনিসের গন্ধ আসতে থাকে এপার্টমেন্ট থেকে, বাধ্য হয়ে পুলিশকে পিছু হাটতে হয় ও মাস্কসহ সকল বন্দোবস্ত করে আবার আসতে হয়।
দরজা খোলে যেই লোক সে নিজেকে ডেনিস নীলসন হিসেবে পরিচয় দেয়, ৩৫-৪০ বছরের বেক্তি ছিল সে। প্রথমে তো ডেনিস অস্বীকার করতে চাই যে তার এপার্টমেন্ট থেকেই meat sample টা ড্রেন এ যাচ্ছিলো, কিন্তু এক পর্যায়ে ডেনিস হঠাৎ হাসতে থাকে ও বলে, এখন সময় এসে গেছে, সে তার মনের কথা বলে হালকা হতে চায়।
পুলিশ ডেনিসকে জিজ্ঞেস করে, ” তাহলে বলো বাকি লাশটা কোথায়?” ডেনিস তার বেডরুমের আলমারির দিকে দেখিয়ে দেয়। পুলিশ আবার জিজ্ঞেস করে যে এই লাশ ছাড়া কি আর কোনো লাস তার বাড়িতে আছে কিনা। ডেনিস অট্টহাসি হাসতে থাকে, আর উপরে ছাদের দিকে দেখতে থাকে, পুলিশও চিন্তায় পড়ে যায় যে উপরে এমন কি থাকতে পারে।
ডেনিস পুলিশকে সাবধান করে বলে, “উপরে যেতে সাবধান, উপরে কবরস্থান “। ডেনিস বলে উপরে ১৫- ২০ জনের লাশ রয়েছে ও সেখানে চারদিকে তাজা রক্ত পড়ে ছিল। পুলিশ ডেনিসকে arrest করে,কিন্তু ডেনিস তাতে খুব খুশি ছিল, কারণ সে পুলিশকে তার কাহিনী শুনাতে আতুর হচ্ছিলো (serial killers) ।
পুলিশ স্টেশনেও কেউ ডেনিস এর ভয়ানক ওই কাহিনী শোনার জন্য প্রস্তুত ছিল না। আর কাহিনীর মধ্যে মধ্যে ডেনিসের সেই ভয়ানক হাসি সকলের কাছে খুব অত্যাশিত ছিল।কাহিনী শুরু হয় ১৯৭৮ এ গ্রেফতার হওয়ার ৫ বছর আগে। ডেনিসের বয়স ছিল ৩৩ বছর। ডেনিস একটা bar এ বসে ড্রিংক করছিলো ঠিক সেই সময় স্টিফেন নামের এক ১৫ বছরের ছেলে সেখানে আসে vodka কিনতে কিন্তু bar কাউন্টার থেকে তাকে vodka দেয়া হচ্ছিলো না কারণ সে এখনো ১৮ বছরের হয় নি।

ডেনিস স্টিফেনকে ডেকে নেয় ও তাকে নিজের বাড়ি নিয়ে ড্রিংক করানোর প্রস্তাব দেয় আর স্টিফেনও তাতে খুব শিগ্রী মেনে যায়। তারা দুজন সেই রাতে খুব মজা করে আর এক বিছানায় শুয়ে পড়ে। সকালে ওঠে ডেনিসের মনে শুধু এই ভাবনা ছিল যে স্টিফেন যেই ঘুম থেকে উঠবে সে ডেনিসকে ছেড়ে চলে যাবে। এই ভাবনার দরুন ডেনিস একটা দড়িতে গাঁট লাগিয়ে তারপর সেই দড়ি নিয়ে স্টিফেনের ওপর চড়ে বসে ও স্টিফেনের গলায় ওই দড়ির ফাঁদ দিয়ে তার গলা ফাঁস দিতে থাকে।
এক পর্যায়ে স্টিফেন তার হাতপা ছেড়ে দেয় , কিন্তু ডেনিস বুজতে পারে সে তখন মরে নি শুধু বেহস হয়েছে, তাই ডেনিস এক বালতি জল নিয়ে আসে ও সেই জলে স্টিফেনের মাথা ডুবিয়ে দেয়। স্টিফেন অনেক চেষ্টা করে বাঁচার কিন্তু ডেনিসের বর্বরতা থেকে বাঁচা তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। ডেনিস স্টিফেনকে শুধু এই কারণে মেরেছিলো যেন সে তাকে সময় নিজের সাথে রাখতে পারে। ডেনিস রোজ স্টিফেনকে গোসল করাতো তারপর তাকে নতুন জামা পড়াতো তার সাথে সোফায় বসে গল্প করতো। ডেনিস বুজতে পারে তার জীবন এখন পুরোপুরি বদলে গেছে।
যতদিন না স্টিফেনের লাশ গলে পঁচে যাচ্ছিলো না ততদিন ডেনিস তাকে নিজের সাথে রাখে, তারপর যখন সে দেখে লাশ থেকে প্রচুর দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। ডেনিস তারপরে স্টিফেনের লাশকে জ্বালিয়ে দেয়, আর মনে মনে এই ভেবে খুশি হতে থাকে সে এতো সহজে একটা খুন করে বেঁচে যায় যা তাকে পরবর্তী খুনগুলো করার সাহস জোগায়। তারপর ডেনিস এইভাবেই একের পর এক খুন করতেই থাকে।
আর এইভাবে খুন করতে করতে ডেনিস তার ঘরকে কবরস্থানে পরিণত করে। সাইকোকিলার ডেনিস এই ডেডবডি গুলোর সাথে অদ্ভুত কিছু করতো যা শুনে আপনারাও অবাক হবেন। ডেনিস প্রত্তেকটা ডেডবডিকে তার আগের খুনের কাহানি শুনাতো। ডেনিস বলে তার কাছে নাকি ডেডবডি খুবই আকর্ষক লাগতো, এই মৃতলাশ গুলোর সাথে সময় অতিবাহিত করতে তার বেশ ভালো লাগতো।
কিন্তু সাল ১৯৮৩ আসতে আসতে তার পুরো এপার্টমেন্ট লাশে ভরে যায় এপার্টমেন্টের এমন কোনো কোনা ছিল না যেখানে ডেনিস লাশ লুকায় নি, তাই ডেনিস ভাবে এখন লাশগুলোকে কোথাও ঠিকানা লাগাতে হবে। তাই জন্য ডেনিস লাশগুলোকে ছোট ছোট খন্ডে কেটে সেগুলোকে টয়লেট দিয়ে ফ্ল্যাশ করতে থাকে যার কারণেই সোসাইটির ড্রেনেজ সিস্টেম জ্যাম হয়ে গিয়েছিলো।
সেই রাতে মাইকের কথা গুলো শুনতে পেয়ে ডেনিস নিজেই ওই ড্রেন পাইপ পরিষ্কার করেছিল যাতে সে ধরা না পরে, কিন্তু ডেনিস ওই কানেকটিং পাইপটা পরিষ্কার করতে ভুলে যায়। কথাই আছে না সত্য কখনো চাপা থাকে না (serial killers)।
For educational content You visit : https://deepblogs.net/
More You can read:
https://taazakhobor.in/most-horrible-clown-serial-killer/
https://taazakhobor.in/dna-test-that-have-recognized-dead-body-after-4-years/
Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies 18+
One night brutal rape that gives 42 years coma life to a girl
Carryminati’s Biggest collab video of indian youtubers and Mr Beast in 2024