Most haunted place kazi ki chawl
আজকের যে রহস্য তা একটি এলাকাকে নিয়ে, আমরা অনেক বার দেখি অথবা শুনি কোনো একটি জায়গা ভুতিয়া বা স্রাপিত, কিন্তু এরম খুব কমই হয় যে, কোনো এলাকায় পুরো আত্মার বশে ভুতিয়া বা স্রাপিত হয়ে উঠেছে। আজকে যে জায়গার কথা আমরা বলছি সেটা এলাকাটা পুরোটাই অত্তান্ত একটা ভুতুড়ে জায়গা, একজায়গা থেকে বেঁচে গেলেও অন্য জায়গায় গিয়ে সেই ভয়ানক আত্মার মুখোমুখি হতে হয় (Most haunted place kazi ki chawl)।
কাহানি শুরু হয় ইন্দোরের বাসিন্দা ১৪ বছরের হীনাকে নিয়ে,যে সদ্য তার পিতামাতার সাথে নতুন বাড়িতে শিফট হয়েছে। হীনা খুব খুশ-মেজাজাজের একটি মেয়ে ছিল এবং সবসময় ঘুরে-বেরিয়ে থাকতে চাইতো, আর বন্ধু-বান্ধবদের সাথেও বেশ মোজ-মস্তি করতো। কিন্তু তার মা ফিরোজা খেয়াল করে যে, হঠাৎ হীনা খুব চুপ- চাপ হয়ে গেছে, বাড়িতেও কারো সাথে আগের মতো আর কথা বলছিলো না, আর বাইরেও বেশি যাচ্ছিলো না।
হিনার মা-বাবা তাকে জিজ্ঞেস করে যে, কি হয়েছে তার, কেউ কি হীনাকে স্কুলে বুলি করছিলো, বা হীনা তার পুরোনো বন্ধুদের তো মিস করছে না?, কিন্তু হীনা জানাই তেমন কিছুই ছিল না। হীনার মা-বাবা ভাবে হীনা হয়তো তার পুরোনো বন্ধুদের মিস করছে তাই ডিপ্রেশনে ভুগছে (Most haunted place kazi ki chawl)।
কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর তারা লক্ষ্য করে , হীনা দিন-দিন আরো চুপ হয়ে যাচ্ছে , আর বাড়ির এককোনের দেয়ালের পাশে গিয়ে সারাদিন বসে নিজের সাথে নিজে কথা বলে। হীনা তার দুপাশে ঘাড় ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এমন ভাবে কথা বলতো যেন, হীনার দুপাশে যেন দুজন বসে আছে। হীনার বাবা আব্দুল ভাবে এখন ব্যাপারটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে , হীনাকে একটা মনোবিশেষজ্ঞ দেখানো দরকার।
কিন্তু হীনাকে যখন ডাক্তার দেখানোর কথা বলা হয়, সে বলে সে পাগল না,তার সাথে যে কি হচ্ছে তা কখনোও আব্দুল ও ফিরোজা বুজতে পারবে না। এইসব শুনে স্বাভাবিকভাবে আব্দুল ভয় পেয়ে যায় আর তাড়াতাড়ি হীনার মেডিকেল চেকআপ করায়, কিন্তু হীনার সব কিছু স্বাভাবিক মেয়ের মতো নরমাল ছিল। সেজন্য আব্দুলও মেনে নেই পুরোনো বন্ধুরা নেই তাই নিজে নিজেই খেলছে হয়তো (Most haunted place kazi ki chawl)।

এভাবে কিছুদিন যাওয়ার পর একরাতে ফিরোজা ও আব্দুল রাতের খাবারের জন্য হীনাকে ডাকছিলো, কিন্তু হীনা আসছিলো না। ফিরোজা ভাবলো সে রুমে গিয়ে হীনাকে নিজের হাতে খাইয়ে দেবে, কিন্তু যেই সে রুমে ঢুকে, দেখে হীনা রুমের মাঝামাঝি মাটিতে পড়ে আছে, আর হীনা জ্বলে গেছে অর্থাৎ শরীরের অনেক জায়গায় আগুনে জ্বলার চিহ্ন, ফিরোজা কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে, আর আব্দুল ও ভিতরে আসে, তাড়াতাড়ি তারা হিনাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তার বলে হীনা এখন ঠিক আছে, অবশ্য শরীর অনেকটা জ্বলে গেছে (Most haunted place kazi ki chawl)।
হীনার মা-বাবা এখনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলো না যে তাদের পরীর মতো মিষ্টি মেয়ে যে সারাদিন হাসিখুশি থাকতো সে হঠাৎ এরম কেন করলো।
কিছুক্ষন পর হীনার হোশ ফিরে আসে, হীনা চোখ খুলেই সামনের দেয়ালের দিকে তাকিয়ে থাকে, অথচ ওখানে কেউ ছিল না, তার মা- বাবা দুজনই তার দুপাশে বসে ছিল। হীনা চিৎকার করে বলে তোমরা এখানেও, কিন্তু আব্দুলরা কিছুই বুজতে পারছিলো না হীনা ঠিক কাদের কথা বলছিলো (Most haunted place kazi ki chawl)।
হীনা বলে, তার এই অব অবস্থা দুইটা মেয়ে করেছে, সে বলে তারা যবে থেকে নতুন বাড়িতে থাকতে এসছিল, তখন থেকেই হীনা ঐ দুই মেয়ের আত্মাকে দেখতো, মেয়ে দুটো আগুনে সম্পূর্ণ পোড়া ছিল, তারা চাইতো হীনাও যেন তাদের মতো একই রকম হয়ে যায়, তাই তারাই হীনাকে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এইটুকু বলে হঠাৎ হীনা মারা যায়, হীনা যখন স্বাস্থ্য যখন বিপদঝুঁকির বাইরে ছিল, হঠাৎ সে মারা কী করে যেতে পারে, খুদ ডাক্তাররায় এই মৃত্রু নিয়ে বেশ আশ্চর্যে ছিলেন। হীনার মৃত্রুর যে ঘটনা তা তো ছিল ২০১৫ সালের, কিন্তু ওই দুই আত্মা মেয়ের গল্প তারও অনেক আগের।কাজী কি চাওল এইরকম ভয়ানক ঘটনার জন্যই বিখ্যাত ছিল (Most haunted place kazi ki chawl)।
পরের ঘটনাটা ছিল ধর্মেন্দরকে নিয়ে। ধর্মেন্দর সাথেও ঠিক তাই হয়েছিল যা হীনার সাথে হয়েছিল। ধর্মেন্দও খুব খুশ মেজাজ একটা ছেলে ছিল, সারাদিন হাসিখুশি থাকতো , কিন্তু কাজী কি চাওল এলাকায় আসার পর হঠাৎ ধীরে ধীরে সে চুপ- চাপ হতে থাকে, সেও হীনার মতোই সারাদিন যেন অদৃশ্য কাদের সাথে কথা বলতো , আর একদিন ধর্মেন্দর সাথেও সেই একই জিনিস হয়, তার জ্বলে যাওয়া লাশ পাওয়া যায়, মরার আগে ধর্মেন্দরও একই কথা বলে যে তার সাথে দুটি মেয়ের আত্মা থাকতো যারা তার এই দশা করেছে।
একই ঘটনা হয়েছিল ২০১৩ সালে আতিশা নামের একজনের সাথে। সেই মেয়েটিও নিজেকে নিজে আগুন লাগিয়ে দেয়, আর মরার আগে বলে দুটো মেয়ে আমাকে এগুলো করতে বাধ্য করছে। একটা কথা খুব বিস্ময়কর ছিল যে, মা বাবার বাড়িতে থাকাকালীনই এইসকল ছেলে মেয়েরা নিজেদের আগুন লাগিয়ে মেরে দিয়েছিলো, এর থেকে বোঝা যায় আত্মারা কতটা ভয়ানক হতে পারে, আর তাদের কথা না শুনে কোনো উপায়ই থাকে না। এগুলো তো ছিল কাজী কি চাওল এর কথা। কাজী কি চাওল এর আসে পাশের ঘটনা গুলো আরো কয়েকগুন ভয়াবহ ও খতরনাক ছিল।
এখন এক এক করে সেই সব ঘটনায় আসি, কাজী কি চাওল এর পাশেই মালয়া মিল করে একটা জায়গা ছিল, আর সেখানে ৯ বছরের একটা বাচ্চা ছিল, রাজেশ নামের। রাজেশের মাতা-পিতা ছিল চাকরিজীবী, তাই সপ্তাহের প্রায় দিন রাজেশকে বাড়িতে একাই থাকতে হতো। রাজেশের মা- বাবা যখনি ঘরে আসতো তারা দেখতো রাজেশ ম্যাচবক্স নিয়ে খেলছে।
রাজেশকে ম্যাচবক্স দিয়ে খেলতে বারণ করা হলেও সে বারবার তাই করতো, রাজেশ বলতো দুটো দিদি তাকে ম্যাচবক্স নিয়ে খেলতে বলে। কিন্তু একদিন ঠিক ওটাই হয় যা আমরা বাকিদের সাথে হতে দেখেছি , শুধু এবার এটাই তফাৎ ছিল যে, রাজেশের ভাগ্যটা ভালো ছিল, তাই সে জানে বেঁচে যায়।ঐএলাকায় কাজী কি চাওল এর পাশেই আরেকটি জায়গা ছিল ‘গোমা কি ফেল ‘, সেখানেও এরম কিছু ঘটে (Most haunted place kazi ki chawl)।
এখানে একটা মেয়ের সাথে একই সব হয়েছিল, কিন্তু তার ভাগ্যও রাজেশ এর মতো ভালো ছিল, সেও বেঁচে যায়।এটা থেকে একটা কথা স্পষ্ট ছিল যে, কাজী কি চাওল যেটা ছিল এলাকাটির কেন্দ্র, সেখানে যারা থাকতো তারা কেউ বাঁচতে পারতো না, কিন্তু তার আস- পাশের এলাকায় ছেলে-মেয়েরা বেঁচে যাচ্ছিলো।এর থেকে বোঝা যাচ্ছিলো কাজী কি চাওল কতটা ভয়ঙ্কর ছিল , যে সেখানে যাবে তার শেষ দশা মৃত্রুই হবে। কাজী কি চাওল এর ঐ দুই পেত্ আত্মা শুধু কম- বয়সী ছেলে মেয়েদেরই মারতো আর মারার পদ্ধতিও একই ছিল জ্বালিয়ে মারা (Most haunted place kazi ki chawl)।
কাজী কি চাওল এ শুধু যে মেয়ে দুটোর পেত্ আত্মা আছে তাই না , একটা পূর্ণ বয়স্ক মহিলার আত্মাও ঘুরে বেড়ায় এই জায়গায়। অল্প বয়সে তাকে কিছু লোক মিলে মেরে ফেলেছিলো, আর মরার আগেও সে শুধু একবার তার ছেলেকে দেখতে চাইছিলো। তাই মহিলাটির অতৃপ্ত আত্মা তার ছেলের সন্ধানে রোজ রাতে বেরোয়, আর বাড়ি বাড়ি গিয়ে দরজা বারি দেয়।
শুধু যে এলাকায় ভুতুড়ে তাই না, হীনাকে যে হসপিটালে নেয়া হয়েছিল সেটাও ছিল একটা ভুতুড়ে হাসপাতাল, লোক বলে রাত সাড়ে ১২টার পর হাসপাতালের পেছনের দিকের পরিতেক্ত অপারেশন থিয়েটার থেকে শোনা যায় নানা আওয়াজ, বিশেষ করে এক প্রেগনেন্ট মহিলা তাকে ও তার বাচ্চাকে বাঁচাতে বলে।কাজী কি চাওল এর এইসকল ঘটনাকে বহুবার নানা কারণে দাবিয়ে দেয়া হয় , এইজন্য আপনাদের মধ্যে অনেকেই এই ঘটনাগুলো সম্পর্কে জানতেন না (Most haunted place kazi ki chawl)।
More you can visit: https://deepblogs.net/
More you can read:
https://taazakhobor.in/incredible-journey-of-gama-pehlwan-in-2024/
https://taazakhobor.in/necrophilia-where-people-wild-sex-with-dead-body/
https://taazakhobor.in/jeffrey-vandersay-zero-to-hero-cricketer/
The real zombie occupied city of world by xylazine drug, that 99.99% people don’t know
The all time haunted ship queen mary untold horrible story, must read story in 2024