Most believable replacement reincarnation case of the world(পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রিপ্লেসমেন্ট রি-ইনকারনেশন কেস)
শশানঘাটে পরে থাকা নারীর মৃতদেহে ফিরে এলো প্রাণ । হঠাৎ ওই মহিলা উঠে বসে বিড়বিড় করা আরম্ভ করে দেয়। এই দেখে ওই মহিলার স্বামী দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো তাকে। মহিলাটি ছিল সুমিত্রা। একজন স্বামী নিজের স্ত্রীকে স্মশানে চিতার উপরে মৃত্রুর মুখ থেকে ফিরতে দেখে খুশিতে আত্মহারা ছিল, স্বামী বলতে থাকে ,”সুমিত্রা সত্যি বেঁচে আছো !!” কিন্তু সদ্য মৃত্রুর মুখ থেকে ফেরা ওই মহিলাস্বামীকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয় আর বলে ওঠে,” কে এই সুমিত্রা ? আপনিই বা কে ?, আমার নাম তো শিবা” (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
পূর্ণজন্মের কাহানি তো অনেকেই অনেক শুনেছে কিন্তু মৃত্রুর মুখ থেকে পুনর্জন্ম নিয়ে ফেরার ঘটনা কোনোদিন শুনেছেন কি? আজকের কাহানি ঠিক সেটাই।
চিতায় শুয়ে থাকা মৃত মানুষের শরীরে কি করে ঢুকে গেলো আরেকটা মৃত মানুষের আত্মা!!অনেকেই হয়তো ভাবছেন এটা হয়তো মিথ্যে বা সাজানো কোনো গল্প। কিন্তু এই গল্পটি মোটেই সাজানো নয় , বিশ্ববিখ্যাত গবেষক ইয়ান স্টিভেনসন ভারতবর্ষের এই ঘটনাকে সত্যি বলে ঘোষণা করেছেন।(Most believable replacement reincarnation case of the world)
১৯ জুলাই, ১৯৮৫, ষোলো বছর বয়সী এক বিবাহিতা মেয়ের মৃতদেহ নিয়ে, শরীফপুরা গ্রামের স্মশানে হাজির হলো তার স্বামী এবং পরিবারের লোকজন। সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টি হচ্ছিলো সেইদিন তাই চিতাকাঠটা জ্বালাতে একটু অসুবিধে হচ্ছিলো। সবাই যখন সেই কাজে ব্যস্ত তখন আচম্কায় নড়েচড়ে উঠলো সাদা চাদরে মোড়া ১৬ বছরের মেয়ের মৃতদেহটি। আর তারপরেই হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে উঠে বসলো ওই মৃত মেয়েটি (Unbelievable Reincarnation case that are true)।

স্মশানের সবাই যখন ভূত -ভূত করে পালাতে শুরু করলো ঠিক তখনি মেয়েটির স্বামী চোখের জল মুছে দৌড় দিলো মেয়েটির দিকে। সদ্য মৃত্রুর মুখ থেকে ফেরা নিজের স্ত্রীকে দেখে আনন্দে আত্মহারা হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরলো স্বামী। স্বামী তার স্ত্রীকে বলে ,”সুমিত্রা সত্যি বেঁচে আছো !!” কিন্তু তারপর সুমিত্রা যা বললো তা শুনে তার স্বামী জগদীশের লাগলো ৪৪০ ভোল্টের জোরদার ঝটকা (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
এক ধাক্কায় জগদীশকে নিজের শরীর থেকে সরিয়ে সুমিত্রা চিৎকার করে উঠলো ,” কে সুমিত্রা ? আপনি কে ? আমি তো শিবা আর আমি আপনাকে চিনি না , আর আপনারা আমাকে স্মশানঘাটে এনেছেন কেন ? সুমিত্রার এইরূপ আচরণ সত্যি খুব আশ্চর্যের ছিল জগদীশের জন্য কারণ সুমিত্রা জীবনে কখনো জগদীশের সাথে উঁচু গলায় চিৎকার করে কথা বলে নি। তাহলে কি সত্যিই সেই মেয়ে সুমিত্রা নয়! কাহানির গভীরে যাওয়ার আগে একটু জেনে নি সুমিত্রাকে নিয়ে (Unbelievable Reincarnation case that are true)।
সুমিত্রা (Most believable replacement reincarnation case of the world) : ১৯৬৮ সালে উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়াহ এলাকায় জন্ম হয় সুমিত্রার। মাত্র ১১ বছর বয়সেই মাকে হারিয়ে একেবারে একা হয়ে গিয়েছিলো সুমিত্রা। সুমিত্রার বাবাও কাজের জন্য বেশিরভাগ সময় বাইরেই থাকতেন।সুমিত্রা কিন্তু ছোটবেলা থেকেই কখনো স্কুলে যায় নি , তাই লিখতে ও পড়তে জানতো না সুমিত্রা, বলতে গেলে আঙুঠিচাপ ছিল সে। মাত্র ১৩ বছর বয়স এমন সময় শরীফপুরার জগদীশের সাথে বিয়ে হয় সুমিত্রার (Unbelievable Reincarnation case that are true)।
সুমিত্রার বিয়ে হয়েছিল ১৯৮২ সালে, এমন একটা বাল্যবিবাহ হতে পেরেছিলো কারণ তখন আমাদের দেশে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে তেমন একটা শক্ত আইন ছিল না। সুমিত্রাও জগদীশকে বিয়ে করতে চাইছিলো এইভেবে যে বিয়ের পর সুমিত্রা স্বামী হিসেবে তার একজন সুখ-দুঃখের সাথী বা বন্ধু পাবে। কিন্তু সুমিত্রা যেমনটা ভেবেছিলো ঠিক তেমনটা কিছুই হয়ে উঠতে পারলো না।
স্বামী হিসেবে জগদীশ খুব ভালো হলেও সুমিত্রার বন্ধু হওয়ার সুযোগ হয়ে উঠলো না তার। বিয়ের কিছুদিন পরেই রোজগারের উদ্দেশ্যে দুরশহরে পাড়ি দিতে হয় জগদীশকে। কিন্তু স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাদের মধ্যে ভালোবাসা ছিল অনেক। ১৯৮৪ সালে ডিসেম্বরের মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় তারা। ছেলেকে পাগলের মতো ভালোবাসতো সুমিত্রা , ছেলে জন্মানোর পর সুমিত্রার সব একাকিত্ব যেন কোথায় উধাও হয়ে যায়। সুমিত্রা তার স্বামী ও সন্তানের সাথে খুব আনন্দে দিন কাটাতে শুরু করে।
কিন্তু কথায় আছে না, যে সুখ দুখ পর্যায়ক্রমে আসে। এখানেও ঠিক তাই হল। ১৯৮৫ সালের মে মাসে আচমকা খুব অদ্ভুত আচরণ করতে শুরু করে সুমিত্রা। সম্পূর্ণ সুস্থ সুমিত্রা হঠাৎ মৃগী রোগীদের মতো আচরণ করতে শুরু করে, মাঝে মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বেঁকে যেত তার শরীর, উল্টে যেত চোখ । গ্রামের লোকজন বলাবলি শুরু করে যে সুমিত্রার ওপর কোনো প্রেতাত্মার ছায়া রয়েছে।
এরপর আসে ঐদিন , ১৬ জুলাই, ১৯৮৫ সাল , সকাল বেলায় ঘুম ভাঙতেই নিজের স্বামীকে কাছে ডাকলো সুমিত্রা। আর বললো আজ থেকে ৩দিন পর সে মারা যাবে। নিজের ১৬ বছর বয়সের স্ত্রীর মুখে মৃত্রুর ভবিষ্যৎবাণী শুনে গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে জগদীশ সিংযের। জগদীশ কিছুতেই বুজতে পারছিলো না যে সুমিত্রা কেন এইরকম কথা বলছিলো। সেইদিন রাত্রিবেলা থেকেই প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হলো
সুমিত্রার আর সাথে গা পুড়িয়ে দেয়া জ্বর। ১৯ জুলাই, ১৯৮৫ সাল, দুর্ভাগ্যক্রমে সত্যি সত্যি মারা যায় সুমিত্রা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শশানঘাটে আর সেখানে যা হয় তা তো আপনাদের আগেই বলেছি। কথা হচ্ছে সুমিত্রা নিজেকে শিবা ত্রিপাঠি বলছিলো কেন ? কে এই শিবা ত্রিপাঠি ?
মৃত্রুর মুখ থেকে ফেরার পর যেন পুরোপুরি বদলে যায় সুমিত্রা , তার আচরাচরণ সবই খুব আলাদা লাগছিলো। যে স্বামী ও সন্তানকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতো তাদেরকেই অস্বীকার করতে শুরু করলো সুমিত্রা। সুমিত্রা, শিবা ত্রিপাঠি হয়ে বলতে থাকে ,” আমি আমার বাবা ও দুই মেয়ে রিঙ্কু ও টিঙ্কুর কাছে যাবো, তোমরা আমায় দয়া করে ছেড়ে দাও “।
প্রথমদিকটাই জগদীশ একটু ঘাবড়ে গেলেও সে ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করে , পুরো গ্রাম যখন সুমিত্রাকে ডাইনি বলে আক্রমণ করছিলো , একমাত্র জগদীশ তার পাশে দাঁড়ায়। জগদীশ সুমিত্রাকে খুব ভালোবাসতো। জগদীশ সুমিত্রাকে বলে ,”তুমি শিবা ত্রিপাঠি তাই তো ? তাহলে তোমার নিচ্ছয় নিজের বাড়ির ঠিকানা মনে আছে? আমাকে ওই ঠিকানা দাও। আমি তোমার বাড়িতে খবর দিচ্ছি। ” জগদীশের কথা শুনে সুমিত্রা এমন এক কান্ড করে বসলো যা গোটা সিং পরিবারকে চমকে দেয়। পড়াশোনা না জানা নিরক্ষর সুমিত্রা হঠাৎ খাতা-কলম চেয়ে নিয়ে তাতে ঝড়ের গতিতে চিঠি লেখা শুরু করে দিল্লির এক ঠিকানার উদ্দেশ্যে ,তার মোতে সেখানেই থাকে তার (মানে শিবার ) বাবা।

চিঠি পাঠানোর কিছুদিন পর ১৯৮৫ সালের অক্টোবর মাস এ জগদীশদের বাড়ির দরজায় এসে হাজির হন এক বয়স্ক ভদ্রলোক যিনি নিজেকে রাম সিয়া ত্রিপাঠী বলে পরিচয় দেন। সুমিত্রা তখন বাড়ির ভেতরেই ছিল। রাম সিয়া নাম শুনেই উদভ্রান্তের মতো বেরিয়ে আসে সুমিত্রা। সুমিত্রা ঐলোককে এমনভাবে জড়িয়ে ধরলো যেন সুমিত্রা তাকে অনেকদিন ধরে চেনে ও তার সাথে সুমিত্রার রক্তের সম্পর্ক। সুমিত্রা রাম সিয়াকে বলে,”কোথায় ছিলে বাবা, আমি কত অপেক্ষা করেছি জানো? রিঙ্কু ও টিঙ্কু কেমন আছে ? ” এসকল কথা যেমন জগদীশের জন্য ভয়াবহ অবাক কান্ড ছিল, তেমনি রাম সিয়ার কাছেও এসব কম অবাক ছিল না। রাম সিয়া সুমিত্রাকে বলে,”কে তুমি মা আমি তো তোমায় চিনি না ?”এইকথা শুনে সুমিত্রা হাউহাউ করে কাঁদতে লাগে।
কে এই শিবা (Most believable replacement reincarnation case of the world) : ১৯৬২ সালের ২৪ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের এক মর্ধবর্তী পরিবারে জন্ম হয় শিবা ত্রিপাঠীর। নিজের মেয়েকে খুব আদরে পড়াশোনা করিয়ে বড়ো করে তুলেছিল রাম সিয়া। শহরের বড় কলেজ থেকে ইকোনমিক্স পড়াশোনা করেছিল শিবা। শিবার জীবনে আকস্মিক পরিবর্তন আসে যখন দিবিয়াপুর নিবাসী ছেদিলালের সঙ্গে শিবার বিয়ে হয়ে যায়। বিয়ের পর থেকেই পনের টাকার লোভে শশুড়বাড়ির লোকজন অত্যাচার করা শুরু করে শিবার উপরে।
শিবার শহরি চালচলন আর আধুনিক চিন্তাধারাও চক্ষুশুল হয়ে দাঁড়ায় শিবার শশুড়বাড়ির লোকজনের কাছে। ইতিমধ্যে রিঙ্কু ও টিঙ্কু নামক দুই সন্তানের জন্ম দেয় শিবা। সংসারে জ্বলতে থাকা ছোট ঝামেলার আঁচ দাবানলে পরিণত হয় যখন শিবা সিদ্ধান্ত নেয় সে আবার পড়াশোনা শুরু করবে। এই ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারে নি শিবার শশুরবাড়ির লোক। ১৯৮৫ সালের ১৯শে মে আচম্কায় খবর রটে যায় শিবা নাকি ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু সবার সন্দেহ ছিল শিবার শশুড়বাড়ির লোকেরাই ষড়যন্ত্র করে মেরে ফেলে শিবাকে। কিন্তু পুলিশ যথাযত প্রমানের অভাবে তাদের ছাড়তে বাধ্য হয় (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
আর এভাবেই পুলিশ রেকর্ডে শিবার কেস ক্লোস্ড হয়ে যায়। একটা কথা যা লক্ষ্য করার মতো ছিল শিবা মারা যায় ১৯৮৫ সালের মে মাসে আর ঠিক মে মাস থেকেই সুমিত্রার শরীরে অস্বাভাবিক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। কিন্তু এই ঘটনার এইখানেই শেষ ছিল না , ভারতবর্ষের এই আশ্চর্য পুনর্জন্মের ব্যাপারে মিডিয়ায় জানাজানি হতেই শুরু হয় আসল খেলা |
আমরা বলছিলাম না, রাম ত্রিপাঠি সুমিত্রার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিলেন। সেই সময় তিনি নিয়ে সাথে শিবার একটা অ্যালবাম নিয়ে গিয়েছিলো। আর সেই অ্যালবাম দেখে নিজের মামা-কাকা-কাকি -বোন সবাইকে চিনিয়ে দিতে শুরু করে সুমিত্রা(ওরফে শিবা )। সুমিত্রাকে ঝরঝর করে পরিবারের সকলের নাম ঠিকভাবে বলতে দেখে ক্রমশ উথাল-পাতাল করতে থাকে রাম সিয়া।
তারপর হঠাৎই সুমিত্রা চিৎকার করে অ্যালবাম থেকে দেখিয়ে দেয় শিবার খুনিদের। সুমিত্রা ওরফে শিবা বলে যে তার শাশুড়ি ও ননদ মিলেই নাকি পাথর দিয়ে মাথা কুচলে মেরে ফেলে শিবাকে। কিন্তু পুলিশ পুনর্জন্মের কাহানির ওপর ভিত্তি করে কেস রেওপেন করতে অস্বীকার করছিলো। তারপর না পারতে শিবার বাবা দ্বারস্থ হয় মিডিয়ার সামনে ও পুরো দেশের সামনে তুলে ধরে এই পুনর্জন্মের কাহানি (পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রিপ্লেসমেন্ট রি-ইনকারনেশন কেস)।
এই ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড়ো ফ্যাক্টর ছিল শিবা ও সুমিত্রার বয়স। শিবার জন্ম হয় ১৯৬২ সালে আর সুমিত্রার জন্ম হয় ১৯৬৮ সালে, দুজনের মাঝে বয়সের পার্থক্য পাঁচ বছরের। এইদিকে শিবা মারা যায় ১৯৮৫ সালের মে মাসে, যখন সুমিত্রা বেঁচে রয়েছে। তাহলে এটা কি করে পুনর্জন্মের কেস হতে পারে। পুনর্জন্ম মানে তো হচ্ছে, একজন মানুষ মারা যাওয়ার পর,তার শিশুরূপে নতুন জন্ম নিয়ে ফিরে আসা (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
এই তর্ক ধরে লোক বলতে থাকে এই ঘটনা সাজানো ও মিথ্যে। আর ঠিক তখনি আসরে নামেন ডাক্তার ইয়ান স্টিভেনসন, যিনি ছিলেন বিখ্যাত রি -ইনকারনেশন স্পেশালিস্ট। ১৯৮৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে এই কেস গবেষণা করতে তিনি ভারত আসেন। ততদিনে ভারতের বিখ্যাত সাইকোলোজিস্ট সাতওয়ান্ত পাসরিচাও এই বিষয় নিয়ে গবেষণা শুরু করে দেয়।

এরপর সাতওয়ান্ত পাসরিচা ও ইয়ান স্টিভেনসন মিলে সুমিত্রা ও শিবার পরিবারের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সুমিত্রার মোট ১৯ টা ইন্টারভিউ রেকর্ড করা হয় সেসময়, যেগুলো প্রত্তেকটাই শিবা ত্রিপাঠীর সাথে কানননেক্টেড ছিল, শিবার স্কুলের বন্ধুদের নাম, কলেজ প্রফেসরদের নাম এমনকি আলমারির কোন তাকে একটা হলুদ শাড়ি লুকিয়ে রাখা সেটাও বলে দেয় সুমিত্রা ওরফে শিবা (পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রিপ্লেসমেন্ট রি-ইনকারনেশন কেস)।
ইয়ান স্টিভেনসন এও বুজতে পারে এই ঘটনার আগে শিবার পরিবার ও সুমিত্রার পরিবারের কোনো কানেকশন ছিল না। তাই সুমিত্রার এইভাবে শিবা সম্বন্ধে সবকিছু বলে দেয়া একজন নরমাল মানুষের পক্ষে সম্ভব না , তাই স্টিভেনসন ঘোষণা করে সুমিত্রায় এখন শিবা। তখনও লোকেদের মনে এই সংশয় দাগ কাটছিলো যে, শিবার পুনর্জন্ম নবজাতক শিশুর মাদ্ধমে না হয়ে , একজন মারা গিয়ে জেন্ত হওয়া মহিলার শরীরে হলো কেন ?এই উত্তর দিতে এইবার আসরে নামলেন গবেষক জেমস মেটলক। তার একটি বিখ্যাত তত্ত্ব অনুযায়ী এই ঘটনাকে বলে রিপেসমেন্ট রি -ইনকারনেশন।
রিপেসমেন্ট রি -ইনকারনেশন এ একজন মরে যাওয়া মানুষের আত্মা একজন জীবিত লোকের শরীরে ঢুকে তাকে রিপ্লেস করে দেয়। এটা কিন্তু ভূতে ভর করার ঘটনা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। ভূতে ভর করার ক্ষেত্রে আত্মা শরীরে থাকা সত্ত্বেও অন্য আরেকটি আত্মা এসে তার শরীরে বাসা বাঁধে, কিন্তু রিপেসমেন্ট রি -ইনকারনেশনের ক্ষেত্রে আত্মার অদলবদল হয়ে যায়। ১৯৮৫ সালে যখন সুমিত্রার মৃত্রু হয় , তখন সুমিত্রার আত্মা তার দেহ ছাড়তেই সেই শুন্যস্থানে ঢুকে পড়ে শিবার আত্মা। আমাদের হিন্দুধর্ম শাস্ত্রে এই বিষয়টাকে পরকায়া প্রবেশ বলে উল্লেখ করা হয়েছে (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
এই রিপেসমেন্ট রি -ইনকারনেশনটা কতটা সত্য তা জানতে হলে আমাদের ঢুকতে হবে আরেকটু গভীরে।
সাল ১৯৯৮, সুমিত্রা ওরফে শিবার মৃত্রু হলো। ১৯৮৫ থেকে ১৯৯৮ সাল অবধি এই ১৩ বছরে সুমিত্রা কিন্তু শিবা হিসেবেই বেঁচে ছিল। সে তার স্বামী জগদীশের সাথে সংসার করলেও শিবার সন্তান রিঙ্কু ও টিঙ্কুকেও নিজের সাথে এনে রেখেছিলো।
পুনর্জন্মের কেস হিসেবে শিবা ওরফে সুমিত্রার কেসটা ছিল এতটাই বিখ্যাত যে ২০০৮ সালে এন্টোনিয়া ও কুলদীপ আবার এই কেসে কাজ করে। পুরোনো সমস্ত তত্ত্ব ও নতুন গবেষণা করে মিলস ও ধীমানও এই ঘোষণা করে যে সুমিত্রাই শিবা। তারা এও বলে সুমিত্রা ও শিবার এই কেসটাই পৃথিবীর সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রিপ্লেসমেন্ট রি -ইনকারনেশন কেস (Most believable replacement reincarnation case of the world)।
More you can visit: https://deepblogs.net/
More you can read:
https://taazakhobor.in/murderer-to-tibetan-monk/
https://taazakhobor.in/has-darshan-thoogudeepa-murdered-renukaswami/
https://taazakhobor.in/love-kills-or-something-else-shabnam-aur-saleem/
Mysterious paths of demon’s paatal lok, know all important facts with taaza khobor in 2024
Story of horrible crime to save own child, that fails any thriller movies 18+
Death mystery of indian paranormal investigator Gaurav Tiwari with taazakhobor in 2024