Site icon Taaza Khobor (তাজা খবর)

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem,18+content

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem

Spread the news and knowledge

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem(Love that celebrates with 7 family members brutal murders)

স্বাধীনতার পর একমাত্র একটি মহিলাকেই ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে ভারতের আদালত। মহিলার অপরাধের নিসংসতা দেখে ভারতের রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত কেঁপে গেছিলেন। প্রেমে অন্ধ হয়ে এক দশ মাসের শিশুসহ পরিবারের ৭ জনকে গলা কেটে খুন করে দেয়া এই মহিলা বর্তমানে এক সন্তানের মা। সন্তানও নিজের মায়ের প্রাণ ভিক্ষার আবেদন জানিয়েছিল,কিন্তু মহিলার অপরাধ এতো নিশংস ছিল যে, তাতেও কারো মন গলে নি। এই ঘটনাকেই সব চেয়ে ভয়ানক খুনের ব্যাক্ষা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক কি করেছিল এই মহিলা আর কেনই নিজেরই পরিবারের ৭ জনকে গলা কেটে হত্যা করেন এই মহিলা? সবই জানতে পারবেন আজকের এই ব্লগ এ (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

মহিলার নাম শবনম আলী। ইউনিভার্সিটি থেকে এম.এ ডিগ্রি নিয়ে পাস করা শবনম। ছোট বেলা থেকেই পড়াশোনায় খুব সিরিয়াস ছিল সে। তাই পরিবারের লোকেরা ভেবেছিলো মেয়ে বড়ো হয়ে বাড়ির মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু পরিবারের সকলকে চমকে দিয়ে শবনম সম্পর্কে জোরালো ক্লাস ৮ পাস্ করা দিন মজুর সেলিমের সঙ্গে। শবনম এর বাড়ির সামনে থাকা একটা কাঠ চেরাই কারখানায় কাজ করতো সেলিম। শবনম এর চেয়ে ২ বছরের ছোট ছিল এই সেলিম।

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem

শবনম এর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের আমরোহা অঞ্চলের বাওয়ানখেরি গ্রামে। অবাক করার ব্যাপার ছিল গ্রামের ২৪ বছরের উচ্চশিক্ষিতা মেয়ে নিজের চেয়ে ২ বছরের ছোট এক দিনমজুরের প্রেমে পড়ে। আর এই জিনিসটা নিয়ে ঠিক কতটা জলঘোলা আর সামাজিক অপমানের সম্মুখীন হতে হতো সেই মেয়ের পরিবারকে (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

আর এই অপমানের ভয়েই সেলিম আর শবনম এর সম্পর্কটাকে মেনে নিতে চাইছিলো না পরিবার। পরিবারের লোক চেয়েছিলেন শবনম ভালো একটা চাকরি করুক ,ভালো ও বড়ো ঘরে তার বিয়ে হোক। কিন্তু মহাজেদি শবনম নিজের পরিবারের এই সিদ্দান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলো না। তাই প্রায় দিনই ঝামেলা ও অশান্তির সম্মুখীন হতে হতো শবনমকে। ধীরে ধীরে পরিবারের প্রতি গভীর ঘৃণা তৈরী হয়েছিল শবনম এর।

নির্মম হত্যাকারী শবনম:

২০০৮ সালের ১৪ই এপ্রিলের রাত, শবনমের বাড়িতে সেদিন শবনমের বাবা সৈকত আলী ,মা হাসনী বেগম, দাদা আনিস ,বৌদি আনজুম ,ছোট ভাই রশিদ, আনিসের দশ মাসের সন্তান ছাড়াও দূরসম্পর্কের বোন রাবিয়াও উপস্থিত ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী শবনম প্রথমে প্রত্যেকের দুধের গ্লাসে বায়োপোস নামের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

তাই শবনম ছাড়া বাকি পরিবারের সকলে বেহশ হয়ে পড়ে, ঠিক সেই সময় শবনম তার প্রেমিক সেলিমকে দরজা খুলে বাড়িতে ঢোকায়। তারপর সেলিম আর শবনম মিলে একটা কুঠার আর একটা ছুরির সাহায্যে পরিবারের ছজন সদস্যের গলার নলি কেটে খুন করে দেয়। কিন্তু তখনও পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্য আরশ বেঁচে ছিল। ছজনকে মারার পর সেলিমকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় শবনম, কিন্তু ঠিক তখনি ঘুম থেকে উঠে কেঁদে ওঠে আরশ। অন্ধকার ঘরে দুপায়ের ফাঁকে টর্স চেপে ধরে একটা হাত দিয়ে ভাইপোর মুখ চেপে ধরে সে, অন্য হাত দিয়ে ধীরে ধীরে ১০ মাস বয়সী আরশের গলার নলিটা কেটে ফেলে সে (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem

তারপর জামা- কাপড় পাল্টে চুপ-চাপ সে শুয়ে পরে ওপর তালার বেলকনিতে। ১৫ এপ্রিল ২০০৮ সালের ভোর, সেদিন বাওয়ানখেরি গ্রামে সকলের ঘুম ভাংগে ভোর ৪টেই। প্রতিবেশীদের দরজা পেটাতে পেটাতে পাগলের মতো চিৎকার করতে থাকে শবনম। আর সবাইকে বলতে থাকে ডাকাতরা এসে নাকি তার পরিবারের সবাইকে খুন করে দিয়েছে। তাই কিছুক্ষনের মধ্যেই সারা গ্রাম এসে পড়ে শবনমের বাড়ির সামনে (Love that celebrates with 7 family members brutal murders)।

গ্রামে একই পরিবারের ৭ জনের খুন হয়ে গেছে শুনে পুলিশও খুব দায়িত্বশীলতার সাথে ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। পুলিশও এই নিশংস হত্যা দেখে চমকে যায়। খুনি যে শবনম হতে পারে পুলিশ এটা কল্পনাও করতে পারে নি। শবনম পুলিশকে বলে ঘটনার রাতে দোতলা বাড়ির উপরতলায় ঘুমাচ্ছিলেন শবনম। বাকি সবাই ছিল নিচ তলায়। পোনে চারটার সময় নিচে এসে দেখে পরিবারের সবাইকে মেরে জিনিস নিয়ে পালিয়েছে ডাকাতদল।

Love kills or something else: Shabnam aur Saleem

আমরোহা পুলিশের ইন্সপেক্টর আর.পি.গুপ্তা বাড়িতে বায়োপোজের খালি পাতা পেয়ে বেশ অবাক হন। পোস্টমর্টেম করে দেখা যায় মৃত্রুর আগে সবাই ঘুমের ওষুধ খেয়েছিলো। আর তাদের পাকস্থলীতে পাওয়া গেছিলো দুধ, মানে স্পষ্ট ছিল দুধের মাদ্ধমে বায়োপোজ দিয়ে তাদের বেহশ করা হয়েছিলো। আর এখান থেকেই পুলিশের সন্দেহের তীর ঘুরে দাঁড়ায় শবনমের দিকে। পুলিশ জানতে পারে যে সেলিমকে নিয়ে প্রায় দিনই শবনমের সাথে ঝামেলা হতো পরিবারে (Love that celebrates with 7 family members brutal murders)।

পুলিশ শবনমের আর সেলিমের ফোন রেকর্ড চেক করে , আর পুলিশ সব বুজতে পেরে যায়। সেলিমকে গ্রেফতার করে একটু চাপ দিতেই সে খুনের কথা শিকার করে নেয়। খুনের পর অস্ত্র কোথায় ফেলেছে সেটাও বলে দেয় সেলিম। ফলে ২০০৮ সালের ২০ এপ্রিল তারিখে শবনম আর সেলিম দুজনকেই গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ এর হেফাজতে এসে দুই প্রেমিক -প্রেমিকা একে ওপরের বিরুদ্ধে হয়ে যায়। শবনম বলছিলো সে নাকি জন্যই না সেলিম তার পরিবারকে ঐভাবে মারবে। আর সেলিম বলে, সে জানতো শুধু ঐরাতে তারা দুজন পালাবে, কিন্তু সে গিয়ে দেখে শবনম আগেই তার পরিবারের সকলকে মেরে দিয়েছে, আর সেলিম ভয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাই দুজনকেই জেলে পাঠিয়ে দেয় (Love that celebrates with 7 family members brutal murders)।

মোরাদাবাদ জেলে যাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাহিনীতে আসে এক বড়ো টুইস্ট। শবনমের মেডিক্যাল টেস্ট করে দেখা যায় সাত সপ্তাহের গর্ভবতী সে। আর শবনমের এই সন্তানের বাবা আসলে সেলিম। পুলিশ বুজতে পারে ঠিক কোন ডেস্পারেশনে এসে পরিবারের সাত সদস্যকে খুন করে ফেলে এই শবনম। সন্তান আসার খবরটা বোধয় আগেই পেয়ে গেছিলো শবনম, আর এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে হয়তো তাদের সকলের ওপর অনেক বড় একটা বিপত্তি এসে যেত।

২০০৮সালের ডিসেম্বর মাসে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় শবনম। জেলে জন্মানো এই সন্তানের নাম রাখা হয় তাজ।টানা ২ বছর ৩ মাস শুনানি চলার পর শবনম এবং সেলিমকে ফাঁসির সাজা শোনানো হয়। শবনমের ফাঁসির বিরুদ্ধে এই বলে আপিল জানানো হয়েছিল যে ,শবনমের ফাঁসি হয়ে গেলে তার সন্তান তাজ অনাথ হয়ে যাবে। আদালত এই বলে তা অমান্য করে দেয় যে, যে মহিলা নিজের ১০ বছরের ভাইপোকে অতটা নৃসংশভাবে হত্যা করতে পারে তার কাছে কোনো শিশু মানুষ হলে সে কোনোদিন সঠিক শিক্ষা পাবে না। সুপ্রিম কোর্টও দুজনের ফাঁসির সাজা বহাল রাখার পক্ষেই রায় দেয় (Love that celebrates with 7 family members brutal murders)।

Love that celebrates with 7 family members brutal murders

সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে বলা হয়,”শবনমের এই নিঃসংশতা এতটাই মারাত্মক যে আজ পর্যন্ত বাওয়ানখেরি গ্রামের পরিবার কেউ নিজের কন্যার নাম শবনম রাখার সাহস পাইনি। যারা আগে থেকে শবনম নামে পরিচিত ছিল ওরাও তাদের নাম বদলে দিয়েছে। এরপর মার্সি পিটিশনের আপিল করা হয় রাষ্ট্রপতি প্রণব বাবুর কাছে। কিন্তু প্রণব বাবুও শবনমের নিসংশতার ব্যাপারে জানতে পেরে সে আপিল খারিজ করে দেয় (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

তাই সিদ্দান্ত নেয়া হয় মথুরা জেলের মহিলা সেলে অবস্থিত ১৫০ বছর পুরোনো ফাঁসি কাঠে স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা অপরাধীকে ফাঁসি দেয়া হবে। সেই মতো জল্লাদকেও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়। নির্ভয়া ক্যাসের অপরাধীদের যে পবন কুমার ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছিলেন সেই পবন কুমারকেই এই ফাঁসির দায়িত্ব দেয়া হয়। আর এই ঘটনাটি ২০২১ সালের ,কিন্তু এখন তো ২০২৪ সাল, তাহলে এখনো কিভাবে বেঁচে শবনম?

মাকে বাঁচাতে এইবার আসরে নামতে হয়েছে ১৫ বছরের তাজকে ,যে শবনমের কলেজের বন্ধু জার্নালিস্ট উসমান সাইফি এবং তার স্ত্রী সুহিনার কাছেই বড় হয়ে উঠেছিল। রাষ্ট্রপতি দফতর থেকে সারা না মিললেও ,ওইটুকু ছোট্ট শিশুর আবেদন নাড়িয়ে দেয় দেশের মানবাধিকার কমিশনকে। তারা সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে শবনমের ফাঁসি আটকানোর জন্য (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

আর এই তাজের জন্যই ফাঁসি থেকে এখনো বেঁচে আছে সেলিমও। বর্তমানে শবনমের বয়স প্রায় ৪১ বছর। আর সেলিমের প্রায় ৩৯। জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলো কেটে গেছে দুজনেরই। যেদিন আইনি সকল ঝামেলা মিটিয়ে কাগজপত্র মথুরা জেলের কাছে পোঁছাবে, সেইদিনই ফাঁসি হবে এই দুইজনেরই। বলতে গেলে সেলিম আর শবনম দুজনই এখন নিজের মৃত্রুর দিন গুনছে। প্রেমে অন্ধ হওয়া যে কতটা মারাত্মক হতে পারে তার প্রমান শবনম ও সেলিমের এই ঘটনাটা (Love kills or something else: Shabnam aur Saleem)।

More you can visit:https://deepblogs.net/

More you can read:

https://taazakhobor.in/taking-rebirth-to-capture-killer/

https://taazakhobor.in/incredible-journey-of-gama-pehlwan-in-2024/

Live Lok Sabha Election Result and Updates in 2024: “400 par” or Rahul ki Sarkar? Most awaited and powerful news of whole India.

Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.

Most haunted place kazi ki chawl, know most horrible and scary incidents in 2024

The all time haunted ship queen mary untold horrible story, must read story in 2024

 

Exit mobile version