Site icon Taaza Khobor (তাজা খবর)

Taking rebirth to capture killer (Punorjonmo) 100% true story

Taking rebirth to capture killer

Taking rebirth to capture killer

Spread the news and knowledge

Taking rebirth to capture killer (Reincarnation Case)

পুনর্জন্ম নিয়ে আসলো তার খুনিকে ধরিয়ে দিতে, কি লাগছে না কোনো মুভি-সিনেমার কাহানি। কিন্তু ব্যাপারটা সত্যি হয়েছে, আর পুলিশও এই তদন্তের পর অবাক ছিল যে এরম কি করে হতে পারে।

১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস যখন আগ্রা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে সিং পরিবারে জন্ম নেই এক ছোট্ট শিশু। পরিবারের লোকজন তার নাম রাখে তোরণ সিং , আর ডাকনাম টিটু। টিটু ছিল তার ৬ ভাইবোনের সবার ছোট। সাল ১৯৮৫ , টিটুর বয়স সবে ২ বছর, এই সময় বাচ্চারা সাধারণত কথা বলতে শেখে, আর বাচ্চাদের মিষ্টি- আদু কথা বাড়ির লোকেদের বেশ আনন্দ দেয়, কিন্তু টিটুর ক্ষেত্রে তেমন হলো না,কারণ ওই ২ বছর বয়সেই টিটু তার পরিবারের লোকজনকে এমন কিছু বলছিলো যা তারা কখনোই কল্পনাও করতে পারে নি (Taking rebirth to capture killer)।

টিটু বলতো,” আমার বাবাকে বলো, আমার বউ আর আমার দুই বাচ্চার খেয়াল রাখতে। তোমরা আমাকে এখানে খেতে দিচ্ছ ঠিকই। কিন্তু আমার বউ বাচ্চার জন্য আমার খুব চিন্তা হয়।শুরুতে তো বাড়ির লোক এসব কথাই তেমন পাত্তা দিতো না, কিন্তু দিন যত যাচ্ছিলো টিটুর এসব দাবি ও কথা জোরালো হয়ে উঠতে থাকে। সে বলতো,”আমি এখানে ভুলবসত চলে এসেছি। আমার বাড়ি আগ্রা শহরে। ওখানেই আমার বউ -বাচ্চা আর আমার আসল মা-বাবা আছে। আমাকে ওখানে নিয়ে চলো। ”

Taking rebirth to capture killer

সাল ১৯৮৮, টিটুর যখন বয়স মাত্র ৫,হঠাৎ টিটু তার পরিচয় দেয় সুরেশ বার্মা হিসেবে। টিটু বলে, সে নাকি সুরেশ বার্মা, তার স্ত্রীর নাম উমা বার্মা, দুই সন্তান রমু ও সমু বার্মা। টিটু নাকি আগের জন্মে আগ্রায় রেডিওর দোকান চালাতো, নাম সুরেশ রেডিও। টিটুর দাবি, আগের জন্মে একদিন সে দোকান থেকে গাড়ি চালিয়ে ফিরছিলো ও পথেই তাকে কিছু লোক গুলি চালিয়ে হত্যা করে দেয় (Taking rebirth to capture killer)।

আপনার আমার শুনতে এত অবাক লাগছে, তাহলে ভাবুন টিটুর বাড়ির লোকের কি অবস্থা ছিল যখন এক পাঁচ বছরের বাচ্চা নিজের আগের জন্ম নিয়ে হুবুহু বর্ণনা করতে থাকে। গ্রামের লোকজন বলতে শুরু করে টিটুকে নাকি ভূত ধরেছে , কারণ পাঁচ বছর বয়সে তার কথা-বার্তা ছিল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের মতো। টিটু বাকি বাচ্চাদের মতো ছিল না , অন্য বাচ্চারদের সাথে টিটু খেলতে চাইতো না। টিটু বলতো ,” আমার দামি গাড়ি আছে, বৌ আমার অনেক দামি শাড়ী -গয়না পড়ে, আমি তোমাদের মতো তুচ্ছ ছোট লোক না, গরিব না, আমাকে আমার বাড়ি দিয়ে এসো, নাহলে কিন্তু আমি পালিয়ে যাবো। ”
টিটুর পরিবারের মাথায় তখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক করছিলো, কে এই সুরেশ বার্মা মহাশয়?

Taking rebirth to capture killer (Reincarnation Case)

কে গো আপনি সুরেশ বার্মা (Taking rebirth to capture killer) :

সুরেশ ছিলেন আগ্রার একটু রেডিও দোকানের মালিক। ভদ্রলোকের বেশ পয়সা ছিল। আগ্রাতে নিজের বাংলোতে বৌ-ছেলে ও বাবা-মা – ভাইয়ের সাথে সুখে শান্তিতে থাকতেন। ঠিক ঠাক দিন কাটাচ্ছিল সুরেশ। কিন্তু ১৯৮৩ সালের ২৮ শে অগাস্ট, যেদিনের ঘটে যাওয়া ঘটনা যেন সব বদলিয়ে রেখে দিলো। সেদিন নিজের সাদা রঙের ফিয়াট গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুরেশ। সুরেশ প্রায় বাড়ির গেটে এসেই গেছিলো , আচমকা দুজন দুস্কিতিকারী হাজির সেখানে, আর মুহূর্তের মধ্যে তারা সুরেশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করলো। দুস্কিতিদের ছোড়া গুলি মাথা ফুঁড়ে বেরিয়ে যায় সুরেশের। নিজের গাড়িতেই প্রাণ হারাতে হয় তাকে (Taking rebirth to capture killer)।

কিন্তু কে কিভাবে সুরেশকে খুন করলো পুলিশ কোনোভাবেই খুনিকে ধরতে পারলো না, তাই স্বাভাবিক ভাবেই বন্ধ হয়ে যায় সুরেশ বার্মা মার্ডারের কেস, কিন্তু তার ঠিক চার মাস পরই আগ্রা শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে জন্ম হলো তোরণ সিং এর। টিটুই যে সুরেশ সেটা কি করে প্রমান হলো?, টিটুর সঙ্গে কি সুরেশের বাড়ির লোকজনের দেখা হলো (Punorjonmo)?

কিভাবে মানবো ভাই যে টিটুই সুরেশ, জানি (Punorjonmo) :

ক্রমাগত নাছোড়বান্দা হয়ে ওঠা টিটুকে যখন আর সামলানো যাচ্ছিলো না তখন টিটুর বাবা নিজের বড়ো ছেলে অর্থাৎ টিটুর দাদা অশোককে বললেন,” তুই নিজে আগ্রা শহরে যা দেখে আই আদো ওখানে কোনো সুরেশ রেডিও দোকান আছে কিনা? খোঁজ নিয়ে দেখ আদো সুরেশ নামের কারো খুন হয়েছিল নাকি ?,যদি সব কথা মিথ্যে হয় তাহলে টিটুকে মাথার ডাক্তার দেখাতে হবে “।
বাবার কথা মতো টিটুর দাদা অশোক নিজের এক বন্ধুকে নিয়ে রওনা দেয় সদর বাজার এলাকায় , কারণ টিটুর কথা মতো সুরেশের দোকান ওই এলাকাতেই ছিল।

সদর বাজার এলাকায় অশোক যখন টিটুর কথা বলে ওই দোকান খুঁজতে খুঁজতে হয়রান ,তখন হঠাতই একটা দোকানের দিকে চোখ পড়লো অশোকের বন্ধুর।আর সেই দোকানের দিকে তাকাতেই চোখ কপালে ওঠে অশোকের। সাদা সাইনবোর্ডের উপর লাল অক্ষরে জ্বলজ্বল করছে। তাহলে কি টিটু এতদিন ধরে যে কথাগুলো বলছিলো সেই সবকটা কথাই সত্যি, তা জানতেই অশোক দোকানের ভেতরে ঢুকলো আর ঐসময় একটা মহিলা দোকানে ছিল (Taking rebirth to capture killer)।

Reincarnation Case

অশোক ওই মহিলাকে জিজ্ঞেস করে, সেটা কি সুরেশের দোকান কিনা। মহিলা বলে হ্যা, মহিলা নিজেকে সুরেশের স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেয়, আর নাম বলে উমা। উমা বার্মা নাম শুনে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেলো টিটুর দাদা অশোকের, তারা দুজনই বসে পড়লো ওই দোকানের মেঝেতে কারণটা আপনারা সবাই জানেন।কেন না অশোক ততক্ষণে বুঝতে পেরে গেছিলো ,টিটু যা যা বলেছে। তার সবটাই হুবুহু সত্যি। তবে এই গোটা বিষয়টা কিছুতেই সত্যি বলে মনে হলো না উমা বার্মার।

উমা টিটুর বেপারে সবটা শুনে অশোককে বললো,” হ্যাঁ আমি মানছি, টিটু যা যা বলেছে সেই সবটাই তথ্য অনুযায়ী ঠিক। আমার স্বামী সুরেশের খুনের ঘটনাটা নিয়ে খবরের কাগজে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমার মনে হয় সেগুলোই কেউ পড়ে শুনিয়েছে টিটুকে। আর তারপর থেকেই হয়তো টিটু নিজেকে সুরেশ ভাবতে শুরু করে (Punorjonmo)।

কিন্তু অশোক কোনোভাবেই এই কথাই রাজি ছিল না, কারণ সেই দুবছর বয়স থেকে টিটু এই রকম আচরণ করে চলেছে। তাই টিটুর দাদা অশোক উমার কাছে একটা অনুরোধ করলো বললো,”দোয়া করে আপনি এবং সুরেশের মা-বাবা মাইল একবার আমাদের গ্রামে চলুন নিজের চোখে টিটুকে দেখুন। আমি কথা দিচ্ছি টিটুর সামনে আপনাদের আসল পরিচয় ফাঁস করবো না আমরা। টিটু যদি আপনাদের চিনতে না পারে,তাহলে আপনাদের দায়িত্ব নিয়ে আগ্রায় পোঁছে দিয়ে যাবো আমি।আর কোনোদিন বিরক্ত করবো না। ”

অশোকের এই প্রস্তাবে সুরেশের স্ত্রী তো খুব একটা রাজি ছিল না , কিন্তু ছেলে ফিরে এসেছে শুনে সুরেশের মা-বাবা রাজি হয়ে যায় , কারণ স্বাভাবিক ভাবেই মা-বাবার মন বলে কথা।ঐদিন রাতটা কোনোরকমে কাটিয়ে পরেরদিনই অশোক এবং সুরেশের পরিবার রওনা দিলো বারগাঁয়ের উদ্দেশ্যে। টিটুর পরিবারের কেউ এই বিষয়টি জানতো না। ওরা যখন ওখানে পোঁছায় তখন প্রায় দুপুর হয়ে আসছিলো টিটু নিজের মায়ের সাথে বসে খাবার খাচ্ছিলো।

কিন্তু সুরেশের পরিবার বাড়ির মাটিতে পা রাখা মাত্রই টিটু তাদের দেখে চমকে গেলো সঙ্গে সঙ্গে সে খাবার ফেলে রেখে এট হাতেই সে দৌড় দিয়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরলো সূর্যের বার্মার মাকে আর কান্না করতে করতে বলতে লাগলো ,”তুমি এসেছো মা?তোমাকে কতদিন বাদে দেখছি তোমাকে মা। আমায় এখান থেকে নিয়ে চলো, বাবাকে বোলো আমাকে নিয়ে যেতে। ”

তারপর টিটুর চোখ যায় উমার দিকে, টিটু ৫ বছরের শিশু থেকে ৪০ বছরের সুরেশ হয়ে উমাকে তার নিজের দিকে ডেকে নেয় আর জিজ্ঞেস করে,” তুমি কেমন আছো?, এতটা অবধি তো ঠিক ছিল, যেই টিটু বলে,”তুমি বাচ্চাদের ডোলপুরের মেলায় নিয়ে যাও তো ?, এই কথাটা শুনে গা-হাত -পা ঠান্ডা হয়ে যায় উমার। এই কথা ছিল একান্তই ব্যক্তিগত, কেউ এই বিষয়ে জানতো না। মুহূর্তের মধ্যে উমার বিশ্বাস হয়ে যায় টিটু আসলে সুরেশেরই পুনর্জন্ম।
টিটুর বাড়ির লোকজন মিলে ঠিক করে,তারা টিটুকে আগ্রা নিয়ে যাবে কিছু পরীক্ষা নেয়ার জন্য।

Taking rebirth to capture killer (Suresh’s Wife)

প্রথমত দোকান চিনতে পারার পরীক্ষা (Reincarnation Case):

ছোট্ট টিটুকে একটা গাড়িতে চাপিয়ে আগ্রায় নিয়ে যান দাদা অশোক। সেখানে সদর বাজার ঢুকতেই ড্রাইভারকে গাড়ির গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয় যাতে ,টিটু দোকান চিনতে না পারে, কিন্তু যেই রেডিওস এর গলি পেরোলো টিটু চিৎকার করে বলতে থাকে,” আরে আমার দোকান তো পেছনের গলিতে “। অশোকের কাছে এটা স্পষ্ট ছিল যে, এটা তখনি সম্ভব যখন কেউ বছরের পর বছর হাজার বার শহরের রাস্তায় যাতায়াত করে। কিন্তু টিটু তো এই প্রথম আগ্রা শহরে পা রেখেছিলো।

দোকানের সব নাড়ি-নক্ষত্র জানার পরীক্ষা (Reincarnation Case):

সুরেশের মরার ৫ বছরের মধ্যে দোকানের ভেতর বাইরে অনেক কিছুই বদলে গেছিলো। কিন্ত দোকানে পা রেখেই টিটু যেন সুরেশ হয়ে গেলো, সে বলতে শুরু করলো ,” আগে তো এখানে এই শোকেসতা ছিল না, এটা কবে করালে উমা?, ক্যাশ কাউন্টারের লক টাও বদলে গেছে “। আর টিটুর প্রত্যেক কথার সত্যতায় সীলমোহিত হচ্ছিলো উমা বার্মাকে দিয়ে।

Suresh’s parents

দুই ছেলেকে চেনার পরীক্ষা (Reincarnation Case):

ঐসময় ইচ্ছাকৃত ভাবে সোমু ও রোমুকে একই বয়সী কিছু ছেলের সাথে খেলতে পাঠানো হয় , যাতে ঠিক ভাবে দেখা যায় যে আসলে কি টিটু সুরেশের ছেলেদের চিনতে পারছে। যদিও ৫ বছরে ছেলেরা কিছুটা বড়ো হয়ে গেলেও টিটু ঠিক তাদের চিনতে পেরে যায়। নিজের বয়সের চেয়ে বড়ো দুই ছেলে সামনে আসতেই যেন পিতৃ স্নেহে তাদের জড়িয়ে ধরে টিটু আর এই দৃশ্য দেখে চোখে জল চলে আসে অশোক ,উমা এবং সুরেশ বার্মার মা-বাবার।
সব যাচাই পরীক্ষাতেই অনায়াসে পাস করে যায় টিটু। কিন্তু টিটু কি করে সুরেশ বার্মার মানে নিজের আগের জন্মের খুনিদের খুঁজে বার করলো?

আসুন জানি (Punorjonmo) :

টিটুর এই পুনর্জন্মের ঘটনাটা সামনে আসতেই রীতিমতো হৈচৈ পরে যায় চারদিকে, ঠিক তখনি সমালোচনার মাঠে নামেন প্রফেসর N.K.CHADHA । প্রফেসর N .K .CHADHA তখন ইউনিভার্সিটি অফ ভার্জিনিয়ার রিসার্চ হেড dr ian stevenson এর সঙ্গে একই টিমে কাজ করছেন। Dr ian stevenson তখন পুনর্জন্মের ওপর রিসার্চ করে বিশ্ব বিখ্যাত। N.K.CHADHA এর মুখ থেকে টিটুর পুরো কাহানি শুনে Dr ian stevenson তার একটা টিমকে টিটুর কাছে পাঠান, যাতে টিটুকে সামনে থেকে পর্যবেক্ষণ করা যায়।

এখানেই আসে আসল মোড়। তারা জিজ্ঞেস করে টিটুর কি তার আগের জন্মের খুনিদের মনে আছে?, সে কি চেনে তাদের? আর উত্তরেও টিটু ঝরঝর করে বলে দিলো খুনিদের আসল পরিচয় ,কারণ সেদিন মৃত্রুর আগে সুরেশ দেখে ফেলেছিলো খুনিদের একজনকে। আর খুনি হলো সুরেষেরই ব্যবসায়িক সঙ্গী যাকে সুরেশ চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতো।

পুলিশ আশ্চর্যজনক ভাবে টিটুর কথা বিশ্বাস করে ওই সঙ্গী কে হেফাজতে নেয় আর পুলিশের চাপে সে সত্যিকথাটা কবুলও করে নেয়। কিন্তু আদালত সবসময় প্রমান চায় , তখনি ঘটলো আশ্চর্যজনক ঘটনা। মৃত সুরেশের পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেশ করা হলো আদালতের সামনে, আর তার সঙ্গেই পেশ করা হলো টিটুর চুল কাটার একটা ভিডিও।

বিচারপতি দেখলো আগের জন্মে সুরেশের মাথাই ঠিক যেখানে গুলি লেগেছিলো ঠিক সেইখানেই টিটুর মাথায়ও দুজোড়া চিহ্ন আছে, যা ছিল বুলেট এক দিক থেকে ঢুকে অন্য দিকে বেরোনোর চিহ্ন। টিটুর মা বলে ওই এক জোড়া চিহ্ন নিয়েই জন্ম নিয়েছিল টিটু। তারপর সেই ঐতিহাসিক রায় দেয় কোর্ট। ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে মেনে নেয়া হয় , তোরণ সিং টিটু সত্যি ব্যবসায়ী সুরেশ বার্মার পুর্নজন্ম, তাই টিটুর কথার ভিত্তিতে সুরেশ বার্মার খুনিদের সাজা দেয়া হয়। বর্তমানে এই টিটু একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি বেনারসের হিন্দু উনিভার্সিটির একজন এসিস্টেন্ট প্রফেসর।

More you can visit :https://deepblogs.net/

More you can read:

Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.

https://taazakhobor.in/incredible-journey-of-gama-pehlwan-in-2024/

https://taazakhobor.in/murderer-caught-after-15-years-sajni-murder-case/

Most haunted place kazi ki chawl, know most horrible and scary incidents in 2024

The all time haunted ship queen mary untold horrible story, must read story in 2024

Exit mobile version