Horrifying Experience of Himachal’s Cursed and horrifying family
আজকে আমরা আপনাদের শোনাতে চলেছি সত্যিকার ঘটে যাওয়া ঘটনার কাহিনী। চরিত্রের নামটা আমরা এখানে reveal করছি না , তাই কল্পনীয় নাম দিচ্ছি রিয়া। রিয়া তার পরিবারের সাথে লুধিয়ানাতে থাকতো।৫ সদস্যের হাসি-খুশির পরিবার ছিল রিয়ার। রিয়া ,তার মা-বাবা,রিয়ার ছোট বোন আর ছোট ভাই।
লুধিয়ানাতে রিয়ার বাবার একটা দোকান ছিল যেটা ভালোই চলছিল।কিন্তু রিয়া আসলে ছিল হিমাচল প্রদেশের মেয়ে, যেখানে তার পূর্ব -পুরুষরা থাকতো। কিছু বছর লুধিয়ানাতে থাকার পর হঠাৎ রিয়াদের পরিবারকে হঠাৎ লুধিয়ানা থেকে হিমাচল প্রদেশে নিজের ঘরে ফিরে আসতে হয়। কিন্তু তার বাবা আসতে পারে না কারন তার দোকান ছিল লুধিয়ানাতে।
এইদিকে লুধিয়ানাতে আসার পর কিছুদিনের মধ্যেই রিয়া ও তার পরিবার সেখানের আশপাশের লোকজনের সাথে খুব ভালো সম্পর্ক করে নেয়। আরে আপনাদের বলতেই ভুলে গেলাম ,রিয়ার আগেও একটা বড়ো বোন ছিল রিলেক্স ভাই , বোঝাচ্ছি , রিয়ার বড়ো বোন যে রিয়ার জন্মের ২ বছর আগে জন্মেছিলো , মাত্র ৪-৫ বছর বয়সেই মারা গিয়েছিল। তারপর রিয়ার জন্ম হয়েছিল। রিয়া এইবেপারটা জানতো ,কিন্তু বোনকে সে কখনো দেখে নি সে অন্য ব্যাপার।(Horrifying Experience of Himachal’s Cursed and horrifying family )

রিয়া ১০ম ক্লাস এ ছিল , তার ছোট বোন ৫ম ও ছোট ভাই ২য় ক্লাস এ পড়তো। রিয়াদের বাড়ির সামনে দিয়ে বাস যেত তাই প্রথম প্রথম তারা তিন ভাই-বোন বাসেই যেত। পরে রিয়ার বন্ধু -বান্ধবরা সবাই রাস্তা দিয়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার কথা হলে , কিছুদিন পর রিয়াও তাদের সাথে হেঁটে বাড়ি ফিরতে থাকে। একদিন রিয়ার পরীক্ষা ছিল। রিয়ার এক্সাম তেমন ভালো হয় না, তার মনটাও তেমন ভালো ছিল না।
রিয়া ও তার বন্ধু ফেরার পথে হঠাৎ রিয়াকে কে পেছন থেকে খুব জোরে ঘাড় ধরে ধাক্কা দেয়। রিয়া ভাবে তার বন্ধু মজা করে করেছে , কিন্তু যখন সে বলে সে করে নি তখন রিয়া নিচের দিকে তাকায় আর সে দেখে নিচে একটা লাডডু পড়ে আছে, আর সেটাই সিঁদুর আর চালের গুঁড়ো লাগানো। আর সেটা চেপ্টা মাটির সাথে মিশিয়ে গেছিলো। দেখতে একটু অদ্ভুত হলেও রিয়া বেপারটাকে গুরুত্ব দেয় না তখন আর বাড়ি চলে আসে।
বাড়ি এসে রিয়া খুব অস্বস্তি বোধ করে ,তাই সে সোজা তার রুমে চলে যাই আরাম করতে। রিয়া এসি চালিয়ে চাঁদর দিয়ে বিন্দাস ঘুমাচ্ছিলো,রিয়ার মা যখন তাকে ডাকতে আসে হঠাৎ তিনি চিৎকার করে ওঠেন ,কারণ রিয়ার পা মিষ্টিকুমড়োর মতো ফুলে গিয়েছিলো। রিয়া ও তার মা বিষয়টি দেখে খুব অবাক হয়ে যায়। রিয়া তার মাকে বলে রাস্তায় সে কোথাও পায়ে ব্যথা পেয়েছে বলে তার মনেই পড়ছে না।
তারপর বিকেল হয়ে এলো রিয়ার মা এই খেয়াল রাখছিলো যে রিয়ার শরীরটা বেশি খারাপ লাগছে না তো !!, তাহলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া লাগবে। কিছুদিন রিয়া বাড়িতেই কাটায় রিয়ার আচরণ একটু অন্যরকম হয়ে গেছিলো ,পা তো ঠিক হয়ে গেছিলো কিন্তু রিয়া কেমন যেন হয়ে গেলো।
কারো সাথে কথা বলতো না ,একা-একা থাকতো। এইঘটনার পর কিছুদিন পর হঠাৎ রিয়া কাঁদতে কাঁদতে একদিন তার মা ও দাদীর কাছে আসে, আর আঙ্গুল দিয়ে সামনের দিকে ঈশারা করতে থাকে আর বলতে থাকে , রিয়াকে তার মৃত বড় বোন ডাকছে। এই কথা শুনে বাড়ির সবার হোঁশ ঊড়ে যায়। কেউ কখনো ভাবতেও পারে নি এত বছর পুরোনো স্মৃতি বা ক্ষত রিয়া আবার খুঁড়ে বার করবে।(Horrifying Experience of Himachal’s Cursed and horrifying family )

রিয়ার বড়ো বোন এর নাম কল্পনীয় নাম ধরে নিচ্ছি “জিয়া” । রিয়া বার বার তার মাকে একটাই কথা বলছিলো যে জিয়া তাকে সঙ্গে করে নিয়ে যেতে চায়,জিয়া নিজেকে খুব একা অনুভব করে। এইসব কথা শুনে রিয়ার মা তাড়াতাড়ি রিয়ার বাবাকে ফোন করে আর আসতে বলে , তারা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় রিয়াকে।ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পথেও রিয়ার বক্তব্য ছিল গাড়ির পিছনের সিটে তার দিদি “জিয়া” বসে।
রিয়ার পরিবারের সবাই খুব ঘাবড়ে গেছিলো,ডাক্তারও কিছুই বুজতে পারছিল না যে হলো তো হলোটা কি। কারণ কোনো রকম শারীরিক অসুস্থতা বা আঘাত ছিল যা থেকে রিয়ার এই অবস্থা হতে পারে। আর অপরদিকে রিয়া বারবার বলছিলো সে খুব শীগ্রই তার দিদি জিয়ার সাথে চলে যাবে, যেটা শুনে রিয়ার মা ভীষণ ভয় পেয়ে যাচ্ছিলো। তারপর রিয়ার শরীর আরো খারাপ হতে থাকে তার শরীর মৃত মানুষের মতো ঠান্ডা পড়তে থাকে, তাকে ICU তে ভর্তি করানো হয়।(Horrifying Experience of Himachal’s Cursed and horrifying family )
রিয়ার পরিবার ছিল এডুকেটেড তাই অন্ধবিস্বাসে মানতো না। কিন্তু এইসব দেখার পর তারা এটা মানতে বাধ্য ছিল যে রিয়ার সাথে অস্বাভাবিক প্যারানরমাল কিছু একটা তো হচ্ছে । তাই পরিবারের লোকজন একটা সাধু-মহারাজকে ডেকে পাঠায়।
মহারাজ রিয়ার জন্য অনেক ধর্মীয় রিচুয়াল করলো তারপর বললো যে রিয়ার ওপর নাকি কোনো কালো ছায়া আছে।
সাধু-মহারাজ এর সন্দেহ ছিল রিয়া হয়তো কারো কালো জাদু করা মন্ত্রিত কোনো জিনিসে পা রেখেছে বা খেয়েছে। কিন্তু রিয়া যেহেতু বাড়ির কাউকে এই কথা বলে নি তাই কেউই জানতো না ওই লাডডুর ব্যাপারটা। তাই রিয়ার মা সাধু-মহারাজকে বলে সেরম কিছুই ঘটে নি রিয়ার সাথে। পরে যখন রিয়ার ওই বান্ধবী রিয়ার খোঁজ-খবর নিতে ফোন করে তখন সে লাড্ডুর কথাগুলো খুলে বলে। তারপর মহারাজ অনেক মন্ত্র-উচ্চারণ করে আচার ব্যবস্থা করে রিয়ার সুস্থতার কারণ খুঁজে বার করে।
সাধু-মহারাজ বলে কেউ কালো জাদুর মাদ্ধমে একটা শয়তানি আত্মাকে আবদ্ধ করে অনেকদূর থেকে এখানে ছেড়ে গেছে , ওই চাররাস্তার মাথায়। রিয়ার গ্রহ একটু ভারী ছিল আর মানসিকভাবে একটু দুর্বল ছিল বলে আত্মার জন্য রিয়া সবচেয়ে সহজ শিকার ছিল। ঠিক যেভাবে লাড্ডুতে আগের বার আত্মাটাকে আবদ্ধ করা হয়েছিল সেভাবেই এইবারও সাধু-মহারাজ তাকে আবদ্ধ করে নেয়।
তারপর ধীরে ধীরে রিয়া সুস্থ হয়ে ওঠে। আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন, তাহলে রিয়ার বড়ো বোনের আত্মা কেন সাহায্য করলো, সেটা আসলে রিয়ার বড়ো বোনের রূপ নিয়ে রিয়ার কাছাকাছি আসার চেষ্টা করছিলো, এমনটাই সাধু-মহারারাজের মন্তব্য ছিল।
কাহিনীর সত্যতা Taaza Khobor (তাজা খবর) পর্যবেক্ষণ করে নি।
এটা ঠিক যে পৃথিবীতে বিজ্ঞান ছাড়াও এমন বহু বেখ্যা আছে, যখন আমরা বেখ্যাহীন হয়ে পড়ি।
আমাদের আজকের ব্লগ ভালো লেগে থাকলে শেয়ার করবেন।(Horrifying Experience of Himachal’s Cursed and horrifying family )
More You Visit: https://deepblogs.net/
More You Can Read:
https://taazakhobor.in/loch-ness-monster-mystery/
https://taazakhobor.in/mary-bell-an-11-years-old-little-serial-killer/
https://taazakhobor.in/apocalypse-the-dancing-epidemic-never-solved-mystery/