DNA test that have recognized dead body after 4 years
DNA test that have recognized dead body after 4 years

DNA test that have recognized dead body after 4 years

Spread the news and knowledge

DNA test that have recognized dead body after 4 years

ফ্রিজ কি, সবাই জানেন, কেন ব্যবহার করি তাও নিচ্ছয় জানেন। কিন্তু আজকে এমন একটি কাহানি জানতে চলেছেন যার পরে ফ্রিজ নিয়ে আপনার ধারণায় পাল্টে যাবে।

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, উত্তর প্রদেশের জ্যাস্বান্তনগর, যখন সকলের সামনে এই ভয়ানক ঘটনা আসে, স্থানীয় সবার মধ্যে একটা ভয়ের সৃষ্টি হয়। সেলিমপুরের জ্যাস্বান্তনগর যেটা উত্তর প্রদেশের একটা ছোট শহর। ১৯ সেপ্টেম্বরের কালো অন্ধকার রাত, যেটা জ্যাস্বান্তনগরের লোকেদের জন্য আনতে চলেছিল ভয়াবহ কিছু একটা। ২২ বছরের সিধাসাধা মেয়ে রিতা যে জীবনে কখনো ভাবে নি যে তার জীবনে এতো ভয়ানক মোড় আসবে, আর জীবন এতো তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে (Shocking Murder case of Rita of UP)।

১৯ সেপ্টেম্বরের রাতে রিতা ঘর থেকে বেরিয়ে এমন উধাও হয় যেন বাতাস থেকে ধোয়া। পরিবারের লোকজন পাগলের মতো রিতাকে সব জায়গায় খুঁজতে থাকে কিন্তু রিতার কোনো খবর পাওয়া যাই না। তাই পরের দিন রিতার পরিবার পুলিশের কাছে যায় রিপোর্ট লেখাতে। পুলিশ জিজ্ঞেস করে তাদের কারো ওপর সন্দেহ আছে কি? তখন একটা নাম উঠে আসে, রাম কুমার (DNA test that have recognized dead body after 4 years )।

রিতা মিসিং ছিল প্রায় এক সপ্তাহ হতে যাচ্ছিলো কিন্তু তার কোনো খবর পাওয়া যাচ্ছিলো না, তখনি হঠাৎ একদিন সকালে এক কৃষক তার খেতে অদ্ভুদ কিছু দেখতে পায় ,সে সামনে এসে দেখলে দেখে সেটা একটা অর্ধগোলা লাশ এর কঙ্কাল । পুলিশ আসার পর তারা দেখে লাশ এর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল, কোনো ভাবেই বলা সম্ভব ছিল না লাশ কার। কিন্তু আশেপাশের কাপড়ের টুকরো আর জুতো থেকে পুলিশ এইটুকু বুঝতে পারে যে নিচ্ছয় সেটা কোনো মেয়ের লাশ। তারপর এখবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রিতার পরিবার (DNA test that have recognized dead body after 4 years )।

DNA test that have recognized dead body after 4 years
DNA test that have recognized dead body after 4 years

লাশের আশপাশের জিনিস ও কাপড় দেখে রিতার মা-বাবা পুলিশকে জানায় সেটা নিচ্ছিতরূপে তাদের মেয়ের মৃতদেহ। কিন্তু পুলিশ কোনো কথা শুনতেই রাজি ছিল না, তারা রিতার বডিকে জব্দ করে নেয় ও রিতার পরিবারকে রিতার মৃতদেহ হস্তান্তর করতে মানা করে দেয়। রিতার মা-বাবার কাঁদতে কাঁদতে খারাপ অবস্থা ছিল, তার বারেবারে বলছিলো এই যে সেটা তাদের মেয়েরই মৃতদেহ, কিন্তু পুলিশ কোনো কিছু শুনতে রাজি ছিল না, পুলিশ বলে ডিএনএ টেস্ট হওয়ার পরই পুলিশ রিতার লাশ পরিবারকে দিতে পারবে। এখানেই আসে আসল কথা। আপনারা মনে হয়তো ভাবছেন ঠিকই আছে ডিএনএ টেস্ট করতে বড়জোড় আর কত সময় লেগেছে, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো রিতার পরিবার জানতে পেরে যায় বডি টা কার আর কাহানি শেষ (DNA test that have recognized dead body after 4 years )।

কিন্তু তেমনটা কিছুই হয় নি উত্তর প্রদেশের জ্যাস্বান্তনগরের ওই পরিবার ও মৃতদেহটির সাথে। রিতার পরিবারের সামনে পুলিশ মৃতদেহটিকে থানার অন্তর্গত পোস্টমর্টেম ডিপার্টমেন্টের একটা ফ্রিজারে ভরে দেয়। রিতা মিসিং হয়েছিলো ১৯ সেপ্টেম্বর ও লাশ পাওয়া গেছিলো ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, অর্থাৎ ৫ দিনের ব্যবধানে। এরপর ২০২০ পুরো পেরিয়ে যায়, ২০২১ ও চলে যায় তারপর আসে ২০২২, প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি হতে যাচ্ছিলো ।

রিতার পরিবার প্রতি সপ্তাহে, প্রতিমাসে পুলিশ স্টেশনের চক্কর লাগাত কিন্তু সেই এক নিরাশা নিয়ে ফিরে আসতো। রিতার পরিবার পুলিশকে এও বলে যা হয়েছে হয়ে গেছে এখন অন্তত তাদের পরিবারের মেয়ের মৃতকঙ্কাল তাদের দিয়ে দেয়া হোক। পুলিশ বলে না আগে ডিএনএ টেস্ট, রিতার পরিবার বলতে থাকে যেন কাউকে তাদের কাছে ডিএনএ sample নেয়ার জন্য পাঠানো হোক, কিন্তু পুলিশের এতটুকুও শরম-হায়া ছিল না যে তারা অন্তত রিতার বয়স্ক মাতা -পিতার মনের অবস্থাটা একবার বুজতো (DNA test that have recognized dead body after 4 years )।

Rita (DNA test that have recognized dead body after 4 years )
DNA test that have recognized dead body after 4 years

পুলিশের শুধু এইটুকু কাজ ছিল যে কোনো ফরেনসিক এক্সপার্টকে একঘন্টার জন্য ডেকে রিতার পরিবার থেকে ডিএনএ sample সংগ্রহ করা, ভেবে দেখুন পুলিশ এইটুকু কাজ করতে পারছিলো না প্রায় ২ বছর ধরে। পুলিশ কি ভেবে যে কিছু করছিলো না তা কেউ কিছু জানতো না, পুলিশ কি এই অপেক্ষায় ছিল যে লাশ আবার জীবিত হয়ে এসে বলে যাবে যে সে আসলে রিতা কিনা!! ২০২২ এ অনেক সিফারিশ ও কাকুতি-মিনতির পর পুলিশ একটু দয়া করার কথা ভাবে, পুলিশ একটা লোক পাঠায় ও রিতার পরিবারের ডিএনএ স্যাম্পল নেয় (Shocking Murder case of Rita of UP)।

রিতার পরিবার ও এলাকার সকলেই এই ভেবে খুশি ছিলেন যে অন্তত এতদিন পর তারা তাদের মেয়ের অন্তিমসংস্কার করতে পারবে ও তাদের মেয়ের আত্মা শান্তি পাবে। রিতার পরিবারকে বলা হয় তারা ডিএনএ স্যাম্পল পাঠিয়ে দিয়েছে ও ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট এসে যাবে, কিন্তু ওটাই হলো যা আসা ছিল , ২ মাস যায়, ৩ মাস যায়, এভাবে ৬টা মাস চলে যায় ডিএনএ রিপোর্ট এর কোনো খবর ছিল না। ৮ মাসের মাথায় রিপোর্ট আসে পুলিশ থানায়, রিতার পরিবার ভাবে যাক এখন অন্তত তারা তাদের মেয়েকে পাবে (Shocking Murder case of Rita of UP)।

DNA test that have recognized dead body after 4 years
DNA test that have recognized dead body after 4 years

কিন্তু রিপোর্টে আসে inconclusive( মানে স্যাম্পল ঠিকভাবে নেয়া হয় নি)। একবার ভাবুন এতো অত্যাচার কেউ কি সহ্য করতে পারে? ১.৫ থেকে ২ বছর একটা মেয়ের মৃতদেহ ফ্রিজারে ঝুলিয়ে রেখে, শেষে যখন এতো দিন পর ডিএনএ টেস্ট করায় সেটাতেও এতঅবহেলা যে sample টাই ঠিক করে নিলো না! এরপরও আরো দু’ তিন বার রিপোর্ট করায় পুলিশ কিন্তু আমাদের পুলিশ এমন সিরিয়াসলি তাদের ডিউটি করছিলো যে, বাকিবারেও সেই একই কেস হয় রিপোর্টে আসে inconclusive (Shocking Murder case of Rita of UP) ।

এখন কিন্তু ২০২৩ ঢুকে যায় আর পুলিশও আর ডিএনএ স্যাম্পল পাঠাতে রাজি হচ্ছিলো না। তারপর একজন ভালো মানুষ রিতার পরিবারকে আদালতে যেতে বলে। সেই লোকের কথা মতো রিতার পরিবার মেয়ের মৃতদেহ পাওয়ার আর্জি জানায় আদালতে। আদালত রিতার পরিবারের মুখে সব সত্যতা শুনে হাক্কাবাক্কা হয়ে যায় আর ভাবতে বাধ্য হয় পুলিশ এতটা দায়িত্বহীন কি করে হতে পারে!!

আদালতের করা নির্দেশের পর এতোদিনে পুলিশ একশনে আসে। পুলিশ স্পেশাল টীম বানিয়ে ডিএনএ স্যাম্পল পাঠায় ল্যাবে। কিন্তু পুলিশ এতটাই অকাজের হয়ে ওঠে যে আদালতের নির্দেশের পরও একবার ভুলভাল স্যাম্পল করে পাঠায়।৩০ জানুয়ারি ২০২৪ এ এসে ফাইনালি রিপোর্ট আসে। রিপোর্টে পরিষ্কার লেখা ছিল যে ৪০ মাস ধরে মর্গের ফ্রিজে পরে থাকা লাশ আর কারো না রিতারই (DNA test that have recognized dead body after 4 years )।

এখন প্রশ্ন ছিল রিতাকে কে আর কেনই মারলো ? রিয়ার পরিবার যখন রিতার মিসিং রিপোর্ট করিয়েছিলো, সেখানে তারা বলেছিলো যে রাম কুমার নামের একজনের ওপর তাদের সন্দেহ আছে। পুলিশ এতদিনে রাম কুমারের খোঁজ লাগাতে শুরু করে, যে কাজ ৪ বছর আগে করতে হতো সেটা এখন করার কথা ভাবছিলো পুলিশ।

কিন্তু রাম কুমার তার পরিবার নিয়ে কোথায় পালিয়েছে কেউ জানতো না। অবশেষে অনেক খোঁজের পর রাম কুমারকে পাওয়া যায়, সে জানাই রিতার সাথে তার এক্সট্রা ম্যারিটাল অ্যাফেয়ার ছিল, এই কথা জানতে পেরে রাম কুমারের স্ত্রী রাম কুমারকে চাপ দেয় সে যেন রিতাকে মেরে ফেলে।
এই জিনিটাই ৪ বছর আগে হতে পারতো, ৪ বছর ধরে একটা পরিবারকে ঐভাবে কাঁদতে হতো না, একটা ডিএনএ রিপোর্ট এর delay পুরো একটা পরিবারকে ৪ বছর ন্যায়ের বিচার থেকে বঞ্চিত করে রাখে (Shocking Murder case of Rita of UP)।

More you Visit:https://deepblogs.net/

More you can read:

SS Ourang Medan the legendary ghost ship of 1947

Karna pishachini incredible real life story with taaza khobor in 2024

https://taazakhobor.in/sector-36-movie-review/

https://taazakhobor.in/most-believable-replacement-reincarnation-case-of-the-world/

https://taazakhobor.in/story-of-horrible-crime-to-save-own-child/

https://taazakhobor.in/mystery-of-rajiv-gandhi-death-in-1991/

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *