বীরাপ্পান (Veerappan The Real Pushpa):
Is Pushpa’s story real?:
অল্লু অর্জুন(Allu Arjun) এর পুষ্পা(Pushpa 2) মুভিটি কোন চরিত্র থেকে inspire জানেন? সেই মানুষটি হলো একজন ডাকাত। ভারত এর যে নোটোরিয়াস ডাকাত কে কেন্দ্র করে এই মুভি টি তৈরি করা হয়েছে সেই ডাকাতের ভয়াবয়তা ব্যাপারে জানলে আপনি চমকে যাবেন। প্রায় ১৯০ জন মানুষকে নিজের হাতে খুন করেছিল সে। যার মধ্যে অধেকেই ছিল কোনো পুলিশ অফিসার কিংবা সরকারি কর্মচারী। ১৪৩ কোটি টাকার চন্দনকাঠ এবং ১৬ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক এই ডাকাতের নাম ছিল কুসে মুনুস্বামী বীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa)। প্রায় ৪০ বছর ধরে ভারতবর্ষে এর জঙ্গলে রাজত্ব করে বেড়ানো বীরাপ্পানকে ধরতে প্রায় ২২০ কোটি টাকার উপর খরচ করে ফেলেছিলো ভারত সরকার।
শেষ মেশ অবস্থায় এমন হয়েছিল যে কর্ণাটক এর তামিল নাড়ুর সরকার থেকে ঘোষণা করতে হয়েছিল যে বীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa) কে যে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ধরতে পারবে তাকে ৫ কোটি টাকার পুরস্কার দেওয়া হবে। Pushpa 2 মুভি তে অল্লু অর্জুন(Allu Arjun) বলেছিলো সে ফ্লাওয়ার নোই ওয়াইল্ড ফায়ার, কিন্তু দক্ষিণ ভারতের জঙ্গলের আসল ওয়াইল্ড ফায়ার হলো বীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa)। ১০০০০ কেজির চন্দনকাঠ চুরি আর ২০০০ হাতিকে খুন করে তাঁদের দাঁত উপড়ে দেওয়া , কর্ণাটকের সুপারস্টার কে অপহরণ সবই করেছিল বীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa)। এই ব্লগে আজ আমরা তার জীবন কাহানি জানবো।
Who is real Pushpa(বীরাপ্পান)? :

১৮ ই জানুয়ারী ১৯৫২ সালে কর্ণাটকের গোপীনাথাম গ্রামে জন্ম হলো কুসে মুনুস্বামী বীরাপ্পানের(Veerappan The Real Pushpa)। দরিদ্র পরিবারে জন্ম হওয়া ভীরাপ্পান ছোটবেলা থেকেই অভাব কে প্রচন্ড ঘৃণা করতো। বীরাপ্পানের বাবা গবাদি পশু চরানোর কাজ করতো। কিন্তু তার কাকা ছিল জঙ্গলের চোরাচালানকারী , তাই বাবার থেকে বেশি কাকাকেই পছন্দ করতো ভীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa)। খুব ছোট বয়স থেকেই কাকার সঙ্গে জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে অঞ্চলের বিভিন্ন বেআইনি শিকারী এবং নিষিদ্ধ চোরাচালানকারীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ভীরাপ্পান। ফলে কেবল ১০ বছর বয়সে হাতে বন্দুক নিয়ে হাতি শিকারের কাজে নেমে পরে ভীরাপ্পান।
নিজের নিখুঁত নিশানা এবং দৃঢ় মানসিকতার জেরে ১২ বছর বয়সেই অঞ্চলের সেরা বেআইনি হাতি শিকারির খেতাব জোটে বীরাপ্পানের। এরপর মাত্র ১৭ বছর বয়সে এক ফরেস্ট অফিসারের মাথায় গুলি করে এলাকায় চাঞ্চ্যল্য ফেলে দেয় সে। আর ঠিক এই ঘটনার পরে সে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ বলে মনে করতে শুরু করে ভীরাপ্পান। সে নিজের কাকার দল ছেড়ে দেয় এবং কেবল ১৮ বছর বয়সে নিজের একটা দল খুলে বসে। কিন্তু বীরাপ্পান এর এই উল্কার গতিতে উত্থান মোটেও পছন্দ হয় না এলাকার বাকি চোরাচালানকারীদের তাই তারা নিজেদের পথের কাটা বীরাপ্পান কে সরানোর জন্য পুলিশের সাথে হাত মেলায়।
ফলে ভীরাপ্পান এর একটার পর একটা বিসনেস ডিল চপাট হতে শুরু করে। প্রথমে সে ব্যাপারটা ভুগতে না পারলেও পরে সে বুঝতে পারে , তার পর শুরু হয় তার মরণ খেলা। সে একটার পর একটা চোরাচালানকারীকে খুন করতে শুরু করে আর অন্য দিকে পথের কাটা হয়ে থাকা পুলিশ আর ফরেস্ট অফিসারদেরকেও মারতে শুরু করে ভীরাপ্পান। আর এইভাবেই কর্ণাটক এর জঙ্গল পেরিয়ে সে তামিল নাড়ুর জঙ্গলেও নিজের আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় সে। নিজের দল ভারী করতে ১০০ জন বেআইনি শিকারির দল গঠন করে সে।
জঙ্গলের একটা ডাকাতের রমরমা দেখে চোখ কপালে ওঠে কর্ণাটক আর তামিল সরকারের। কারণ ভীরাপ্পান ঘনঘন হাতি শিকারের জেরে, জঙ্গলে হাতি সংখ্যা হু হু করে কমতে থাকে। তাই দুই রাজ্য মাইল জঙ্গলে ফরেস্ট অফিসারের সংখ্যা বাড়িয়ে দেয়। আর রাজ্য সভায় বিল পাশ করে তারা হাতির দাঁতের তৈরী জিনিস এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে দেয় যাতে ভীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa) বুঝতে পারে যে আর এই ব্যবসা বেশি দিন চলবে না। তাই নতুন কোনো বেআইনি ব্যবসা শুরু করতে হবে। কি সেই বেআইনি ব্যবসা? Pushpa 2 মুভি দেখে থাকলে এতক্ষণ হয়তো আপনি বুঝেই গেছেন যে সেটি কিসের ব্যবসা।
বীরাপ্পান এর নতুন চন্দন কাঠের বেআইনি ব্যবসা :

ভারতীয় সংবিধানের নিয়মানুসারে দেশের জঙ্গলে যত চন্দন কাঠ রয়েছে সেগুলির অধিকার কেবল রাজ্যসরকারের। কোনো সাধারণ মানুষ এই সব চন্দন কাঠ কাটলে কিংবা বিক্রি করলে সেটা পুরো পুরি ভাবে আইন বিরোধী কাজ কারণ বিশ্ব বাজারে এই চন্দন কাঠের মূল্য কেজি প্রতি প্রায় ১২ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। কিন্তু ভীরাপ্পান এইসব নিয়মকানুনকে ফু মেরে দিয়ে শুরু করলো চন্দনকাঠের বেআইনি সমাগলিং। এই খবর জানতে পেরে কর্ণাটক এবং তামিল নাড়ুর সরকারের ঘুম উড়ে গেলো। কারণ ভীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa) ততদিনে বিদেশি ক্লায়েন্ট জুটিয়ে নিয়েছে। আর বিদেশে এই চন্দনকাঠের বিশাল ডিমান্ড।
পুলিশের ব্যারিকেট বা পুলিশের সার্চ অপারেশন কোনো কিছুই ভীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa) কে আটকাতে পারলো না। সে ঠিক সবাইকে বোকা বানিয়ে বিদেশে চন্দন কাঠ স্মাগল করতে লাগলো। সেই সময় একের পর এক ফরেস্ট অফিসার ভীরাপ্পানকে ধরার জন্য জঙ্গলে পারি দিয়েছিলো ঠিকই কিন্তু তারা কোনো দিনই আর লোকালয়ে ফেরত আসতে পারেনি কারণ ভীরাপ্পান তাদের মেরে জঙ্গলের মধ্যে পুঁতে দিয়েছিলো। কিন্তু Pushpa মুভিতে পুষ্পা কে বারবার বাধা দেওয়ার জন্য যেমন ভ্যানবার সিং ছিল ঠিক তেমন ভাবেই ভীরাপ্পান কে আটকানোর জন্য এলেন IFS অফিসার পি. শ্রীনিবাস। এরপর তিন বছর ধরে চললো বাঘ হরিণের দোড়।
টানা ৩ বছর ধরে নিজের নেটওয়ার্ক এবং সমস্ত ইনফর্মার দেড় কাজে লাগিয়ে অবশেষে ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের জন্য পুলিশের জালে ধরা পড়লো ভীরাপ্পান। কিন্তু পুলিশ বেশিদিন ভীরাপ্পান(Veerappan The Real Pushpa)কে আটকে রাখতে পারলো না। সে কয়েকদিনের মধ্যেই পুলিশের হেফাজত থেকে পালালো আর তারপরে সে শুরু করলো নিজের নৃশংস তান্ডব। ১৯৮৭ সালে ভীরাপ্পান তামিল নাড়ুর চিদাম্বরম নামের একজন ফ্রেশ অফিসার কে অপহরণ করে তাকে নৃশংস ভাবে হত্যা করে দিলো। আর সরকারের কাছে বার্তা পাঠালো “আমার সঙ্গে ধড়িবাজি করার পরিণতি মৃত্যু। তাই খুব সাবধান। ” কিন্তু পি. শ্রীনিবাস বীরাপ্পানের এই হুমকিতে ভয় পেলেন না। তাই তারপর শুরু হলো একটা নতুন যুদ্ধ।
পি. শ্রীনিবাস VS বীরাপ্পান:

ভীরাপ্পানকে ধরার জন্য পুলিশ তার গ্রামের লোকদের অত্যাচার করার পন্থা বেছে নিয়েছিল। পুলিশ ভেবেছিলো ভীরাপ্পান যে যে গ্রামে ঘাঁটি গেড়ে থাকে সেই গ্রামের লোকজনকে থার্ড ডিগ্রী দিলেই তারা ভীরাপ্পান এর বিষয়ে ইনফরমেশন দিয়ে দেবে।
কিন্তু শ্রীনিবাস vs ভীরাপ্পান যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অফিসার শ্রীনিবাস সম্পূর্ণ অন্য একটা পন্থা অবলম্বন করলেন। গ্রামবাসীদের মনে জায়গা করার জন্য তিনি গ্রামের মধ্যে স্কুল,মন্দির এবং টিউবয়েল স্থাপন করলেন। এমনকি গ্রামের বেকার যুবক যুবতীদের কাজ দেওয়া শুরু করেন অফিসার শ্রীনিবাস। এমনকি বীরাপ্পানের বোন মারি পর্যন্ত শ্রীনিবাসের সাহায্যে একটা ওষুদের দোকানে চাকরি পাই। এইভাবে ধীরে ধীরে গ্রামবাসীদের মন জয় করে ফেলেন তিনি। আর তার জেরে তিনি বীরাপ্পানের বিষয়ে সমস্ত ইনফরমেশন এক এক করে জানতে থাকেন। ফলে একটা সময় এমন আসে যখন ভীরাপ্পান এর সমস্ত গোপন ঘাঁটি ,পালানোর রাস্তা এমনকি জঙ্গলের মধ্যে বিসনেস ডিলিংয়ের স্পট গুলো পর্যন্ত জেনে নেই IFS অফিসার পি.শ্রীনিবাস।
আর তার পরেই শুরু হয় শ্রীনিবাসের পাল্টা আঘাত হানা। বীরাপ্পানের একটার পর একটা বিসনেস ডিল চপাট করা আরম্ভ করে শ্রীনিবাস। আর অন্যদিকে বীরাপ্পানের সঙ্গীরাও এক এক করে গ্রেপ্তার হতে থাকে পুলিশের হাতে। পরিস্তিতি এমন জায়গায় পোঁছায় যে বীরাপ্পানের ১.৫ কোটি টাকার ডিল হাতেনাতে পাকড়াও করে বসেন শ্রীনিবাস। আর তার পর থেকেই বীরাপ্পানের সব থেকে বোরো শত্রু হয়ে উঠেন শ্রীনিবাস।
এই শত্রুতা পরম পর্যায়ে পোঁছায় যখন আচমকা বীরাপ্পানের বোন মারি আত্মহত্যা করে বসে। লোকে বলতে আরম্ভ করে যে শ্রীনিবাসের সঙ্গে নাকি শারীরিক সম্পর্ক ছিল মারির। আর তার জেরেই মারি গর্ভবতী হয়ে যায়। কিন্তু তারপর নাকি শ্রীনিবাস সে সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে আর এই অপমান থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিজেকে শেষ করে দেয় মারি। বীরাপ্পানের কানে এই খবরটা পোঁছোতেই সে ঠিক করে নেই যে সে শ্রীনিবাসকে যেকোনো ভাবে খুন করবে। তাই সে সন্ধান করতে থাকে সঠিক সুযোগের।
এরপর একদিন একটা ফাঁদ পটে ভীরাপ্পান সে তার ছোট ভাই অর্জুনান কে শ্রীনিবাসের কাছে পাঠায়। অর্জুনান শ্রীনিবাসকে গিয়ে বলে “আমার দাদা সারেন্ডার করতে চাই কিন্তু ও চাই না দলের কেউ এরেস্ট হোক তাই ও একাই থাকবে জঙ্গলে। ” শ্রীনিবাসকেও এক গিয়েই ভীরাপ্পানকে ধরে আনতে হবে। ভীরাপ্পান নিজেকে সারেন্ডার করতে চাইছে শুনে জয়ের নেশায় কিছু না ভেবেই তাকে এরেস্ট করতে শ্রীনিবাস একাই জঙ্গলে চলে গেলো। কিন্তু শ্রীনিবাস জঙ্গলে পোঁছানোর পর টের পান ভীরাপ্পানকে বিশ্বাস করে জীবনের সবচেয়ে বড়ো ভুলটা তিনি করে ফেলেছেন। শোনা যায় শ্রীনিবাসের কাটা মাথাটা নিয়ে নাকি তিন দিন পরপর ফুটবল খেলে ছিল ভীরাপ্পান। আর শ্রীনিবাসের মুনডুহীন দেহটা সে পাঠিয়ে দিয়েছিলো পুলিশ স্টেশনে। ঠিক এতটাই ভয়াল ও ভয়ঙ্কর ছিল ভীরাপ্পান।
Veerappan the real terror:

সাল ১৯৯১, শ্রীনিবাস কে এমন নির্মম ভাবে হত্যা করার পর। ভীরাপ্পান যেন রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘের মতো হয়ে উঠলো। কিন্তু লোকালয়ে ঢোকা এমন ভয়ঙ্কর বাঘকে তো আর খোলা ছেড়ে রাখা যাই না তাই ১৯৯২ সালে কর্ণাটক আর তামিল নাড়ু সরকার ভীরাপ্পানকে ধরার জন্য তৈরী করলো একটা জয়েন্ট Special Task Force যার নেতৃত্বে ছিলেন ওয়াল্টার দেভারাম। দায়িত্ব নেওয়ার কিছু দিনের মধ্যে বিরাট বড়ো সাফল্য অর্জন করেন ওয়াল্টার দেভারাম এবং SI শাকিল আহমেদের দল। তারা কর্ণাটকের বীরাপ্পানের সবচেয়ে কাছের সঙ্গী এবং দলের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড গুরুনাথান কে মেরে ফেলে।
মূলত শাকিল আহমেদের হাতেই মারা যাই গুরুনাথান। এবং এই খুনের বদলা নিতে আবারো একটা ফাত পাতে ভীরাপ্পান। সে বাজারে হাতির দাঁত ডিলিংয়ের একটা ভুয়ো খবর ছড়িয়ে দেয়। STF এর কাছে খবর যায় এই ডিলিংএ নাকি খোদ ভীরাপ্পান ও উপস্থিত থাকবে। এই মিথ্যে খবরকে সত্যি ভেবে নিয়ে অপারেশন চালাতে গিয়ে IPS হরিকৃষ্ণা আর SI শাকিল আহমেদ সহ সাত জন STF এর মেম্বার মারা যায়। এর পরেই ভীরাপ্পান নিজের নেক্সট টার্গেট হিসেবে বেছে নেই IPS অফিসার কে গোপালাকৃষ্ণানকে। সে গোপালাকৃষ্ণানের ইগোর সঙ্গে খেলে এবং তাকে বাধ্য করে জঙ্গলের দিকে আসতে।
STF এর অপেরেশনকেও ল্যান্ডমাইন দিয়ে তছনছ করে দেয় সে। গোপালাকৃষ্ণান সহ ২২ জন STF মেম্বারের মৃত্যু হয় তার ফাঁদে। ভীরাপ্পান এই মারাত্মক হানায় নড়ে যাই Special Task Force এর কর্তারা কিন্তু তারা হার না মেনে আরো বড়ো সড়ো সার্চ অপারেশন শুরু করে। ১৯৯৩ সালে বীরাপ্পানের স্ত্রী মুথুলক্ষ্মীকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু প্রমানের অভাবে কিছুদিনের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেয় তাকে।
ঐদিকে তামিল নাড়ুর সরকার বুঝে গেছিলো যে কেবল STF কে নামালে হবে না তাই তারা STF এর সঙ্গে BSF কেও জঙ্গলে মোতায়েন করলো। তামিল নাড়ুর সরকারের ওই সিদ্ধান্ত কাজে দিলো। ১৯৯৩ সালের জুলাই মাসে BSF এর হাতে বীরাপ্পানের দলের ১৯ জন সদস্য গ্রেফতার হলো। আর তার ঠিক এক মাস বাদে ভীরাপ্পান এর দলের আরো ১৮ জনকে গুলি করে মারলো BSF , কিন্তু ভীরাপ্পান কে কেউ কিছুতেই ধরতে পারলো না।
The Death Warrant:
১৯৯৬-৯৭ সাল থেকেই নিজের সেই আতঙ্ক বজায় রাখার জন্য রাজনৈতিক নেতাদের অপহরণ করা শুরু করলো ভীরাপ্পান। তবে সে তাদের কোনো ক্ষতি করতো না। কিছুদিন নিজের কাছে রেখে সরকারকে দিয়ে ক্ষমা চাহিয়ে আবার তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দিতো। ২০০২ সালে তামিল নাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ভীরাপ্পান এর এই রমরমা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না ,তাই তিনি তখনের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও সবচেয়ে খতরনাক পুলিশ অফিসার IPS কে বিজয়কুমার কে নিয়ে এলেন STF এর চিফ হিসেবে। আর এখান থেকেই শুরু হলো ভীরাপ্পানের জীবনের শেষ অধ্যায়।
The Last Battle:

টানা ১০ মাস ধরে ভীরাপ্পান এর বিষয়ে সমস্ত ইনফরমেশন সংগ্রহ করলেন IPS কে বিজয়কুমার। এরই মাঝে বিজয়কুমার নিজের অফিসে বসে ভীরাপ্পান এর সমস্ত ভিডিও ও ফুটেজ গুলো চালিয়ে দেখছিলেন। ঠিক তখনি একটা ভিডিও দেখে চমকে উঠেন বিজয়কুমার। আর তার পরমুহূর্তেই ওর মুখে একটা হাসি খেলে যায়। বিজয়কুম ওই ভিডিওতে দেখতে পান ভীরাপ্পান একটা বই পড়ার চেষ্টা করছে কিন্তু দৃষ্টি শক্তি কমে আসার জন্য ভীরাপ্পান ওই বইটি পড়তে অসুবিধা হচ্ছে। এটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে বিজয়কুমার নিজের ইনফর্মারকে এই বিষয়ে খোঁজ নিতে বলে। দিন ১৫ বাদে ইনফর্মার জানায় ভীরাপ্পান এর চোখে ছানি পড়েছে আর খুব তাড়াতাড়ি সে নিজের ছানি অপেরেশনের কথা ভাবছে।
এর পরেই ভীরাপ্পান এর দলে মিশে থাকা ২ জন ইনফর্মার কে বিজয়কুমার বললেন “ভীরাপ্পান ঠিক যে দিন জঙ্গল থেকে বের হয়ে নিজের চোখের অপারেশন করতে যাবে সেটা যাতে পুলিশ আগে থেকেই জানতে পারে। তারপর ১৬ই অক্টোবর ২০০৪ তারিখ এ বিজয়কুমার জানতে পারলেন তার ঠিক দু দিন বাদে ভীরাপ্পান চোখের অপারেশন করতে যাবে সালেমের একটা হাসপাতালে। বিজয়কুমার বুঝে যান যে ইটা ভীরাপ্পান কে শেষ করার বেস্ট চান্স। ঐদিকে ভীরাপ্পান ভাবলো যে সে অ্যাম্বুলেন্স এ চেপে জঙ্গলের বাইরে যাবে। কারণ অ্যাম্বুলেন্স এ একসঙ্গে অনেক লোক বসতে পারবে। সে নিজের ফুল protection এর জন্য অ্যাম্বুলেন্স এর ভিতরে বন্দুক,বোম্ব সব জমা করে তবেই জঙ্গল থেকে বেরোলো।
কিন্তু সে ইটা টেরি পাই নি যে অ্যাম্বুলেন্স আর তাতে থাকে হাসপাতালের কর্মী সবই বিজয়কুমার বেছে নিয়েছিলেন। ভীরাপ্পানকে খতম করার এই অপেরেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন কোকোন। STF এর অফিসার রা বিভিন্ন জায়গায় পসিশন নিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স টি তাদের ইশারা দেওয়ার জন্য এম্বুলেন্সের ফগ লাইট আর উপর নীল বাতি দুটোই জ্বালিয়ে দেবে যখন তারা warzone এ প্রবেশ করবে এটি ছিল তাদের কোড। অ্যাম্বুলেন্স warzone এ ঢোকার সাথে সাথে STF এর ওই দুই অফিসার যারা এম্বুলেন্সএ ছিলেন তারা বের হয়ে সেটি লক করে দেন। সেই অ্যাম্বুলেন্স কে ঘিরে ফেলে STF , ঠিক তখন বিজয়কুমার ভীরাপ্পান কে সারেন্ডার করতে বলে।
কিন্তু সে করলো না বটে গুলি চালনা শুরু করলো। তারপর ২০ মিনিট লড়াই চলে আর STF এর তরফ থেকে ৩৩৮ রাউন্ড ফায়ারিং হয় যাতে ভীরাপ্পান আর তার সঙ্গীর মৃত্যু হয়ে যায়। এইভাবেই হয়ে ছিল ভীরাপ্পান এর শেষ।
More to read:
Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.
Gurucharan Singh Who Was Mysteriously Missing Since April 22 Finally Came Home, He told….
For more such content visit: