Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story. KGF chapter 1 movie real untold story

Spread the news and knowledge

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story:

KGF এর রকি ভাইয়ের মতো বড়ো দাড়ি বড়ো চুল হাতে বন্দুক আলাদাই swag , কিন্তু জানলে চমকে যাবেন শুধু মাত্র সিনেমার পর্দাতেই নয় বাস্তবে অস্তিত্ব রয়েছে KGF এবং রকি ভাইয়ের। এই ভারতবর্ষের বুকেই বাস করতো KGF এর আসল রকি ভাই। যাকে দেখলে হাঁটু কেঁপে যেত তাবড় তাবড় পুলিশ অফিসারের। কিন্তু আসল রকি ভাইও কি সিনেমার রকি ভাইয়ের মতোই হ্যান্ডসাম দেখতে ছিল। আজ্ঞে না মুখে সরু গোঁফ , চেহারাও রোগা ছিপছিপে। হটাৎ করে লোকটাকে দেখলে মনেই হতো না যে সে এতো বড়ো একটা গ্যাংস্টার আর KGF এর ভাষায় বললে মনস্টার। KGF সিনেমায় যেমন রকি ভাই তার মেক যেমন ভালোবাসতো ঠিক তেমন ভাবে আসল রকি ভাইও তার মেক নিজের পৃথিবী বলে মনে করতো। মায়ের নামেই ছিল তার গ্যাংগের নাম।

History of KGF :

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story
Pic credit: Pinterest

KGF অর্থাৎ কোলার গোল্ড ফিল্ডস ভারতের দক্ষিণে কর্ণাটকের একটি জাগার নাম হলো কোলার। এই কোলার জেলার মূল শহরাঞ্চল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কোলার গোল্ড ফিল্ডস। আর এই KGF এই হলো পৃথিবীর দ্বিতীয় সবচেয়ে গভীর সোনার খাদান। আজ থেকে ৪০০ বছর আগেও লোকজন এখন থেকে হাতে করে সোনা তুলে নিয়ে যেত। এই KGF এর জন্যই ব্রিটিশেরা ভারতকে সোনার পাখি নাম দিয়ে ছিল। কারণ ব্রিটিশরা এখান থেকে ৯ লক্ষ কেজি সোনা লুট করে নিয়ে গেছিলো যা আজকের দিনের বাজার মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকার সমান। কিন্তু KGF এর বিপুল সোনার ভান্ডার ব্রিটিশদের কাছে গেলোই বা কি করে?

KGF এর পথ চলা শুরু হয় গুপ্ত সাম্রাজ্যের জগ থেকে কিন্তু বিভিন্ন রাজা মহারাজার হাতে ঘুরে অবশেষে তা পোঁছায় টিপু সুলতানের কাছে। কিন্তু ততদিনে ব্রিটিশদের নজর পরে গেছে KGF সহ গোটা ভারতবর্ষে। তারা খবর পেয়ে গিয়েছিলো যে KGF এ এতো সোনা আছে যে পুরো ইংল্যান্ড কে মুড়িয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু ভারতইয়দের কাছে উন্নত যন্ত্রপাতি ও সঠিক কৌশল না থাকাতে ভারতীয়রা এই সোনা মাটির গভীর থেকে তুলতে পারে না। তাই তারপরে টিপু সুলতানের পিছনে লাগলো ব্রিটিশরা। আর তাতে শুরু হলো এংলো -মাইসোর যুদ্ধ।

KGF The Mini England:

ইংরেজরা টিপু সুলতানকে খতম করার ছক কষলেও , টিপু সুলতানও ছিলেন প্রবল পরাক্রমশালী তাই তিনি ফরাসিদের সঙ্গে জোট বেঁধে ইংরেজদের সঙ্গে লড়াইয়ের সূচনা করলেন। কিন্তু অবশেষে ১৭৯৯ সালে চতুর্থ এংলো মাইসোর যুদ্ধে ব্রিটিশদের হাতে মারা পড়েন টিপু সুলতান। ঠিক তারপরেই ব্রিটিশরা একটা চালাকি করে তারা টিপু সুলতানের সমস্ত সাম্রাজ্য মাইসুরের ভারতীয় রাজার হাতে তুলে দিলেও KGF এর সমস্ত জমি নিজেদের আন্ডারে রেখে দেয়।

এই KGF কে সামলানোর জন্য ডেকে পাঠানো হয় নির্মম, অত্যন্ত অত্যাচারী অফিসার জন ওয়ারেন কে। এই ওয়ারেন সাহেবের হাত ধরেই আর আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সোনার খনন কাজ শুরু হয় কেজিএফে। কিন্তু শুধু যন্ত্রপাতি দিয়ে তো আর সোনা তোলা সম্ভব নয় তাই প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে কাজে লাগানো হলো কেজিএফে। আর কিছুদিন পর থেকেই শুরু হলো তাদের উপর অকথ্য অত্যাচার।

KGF movie তে যে ভাবে মানুষদের অত্যাচার করা হতো দেখানো হয়েছে বাস্তবে তার চেয়েও বীভৎস ভাবে অত্যাচার করতেন ওয়ারেন সাহেব। প্রায় ৬০০০ ভারতীয় শ্রমিক মারা গেছিলো এই অত্যাচারের কারণে। ইটা ১৮৮৯ সালের কথা। ধীরে ধীরে কেজিএফকে কেন্দ্র করে আস্ত একটা শহর বানিয়ে ফেলে ইংরেজরা। সাহেবদের বাংলো , ক্লাব, গল্ফ মাঠ থেকে শুরু করে সব তৈরী হতে লাগলো এই খাদানকে কেন্দ্র করে। এর কারণেই এই শহরকে মিনি ইংল্যান্ডও বলা হতো। ১৯৪৭ সালে সারা ভারতবর্ষ স্বাধীনতা ল্যাব করলেও কেজিএফএর শ্রমিকরা ইংরেজদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পাননি। ১৯৫৬ সাল অব্দি তারা ইংরেজদের হয়েই কাজ করতেন।

পরে ভারত সরকার আর রাজ্য সরকার কেজিএফ এর দায়িত্ব নেই আর স্থাপন হয় ভারত গোল্ড মাইনস লিমিটেড। কিন্তু তাও সেই শ্রমিকদের ওপর অত্যাচার হতো। আগে ইংরেজরা করেছে আর এখন তাদের অত্যাচার করছিলো স্থানীয় ঠিকেদারেরা। আর তখনি কাহিনীতে এন্ট্রি হয় আসল রকি ভাই aka Rowdy Thangam(Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story) এর।

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story:

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story
Pic credit: Pinterest

গরীবের মাসিহা, ইন্ডিয়ান রবিংহুড, বীরাপ্পান জুনিয়র এমন অনেক নামেই ডাকা হতো Rowdy Thangam কে। Thangam এর জন্ম হয়েছিল কেজিএফে। ছোটবেলা থেকেই মেক নিজের দুনিয়া ভাবতো Thangam, সে মায়ের জন্য সবকিছু ওলটপালট করে দিতে পারতো। Thangam এর মা পওলিনা ছিলেন কেজিএফএর একজন শ্রমিক। ছোটবেলা থেকেই Thangam দেখতো তার মা সহ কেজিএফএর অন্যান্য শ্রমিকদের ওপর কিভাবে অকথ্য অত্যাচার করতো ঠিকেদারেরা।

তাই ছোট থেকেই Thangam এর মনে প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে শুরু করে। KGF movie তে রকি ভাইকে যেমন তার মা বলেছিলো একদিন তোকে এই পৃথিবীর উপর রাজ্ করতে হবে ঠিক তেমনি Thangam এর মাও তাকে বলতো KGF এর রাজা হওয়ার জন্য। কিন্তু এই গল্পএ Thangam কেবল এক নয় তার তিন দাদা Sagayam, Gopi আর Jaykumar ও ছিল। যদিও Thangam ভাইদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছিল কিন্তু বিদ্বৎসতাই সবচেয়ে এগিয়ে ছিল সে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সেই কেজিএফএর এক ঠিকেদারকে বুকে পা তুলে তার মাথার খুলি বন্দুক দিয়ে উড়িয়ে দেয় সে। সে পণ নিয়েছিল যে সে প্রত্যেকটি ঠিকেদারকে উচিত শাস্তি দেবে। মাত্র ২১ বছর বয়সে একটার পর একটা ডাকাতি এবং খুনের মূল অপরাধী হয়ে উঠে Thangam . কিন্তু বড়ো লোকের থেকে ডাকাতি করে সেই জিনিস নিয়ে কি করত সে জানেন? সেই টাকাটার অধিকাংশটাই ভাগ করে দিতো কেজিএফএর গরিবদের আর অসহায়দের মধ্যে। মোট ৮৬ জন গুন্ডাকে নিয়ে একটা গ্যাং চালাতো Thangam আর সেই গ্যাংয়ের নাম সে রেখেছিলো পোলি গ্যাং। একটা লাল রঙের টাটা সুমো নিয়ে দিনের আলোতে ডাকাতি করতে বের হতো Thangam .

কেজিএফ এর আশেপাশের প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে Thangam এর ভয়ে কাঁপতো বড়োলোক ঠিকেদাররা। এইজন্য গোটা KGF এর মানুষ তার জন্য জীবন দিতে রাজি ছিল।

Shoot at Sight:

Rowdy Thangam Real Rocky Bhai Story
Pic credit: Pinterest

Thangam এর বাড়বাড়ন্ত দেখে চিন্তায় পরে গেলো কর্ণাটক সরকার। এটা যে সময়ের গল্প তখন বীরাপ্পান ও রাজ চালাচ্ছে কর্ণাটক আর তামিল নাডুতে। লোকজন Thangam কে জুনিয়র বীরাপ্পান বলেও ডাকা শুরু করে দিলো। কর্ণাটকের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পারলেন যে Thangam কে আটকানো না গেলে সে আরও বড়ো মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠবে। ১৯৯৭ সালে যখন Thangam এর বয়স মাত্র ২৫, এই বয়সেই খুন এবং ডাকাতির মতো ৪২ খানা অপরাধ করে বসেছিল Thangam . নিজের ৮৬ জনের গ্যাং মেস্বারকে নিয়ে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াতো Thangam, দিনে দুপুরে জুয়েলেরি দোকানে ঢুকে গয়নার ডাকাতি করতো সে। এই পরিস্তিতিতে হটাৎ একদিন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী Thangam এর বিরুদ্ধে shoot at sight এর অর্ডার জারি করলো।

The Killing of Rowdy:

মুখ্যমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে shoot at sight এর অর্ডার জারি করেছে শুনে Thangam একপ্রকার উদাও হয়ে গিয়েছিলো। বেশ কয়েকমাস তার কোনো খোঁজই পাওয়া যাই নি। এই Thangam কে পুলিশ ছুঁতেও পারতো না যদি সে তার মায়ের জন্মদিন পালন করতে কুপ্পাম এলাকায় পা না রাখতো। ১৯৯৭ সালের ২৭শে ডিসেম্বর কোলার থেকে ৫৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুপ্পাম এ সে সময় বসবাস করতো Thangam এর মা পওলিনা।

পুলিশ জানতো যে Thangam নিজের মায়ের জন্মদিনে ঠিক একবার কুপ্পামে আসবে। তাই সকাল থেকেই KGF পুলিশ ছদ্মবেশে ছড়িয়ে গেছিলো পুরো কুপ্পাম এলাকায়। Thangam এর এন্ট্রি হয় দুপুরের দিকে। একটা ছোট অটোতে ছদ্মবেশে সে পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকে নিজের মায়ের বাড়িতে। সেখানে দুপুর বেলার খাবার খেয়ে আর মার্ আশীর্বাদ নিয়ে সে প্রায় বের হয়ে যাচ্ছিলো এলাকা থেকে।

কিন্তু যে অটোতে সে বসেছিল তার ড্রাইভার তাকে চিনে ফেলে। সে কুপ্পাম থেকে বের হয়ে অটো থেকে নেমে নিজের লাল রঙের টাটা সুমো তে বসতেই দেখে তার পিছনে ১৭ খানা পুলিশের জিপ। প্রায় আধঘন্টা এই রাস্তা ওই রাস্তা ছুটিয়েও কোনো ল্যাব হলো না। ২৭শে ডিসেম্বর বিকেলে সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গেই অস্ত গেলো KGF এর রবিনহুডের জীবন। সোনা যাই যেদিন Thangam মারা যাই সেদিন কেজিএফের কোনো শ্রমিকের বাড়িতে ৩ দিন উনুন জ্বালানো হয় নি।

More to read:

Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.

Gurucharan Singh Who Was Mysteriously Missing Since April 22 Finally Came Home, He told….

বিজয় দেবকোন্ডা এবং মৃণাল ঠাকুরের “ফ্যামিলি স্টার” ফিল্মটি অবশেষে 2024 সালে OTT প্ল্যাটফর্মে পৌঁছেছে।

For more read: https://taazakhobor.in/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *