Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case.

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.

Spread the news and knowledge

Murderer caught after 15 years Sajni murder case

Murderer caught after 15 years Sajni murder case: Introduction:

একজন খুনিকে খুঁজে পেতে সময় লেগেছিলো ১৫ বছর(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)। ধরা পড়ার পর সেই ব্যক্তি পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে তাকে তারা কিভাবে খুঁজে পেলেন, কিভাবে ভুজতে পারলেন যে সেই খুনি। অর্থাৎ খুনি নিজেও ভুজতে পারেনি যে সে একদিন ধরা পড়তে পারে। আজ আমরা এই ব্লগ এ সেই খুনি আর তার খুন(Murderer caught after 15 years Sajni murder case) এর ব্যাপারে জানবো।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case Chapter 1- The Murderer:

২৩শে অক্টোবর ২০১৮, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট, আহমেদাবাদ এর ক্রাইম ব্রাঞ্চ এর অফিসার অনিল চৌধুরী ব্যাঙ্গালোরের বিখ্যাত মাল্টিন্যাশনাল সংস্থা ওরাকল এর বিল্ডিং এ ঢুকে সোজা হেটে গেলেন এক্সেকিউটিভ এর কেবিন এর দিকে। এক্সেকিউটিভ অফিসার এর নাম প্রবীণ ভোটেলে। সেই সময় নিঘ্ত ডিউটি তে থাকা ওরাকল এর এক্সেকিউটিভে অফিসার তার টীম এর সাথে একটি মিটিং করছিলেন।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

অনিল চৌধুরী কাছের দরজা ঠেলে দুঃখেই প্রবীনের দিকে তাকিয়ে বললেন “হ্যালো মিস্টার তরুণ। কেমন আছেন?” প্রবীণও হাত বাড়িয়ে দিলেন পুলিশ অফিসারের দিকে। তারপর ভুজলেন তার জীবনের সবথেকে বড়ো ভুলটি তিনি করে ফেলেছেন। ১৫ বছর ধরে যে ছদ্মবেশে থাকছিলেন কয়েক সেকেন্ডের ভুলে তা ধরা পরে গিয়েছিলো। অনিল সঙ্গে সঙ্গে বাইরে অপেক্ষারত বাকি পুলিশ কর্মীদের ডেকে নেন। প্রবীণ ভুজে গেছিলেন পালানোর আর কোনো পথ নেই। ধরা খেয়ে সে পুলিশ কে একটি মাত্র প্রশ্ন করেছিলো “আপনি আমাকে এটুকু বলে দিন, আমাকে খুঁজে পেলেন কি করে?”(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case Chapter 2- Arrested:

খুন(Murderer caught after 15 years Sajni murder case) যখন হয়েছিল তখন স্মার্টফোন নামক বস্তুটি বাজারে ছিল না। কিন্তু খুনি যখন ধরা পড়লো তখন স্মার্টফোন বাজারে চেয়ে গেছে। খুনি কে ধরতে সময় লেগেছিলো ১৫ বছর। ডিসেম্বর ২০০২, আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই বিয়ে হয়েছিল তরুণ আর সজনীর। তরুণ আহমেদাবাদের একটি স্কুলে ফিজিক্যাল এডুকেশন এর শিক্ষক ছিলেন। আর সজনী আহমেদাবাদেরই একটি ব্যাংকে এক্সেকিউটিভে অফিসার হিসেবে কাজ করতেন। বিয়ের পর তারা আহেমদাবাদের একটা এপার্টমেন্টে বাস করতে শুরু করেন।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

ঘটনা তা ঘটে(Murderer caught after 15 years Sajni murder case) বিয়ের তিন মাস পর। ১৪ই ফেব্রুয়ারী , ২০০৩, সন্ধে ৭.৩০ ভ্যালেন্টাইন্স ডে নিয়ে মসগুল শহরের সমস্ত প্রেমিকযুগল। সজনী তার বোরো দিদির সাথে প্রত্যেকদিনের মতো কথা বলছিলেন মিনিট দশেক কথা বলার পর ফোন রাখেন সজনী। এর ঠিক ২ ঘন্টা পর ফোন বেজে উঠলো সজনীর বাপের বাড়িতে। সজনীর বাবা ফোন রিসিভ করলেন ফোনের ওপারে পাগলের মতো কাঁদছেন তার জামাই তরুণ, কন্যার জন্য বুক কেঁপে ওঠে বাবার কারণ তরুণ বলেছিলো “আপনি তাড়াতাড়ি আসুন , সজনীর অবস্থা ভীষণই খারাপ।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

বাবা মা দৌড় লাগলেন মেয়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু তখনও তারা জানতেন না এটা তাদের জীবনের সবথেকে বড়ো এবং কঠিন রাত হতে চলেছে। তাদের প্রিয় সজনী ততক্ষণে ইহলোকের ভবলীলা সাঙ্গ করে পরলোকের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে। সজনীর বাবা-মা মেয়ের এপার্টমেন্টে যখন পোঁছলেন তারা দেখলেন মেয়ের মৃতদেহের পাশে বসে তার জামাই তরুণ ক্রমাগত কেঁদেই চলেছে। সারাবাড়ি জুড়ে যত্রতত্র জিনিসপত্র ছড়ানো। ভয়ঙ্কর ডাকাতি হয়ে গেছে বাড়িতে। আর সজনী এর গলায় তারই ওড়না জড়িয়ে তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করেছে(Murderer caught after 15 years Sajni murder case) ডাকাতের দল। সদ্য স্ত্রীহারা স্বামীর ব্যাকুল কান্না দেখে সজনীর পিতামাতা তাকে সান্তনা দিতে থাকেন।

তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদেরও মন ভিজে যাই তারুণ এর কষ্ট দেখে। সে যতই জাদরাইল পুলিশ অফিসার ই হোকনা কেন দিনের শেষে সেও তো একজন মানুষ। স্ত্রী হারানো শোকে বিবাহ স্বামীকে কি করে বা প্রশ্ন করবেন। তারা চিন্তা করলেন জিজ্ঞাসাবাদ পরে হবে আগে পোস্টমর্টেম জরুরি। সজনী এর মৃতদেহ রওনা দিলো পোস্টমর্টেমের জন্য। পাড়াপ্রতিবেশী থেকে আত্বিয়স্বজন সবাই তখন তরুণকে সামলাতে ব্যস্ত। সবাই ততোক্ষণে মেনে নিয়েছে ইটা একটা ভয়ঙ্কর ডাকাতি এবং হত্যাকাণ্ড(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)।

শুধু মন গললো না পুলিশ অফিসারের সাথে আসা স্নিফার ডগ এর। কুকুরদের জাতি এমন তারুণ এর সামনে ঘেউ ঘেউ করেই চলেছে তদন্তকারী অফিসারও ধমকে দিলেন প্রিয় পোষ্যটিকে সে তবুও নাছোড়বান্দা চিৎকার আর থামে না। সজনীর মৃতদেহ বেরিয়ে যেতেই কুকুরটিকে প্রায় একপ্রকার জোর করে সেখান থেকে বের করে আনলেন তদন্তকারী অফিসার।

সারারাত ধরে কেঁদেই চলেছে তরুণ। অবস্থা এতই খারাপ হয়ে গেলো যে ১৫ই ফেব্রুয়ারী তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলো। শরিয়রের অবস্থা খারাপ থাকায় স্ত্রীর দাহকর্ম করতে পারলেন না তরুণ। দাহকর্ম সারলেন তার দাদা। এর মধ্যে তদন্তকারী অফিসার একবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হলেন হসপিটালে সঙ্গে ছিল গতকালের পোষ্য প্রাণীটি। তরুণকে দেখা মাত্র আবার চিৎকার করা শুরু করলো কুকুরটি। হাসপাতালে এতো আওয়াজ করা যাই না। তাই পুলিশ অফিসার কে ফিরে আসতে হলো কিন্তু ততোক্ষণে তার মনে একটা খটকা জেগেছে।

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

কুকুরটি তরুণকে দেখলেই কেন চিৎকার করছে? না ব্যাপারটা সন্দেহজনক। তরুণকে একবার বাজিয়ে দেখাটা জরুরি। এটাই ছিল অফিসারের ভুল। পরের দিন অর্থাৎ ১৬ই ফেব্রুয়ারী জানা গেলো তরুণ নিখোঁজ। সে এমনই নিখোঁজ হলো যে আর তার টিকেটও খুঁজে পাওয়া গেলো না। দিন গেলো মাস গেলো পুরো বছর ঘুরলো কিন্তু তরুণ এর কোনো খোঁজ নেই।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case Chapter 3- Missing:

দিন গেলো মাস গেলো পুরো বছর ঘুরলো কিন্তু তরুণ এর কোনো খোঁজ নেই। সল্ ২০০৬ সজনী এর বাবা মা দেখা করলেন গুজরাট এর তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে। সি এম অফিস থেকে সোজা ফোন গেলো ক্রাইম ব্রাঞ্চে। নড়েচড়ে বসলেন পুলিশ আধিকারিকরা। ফের তদন্ত শুরু হলো জোর কদমে। এবার তদন্তের ভার পড়লো জয়েন্ট কমিশনার এ.কে.শর্মার উপর। এবার পুলিশের হাথে এলো ব্যর্থতা।

বছর ঘুরতে লাগলো আরো ৬ বছর পেরিয়ে গেলো দেখতে দেখতে। ২০১২ সালে সজনী খুনের ফাইল এস পচলো সেই সময়কার ডিসিপি দীপন ভাদ্রানের টেবিল এ। কেস ফাইল হাথে আসার পর দীপন ভাদ্রান একদম প্রথম থেকে আবারো তদন্ত শুরু করলেন। ডাকা হলো কেস এর সঙ্গে জড়িত সমস্ত চরিত্রদের – সজনী এর বাবামা, ভাই,বোন,আত্বিয় স্বজন কেউ বাদ গেলো না। ৪০০০ ফোন নম্বর টপ্ করা হলো কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না তরুণকে।

ওদিকে ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০০৩, ভোপালের বাসিন্দা প্রবীণ ভোটেলে এর নামের এক ব্যক্তি সকাল থেকেই ভীষণ উত্তেজিত। বহুদিন পর কলেজের এক বহু পরিচিত সিনিয়র দাদা যোগাযোগ করেছে তার সাথে। জরুরি প্রয়োজন তাই দেখা করতে আসছে। সময়মতো দেখা হলো দুজনের। প্রবীনের সিনিয়র দাদাটি জানালেন ব্যবসাই তার প্রচুর ক্ষতি হয়েছে তাই তার একটা চাকরির দরকার। প্রবীণ তার কোচিং সেন্টারে ইংলিশ টিচার এর চাকরি দিলেন তার সিনিয়র দাদাকে। দুজনের সম্পর্কের গভীরতা বাড়লো।

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

প্রবীণ এর পার্সোনাল কম্পিউটার ব্যবহার করা শুরু করলেন সেই দাদা। এই সুযোগে সিনিয়র দাদাটি প্রবীণ সমস্ত ডকুমেন্টস জোগাড় করলেন কয়েক বছর ধরে। ততদিনে ভোটের কার্ড এর সঙ্গে আঁধার কার্ডও এই গেছে। প্রবীণ এর আঁধার কার্ড পাসপোর্ট সব বের করলেন সেই সিনিয়র। তারপর সেখানে নিজের ছবি বসিয়ে প্রবীণ নামে নতুন জীবন শুরু করলেন সেই সিনিয়র দাদা। আসল প্রবীণ জানতেও পারলো না এই ঘটনাটা।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

এরপর ২০১২ সালে তিনি পঁচলেন বেঙ্গালুরু এবং সেখানেই প্রবীণ ভোটেলের নাম নিয়ে তিনি ওরাকল নামক একটি মাল্টিন্যাটিনাল কোম্পানিতে মোটা স্যালারির একটা চাকরিও জুটিয়ে নিলেন। এরপর তার আলাপ হলো নিশা নামক এক মেয়ের সঙ্গে। প্রবীণ উল্ফ তরুণ নিশাকে বললো যে সে অনাথ এবং তার এই পৃথিবীতে কেও নেই। আলাপ ক্রমশ প্রেমের পরিণতি পেলো বিয়েও হয়ে গেলো দুজনের। বাঙ্গালোরেই একটা লুক্সউরি এপার্টমেন্টে থাকতে শুরু করলেন তারা। নিশা জানতেও পারলো না যে তরুণ তার প্রথম স্ত্রী কে হত্যা করেছে। দুই সন্তান আর স্ত্রীর সাথে বেঙ্গালুরু এ বাস করতে শুরু করলো প্রবীণ aka তরুণ।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case Chapter 4- Disguise:

এদিকে পুলিশ ও হাল চারবার পাত্র নয় , দিনরাত তারা প্রবীণ কে খুজার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে তরুণ এর পিতা মারা যাই। ২০১২ সালে মানসরবাসী তরুণ এর মা আনাম্মা দেবীর বাড়ির আশেপাশে ভাড়াটা হিসেবে বাস করতে শুরু করেন তখন পুলিশের একটা দোল পৰ প্রতিবেশীর সঙ্গেও আলাপ করে আর আনাম্মা এর সঙ্গেও আলাপ করে তারা।

পাড়া প্রতিবেশীদের থেকে তারা জানতে পারে আনাম্মা দেবীর এক সন্তান থাকে আহমেদাবাদে আর এক ছেলে থাকে বোধয় দক্ষিণ ভারতে। বোধহয় শব্ধটার উপর বিত্তি করে তো আর তদন্তে এগোনো যাই না। সার্ভেলেন্স আরো শক্ত করা হলো। আনাম্মা দেবীর প্রত্যেকটা মুভমেন্ট ফলো করতে থাকলো পুলিশ। বেশ কিছু বছর ফলো করার পর পুলিশ জানতে পারলো আনাম্মা দেবী মাঝে মাঝে কেরালা যান , আবার কেরালা থেকে বেঙ্গালুরু এ আসেন। সে আসতেই পারে একলা মানুষ হয়তো আত্বিয়দের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ আর এমন কি আর নিশা নামক এক মহিলা মাঝে মাঝে খোঁজ নেন আনাম্মা দেবীর।

তবুও আনাম্মা দেবীর ফোন এ আসা প্রত্যেকটি কল ডিটেলস পুলিশ খতিয়ে দেখতে থাকে। কিন্তু হাথে কিছুই আসে না। দেখতে দেখতে আরো ৬ বছর কেটে যাই। শেষমেষ ২০১৮ সালে প্রথম ব্রেকথ্রু পায় আহমেদাবাদ পুলিশ। আনাম্মার মোবাইল এ একটা ল্যান্ডলাইন নম্বর থেকে একটা ফোন আসে। ল্যান্ডলাইন এর নম্বর ক্ষতিয়ে দেখার পর পুলিশ জানতে পারে ওটা ওরাকল ইন্ডিয়ার ফোন নম্বর। প্রশ্ন ছিল ওরাকল থেকে আনাম্মা কে কেন ফোন করা হবে?

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

আহমেদাবাদ পুলিশ তাড়াতাড়ি পোঁছায় বেঙ্গালুরুতে। লোকাল পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যোগাযোগ করা হয় ওরাকল ইন্ডিয়াতে ,নেওয়া হয় সমস্ত এমপ্লয়ীদের ডিটেইলস। ফের ব্যর্থ হয় পুলিশ। একজনরেও নাম তরুণ নয় তবে পুলিশ জানতে পারে প্রবীণ ভোটেলের নামের এক ব্যক্তি আনাম্মা কে ফোন করেছিলেন। পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে এই প্রবীণ ভোটেলে হলেন সেই ব্যক্তি যার স্ত্রী নিশার সঙ্গে মাজেমধ্যে কথা বলেন আনাম্মা।

পুলিশ ইডেন্টিফাই করার জন্য তরুণের সমস্ত পুরোনো ফটো জোগাড় করে। তারা জানতো আহমেদাবাদে একটা ভলিবল ম্যাচ চলাকালীন তরুণ এর ডান হাথের মধ্যমা ভেঙে গেছিলো, তাই আঙুলটি একটু বাঁকা। আর দেরি করে নি পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্গালোরের ওরাকল ইন্ডিয়ার অফিসের সামনে সিভিল ড্রেসে পুলিশি পাহারা বসিয়ে দেওয়া হয়। সবার হাতে তরুণের ১৫ বছর আগের ছবি সবাইকে সাফ ইন্সট্রাকশন দেওয়া হয় এই ছবির সঙ্গে কারোর মুখের মিল দেখলেই যেন কন্ট্রোল রুমে খবর দেওয়া হয়। কিছুদিনের মধ্যেই খবর এলো তরুণের মতো দেখতে একজন লোক ওই অফিসে চাকরি করে বটে তার নাম প্রবীণ।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

Murderer caught after 15 years Sajni murder case: Conclusion- The Handshake:

তারপর এলো সেই দিন অফিসার অনিল চৌধুরী রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে সিভিল ড্রেসে ঢুকলেন ওরাকল অফিসে প্রবীণ ভোটেলের দিকে স্মার্টলি হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললেন “হাই মিস্টার তরুণ”। তরুণ নামটা প্রায় ১৫ বছর পর(Murderer caught after 15 years Sajni murder case) শুনেছিলো সে কিন্তু ততক্ষণে সে ভুলবশত হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পালানোর কোনো রাস্তা নেই। তরুণের কপালে জমতে থাকে ঘাম ,কিছুক্ষণের নিস্তব্ধতা। অনিল চৌধুরী হাত মিলানোর সময় শনাক্ত করে ফেলেছেন ভাঙা আঙুলটি। পুলিশ অফিসারের চোখে তখন যুদ্ধ জয়ের হাসি।

Murderer caught after 15 years Sajni murder case.
Murderer caught after 15 years Sajni murder case. Pic credit: Pinterest

তরুণের দু হাথে যখন হাত কড়া পড়ানো হচ্ছে তখন সে একটা কোথায় বলেছিলো যে তারা তাকে কিভাবে খুঁজে বের করেছে। অফিসার বললেন “তাহলে মিস্টার তরুণ লুকোচুপি খেলা শেষ , আহমেদাবাদে ফেরা যাক। ” সজনী এর বাবামা এতো বছর অপেক্ষা করার পর জানতে চেয়েছিলেন তাদের মেয়েকে কেন মারা হয়েছে। তরুণ তার উত্তর দিয়েছিলো “আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল আমি একজনকে ভালোবাসতাম তাই স্ত্রীর হাত থেকে নিস্তার পেতে চেয়েছিলাম ওকে খুন করে গেছিলাম সেই প্রেমিকার কাছে সমস্ত ঘটনাটা শুনে ও বলেছিলো যে সে কোনো খুনির সঙ্গে থাকতে চাই না। “(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

সজনী এবং তরুণ এর মধ্যে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি হতো , মারধরও করতো তরুণ তবুও সজনী কাউকে কিছু বলতো না। তরুণ সজনী কে ডিভোর্স দিয়ে জেক ভালোবাসতেন তার সঙ্গে জীবন শুরু করতেই পারতেন তাহলে গল্পটা আজ অন্য রকম হতো।(Murderer caught after 15 years Sajni murder case)

More you can Visit: https://deepblogs.net/

More read:

Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.

UNICEF: “1 in 4 children are suffering from food poverty in India. India is among the 20 nations and among the worst conditions”

Who is the Prime Minister of India in 2024. Biggest question of whole India.

The real zombie occupied city of world by xylazine drug, that 99.99% people don’t know

The real mystery of last stone age tribe of north sentinel island and sentinelese tribe, that 99.99% people don’t know

Murderer to tibetan monk, an incredible life journey of Milarepa, that 99.99% People don’t know

Lifesaver Doctor to bloody serial killer, know the mystery that gives 100% horrible feel

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *