Karna pishachini incredible real life story(কর্ণ পিশাচিনী ) রিয়েল লাইফ স্টোরি :
চরিত্রের নাম নেয়া হবে না। চরিত্রের কাল্পনিক নাম দেয়া হলো অমিত। যার গল্প সে ছিল ক্লাস ১২ এ, সাত বছর আগের ঘটনা। জায়গা ছিল জয়পুর। সে তেমন বেশি হ্যান্ডসম লুকিং ছেলে ছিল না, তাই তার সবসময় লাগতো কোনো মেয়ে তাকে তেমন একটা পছন্দ করে না। কিন্তু ঐশ্বরিয়া নামের একজনের ওপর অমিতের ক্রাশ ছিল। কিন্তু ঐশ্বরিয়া খুব সুন্দর ছিল তাই অমিত কখনো তাকে প্রপোজ করার সাহস পেতো না। সেইদিনের কথা যখন ছিল অমিতদের স্কুলের ফেয়ারওয়েল (Karna pishachini incredible real life story)।
সবাই খুব মস্তি করার মুডে ছিল আর কেউ কেউ একটু ড্রিংকও করেছিল, আর সে কেউ এর মধ্যে ছিল ঐশ্বরিয়াও। অমিত ভাবে এটাই সুযোগ ঐশ্বরিয়ার মন জেতার,সে ভাবে সে ঐশ্বরিয়াকে বাড়িতে ছেড়ে দিয়ে আসবে (horror and mystery things of the world)। বাড়িতে পোঁছে গাড়ি থেকে নামার পরই অমিত হঠাৎ ঐশ্বরিয়াকে প্রপোজ করে দেয় আর ঐশ্বরিয়াও নেশার ঘোরে অমিতকে হা বলে দেয়। কিন্তু অমিতের কাছে এটা মোটেই বিশ্বাস হচ্ছিলো না যে ঐশ্বরিয়া তাকে হ্যাঁ বলতে পারে। এই হ্যাঁ এর ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই ঐশ্বরিয়া তাকে বলে সে তার সাথে রাত কাটাতে চায় (karna pishachini horror story)।
ঐশ্বরিয়ার কথা শুনে অমিতের খুশির ঠিকানা ছিল না, অমিত ও ঐশ্বরিয়া, ঐশ্বরিয়ার বাড়ির সামনে থেকে u turn নিয়ে চলে যায় একটা oyo হোটেলে। আর তারা পুরো রাত সাথে কাটায় আর সব করে যা আপনারা ভাবছেন। পরেরদিন অমিত ভোরবেলা তাড়াতাড়ি উঠে স্কুল চলে যায় আর সবাইকে ঐশ্বরিয়া ও তার সব কথা বলে, অমিত স্বাভাবিকভাবে খুব খুশি ছিল কারণ যেটা সে কখনো আসা করে নি সেটা তার সাথে হয়েছিল (Karna pishachini incredible real life story)।
অমিত ভাবছিলো সে ঐশ্বরিয়াকে surprise দেবে কিন্তু যখন ঐশ্বরিয়া স্কুলে আসে, অমিতের সব খুশি উধাও হয়ে যায়। ঐশ্বরিয়া এসেই অমিতকে চড় লাগিয়ে দেয় আর বলে অমিত নাকি আগেরদিন রাতে ঐশ্বরিয়ার ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে ঐশ্বরিয়ার সাথে সেক্স করেছে। এই কথা খুব তাড়াতাড়ি স্কুলে ছড়িয়ে পরে আর অমিতের খুব বদনামী হয়। অমিত অনেকদিন ডিপ্রেশনে ছিল তারপর ধীরে ধীরে সে সাভাবিক হতে থাকে (Karna pishachini incredible real life story)।
কলেজের লাস্ট ইয়ার ছিল, আর তাদের ফেয়ারওয়েল ছিল, সবাই মিলে যে যার মতো ইয়ার্কি মারছিলো, এমন সময় একটা ছেলে অমিতকে বলে তার দ্বারা কখনো কোনো মেয়ে পটানো সম্ভব না, সে চাইলে কর্ন পিশাচিনীকে পটাতে পারে। একথা অমিতের ট্রিগার করে যায়। সে বাড়ি গিয়ে কর্ণ পিশাচিনী নিয়ে রিসার্চ করা শুরু করে (Karna pishachini incredible real life story)।
কর্ণ পিশাচিনীর প্রসেসটা হচ্ছে আপনাকে সাধনা করতে হবে যার পর সব চেয়ে সুন্দর ওই নারী আপনার কাছে আসবে আর যা চাইবেন তাই দেবে,যে কখনো কিছু ,এমনটাই মনে করা হয়। অমিত জানতো না যে এই সাধনা আদেও কি করে করে ,তাই সে অনেক ছানবিন করে জানতে পারে পুস্কর ঘাটের কিছু বিখ্যাত অঘোরী সম্বন্ধে (karna pishachini horror story)।
অমিত ভাবে এই অঘোরীরাই পারবে তার কর্ণ পিশাচিনীর নৌকাকে কিনারা দিতে। অমিত বাড়িতে ঘোরার বাহানা করে পুস্কর চলে যায়। সেখানে সে অঘোরীদের সাথে ভালো তালমিল করে নেয় ,আর কথায় কথায় জিজ্ঞেস করে নেয় কর্ণ পিশাচিনীকে নিয়ে। অঘোরীরা তাকে একটা বই সম্বন্ধে বলে (Karna pishachini incredible real life story)।
অমিতভাবে সে ওই বই দেখে সব সাধনা করে নেবে আর কর্ণ পিশাচিনীকে পেয়ে যাবে (horror and mystery things of the world)। অমিত বাড়ি ফিরে আসে তারপর সেখান থেকে হোস্টেল চলে যায়। অমিতের মাথায় ছিল এখন সে সব কিছু পেয়ে যাবে যা সে চায়। কিন্তু অমিত জানতো না যে কর্ণ পিশাচিনীকে শুধু দেখে আনলেই শেষ নয় ,তাকে কিভাবে কাবু করতে হবে ও কিভাবে তার কাছ থেকে ছুটকার পাওয়া যাবে সেগুলো জানাও দরকার ছিল। কিন্তু অমিত যেই বই এনেছিল সেটাই শুধু ছিল কর্ণ পিশাচিনীকে আহব্বান জানানোর পদ্ধতি (karna pishachini horror story)।
অমিত কিন্তু জানতো না যে একবার যদি কর্ণ পিশাচিনী এসে যায় তাহলে তার থেকে ছুটকারা কি করে পেতে হয়। যাই হোক অমিতের মাথায় তখন শুধু কর্ণ পিশাচিনীকে পাওয়ার ভূত চলছিল। অমিত রোজ গভীর রাতে কর্ণ পিশাচিনী আহব্বান যজ্ঞ করতে থাকে। কর্ণ পিশাচিনীর এই যোজ্ঞও কিন্তু ৩ সপ্তাহে ৩ ধাপে বিভক্ত ছিল। প্রথম দুই সপ্তাহ মোটামুটি সহজভাবেই কাটিয়ে দেয় অমিত (Karna pishachini incredible real life story)।
কিন্তু তৃতীয় সপ্তাহের নিয়ম জানলে আপনারাও রীতিমতো অবাক হয়ে যাবেন। শেষ ধাপটাতে অমিতকে নিজের শরীরের একটা অঙ্গ কেটে যজ্ঞে দিতে হচ্ছিলো সাথে রক্তও, তারপর নিজের মল-মূত্র জমা করে তা খেতে হচ্ছিলো ও উলঙ্গ অবস্থায় পুরো শরীরে মেখে নিতে হচ্ছিলো (karna pishachini horror story)।
কর্ণ পিশাচিনীকে পাওয়ার বাসনা এতটাই মাথায় চড়ে বসেছিল যে অমিত সে সব কিছু করে বসলো। এইবার অমিত অপেক্ষা করছিলো কর্ণ পিশাচিনীর আসার। অমিত যে অপরূপ সুন্দরী মেয়েকে কর্ণ পিশাচিনী হিসেবে কল্পনা করছিলো, তার একটা স্কেচ সে বানিয়ে ছবি বাধিয়ে রেখেছিলো (Karna pishachini incredible real life story)।
৩ সপ্তাহ ২ দিন পর অমিত যখন ভাবছিলো কর্ণ পিশাচিনী হয়তো আসবে না আর এই সব যোজ্ঞ বোধয় বুয়ো, তখন অমিত শুতে যাওয়ার আগে হঠাৎ লক্ষ্য করে টেবিলে রাখা কর্ণ পিশাচিনীর কল্পিত ছবিটা ফ্রেমের মধ্যে নেই।অমিত ভাবে হয়তো সে ভুল দেখছে। কিন্তু সত্যিই ওই ছবিটা ছিল না ফ্রেমে। আর ঐদিন হঠাৎ রাতে আসে এক সুন্দরী মহিলা আর সেই ছিল কর্ণ পিশাচিনী।
রাত ৩টা নাগাদ হঠাৎ অমিতের ফ্ল্যাটে কে যেন দরজা পিটুনি দেয়। অমিত ভাবে ওয়াচম্যান হবে,কিন্তু দরজা খুলে সে দেখে কেউ নেই আর যখনি সে দরজা বন্ধ করতে যাচ্ছিলো হঠাৎ জোর হাওয়া ছুঁয়ে গেলো অমিতের গায়ের পাশ দিয়ে। অমিত দরজা বন্ধ করে যেই পেছন ফিরে তাকাই সে দেখে অপরূপ সুন্দরী সেই মহিলা যাকে অমিত নিজের কল্পনায় ভেবেছিলো। এটা তার কল্পনা না হাকিকাত সে নিজেই বুজতে পারছিলো না (Karna pishachini incredible real life story)।
ওই মেয়েকে দেখার পরই অমিত তার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে আর সকালে উঠে সে দেখে সে উলঙ্গ অবস্থায় বিছানায় পড়ে আর তার গায়ে কোনো মেয়ের দাঁত ও নাখুন এর নিশান। অমিত তার প্রাইভেট পার্ট দেখে বুজতে পারে তার সাথে কেউ শারীরিক মিলন ক্রিয়া করেছে ,আর এটা কর্ণ পিশাচিনী ছাড়া আর কেউ তো হতে পারেই না।
এভাবে রোজ কর্ণ পিশাচিনী অমিতের সাথে সেসব কিছু করতে থাকে যা অমিত চাইছিলো। কিছুদিন পর অমিতের দিদি হঠাৎ অমিতের সাথে দেখা করতে আসে। তারা দুজন বেশ আড্ডা দেয় আর অমিতের চুলে হালকা মালিশ করে অমিতকে ঘুম পাড়িয়ে তার দিদি বাড়ির উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যায় (Karna pishachini incredible real life story)।
পরদিন যখন অমিত সকালে উঠে অমিতের সব চুল ঝরে পড়েছিল। অমিত বুজতে পারে দিদি তার চুলগুলোকে ভালোবাসার সাথে মালিশ করেছে তাই কর্ণ পিশাচিনী তাতে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমনটা করেছে। এবার অমিতভাবে তাহলে কর্ণ পিশাচিনী তো তার দিদিকেও কোনো ক্ষতি করতেই পারে। অমিত তাড়াতাড়ি দিদিকে ফোন লাগায় আর সে জানতে পারে দিদির দুহাত ভয়ানক জ্বলে গেছে আর দিদি হাসপাতালে (Karna pishachini incredible real life story)।
এইবার অমিত বড়োসড়ো চিন্তায় পরে যায় কারণ সে শুধু কর্ণ পিশাচিনীকে আহব্বান করতে পারতো কিন্তু তাকে নিজের জীবন থেকে কিভাবে তাড়াবে সেটা জানা ছিল না তার। অমিত ভাবে সত্যিই কি কর্ণ পিশাচিনী সে সবাইকে মেরে দেবে যারা অমিতের কাছাকাছি আসবে?, এই প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে জানার জন্য অমিত একটা সেক্সওয়ারকারের সাথে এক রাত কাটায় কিন্তু ওই মেয়ের কিছুই হয় না দেখে অমিত তাকে চলে যেতে বলে যেই মেয়েটা হোটেল রুম থেকে বেরোয় একটু পর বিল্ডিং এর নিচে প্রচুর শোরগোল আরম্ভ হয় (Mystery of karna pishachini)।
অমিতও নিচে যায় দেখতে যে কি হলো, অমিত যা দেখে সেটা সে কখনো কল্পনাও করতে পারে নি। অমিত দেখে ওই সেক্সওয়ারকার তা সিঁড়ির নিচে মরে পরে আছে আর তার শরীরে কোনো জামাকাপড় ছিল না।অমিত তারপর আর দেরি না করে তাড়াতাড়ি ছুটে গেলো সেই অঘোরী তান্ত্রিকদের কাছে। অমিত সব ব্যাপার তাদের বলে আর সাহায্যের দোহায় দেয় (Karna pishachini incredible real life story)।
তান্ত্রিক অঘোরী তারপর অমিতকে একটা যোজ্ঞ করতে বলে যা তাকে কর্ণ পিশাচিনী থেকে রক্ষা করবে। অঘোরীর উপায় অনুসারে অমিত উলঙ্গ শরীরে মাঝরাতে শশানঘাটে শুয়ে থাকে ও অঘোরী পাশেই তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে যোজ্ঞ শুরু করে , এক পর্যায়ে অমিত অনুভব করে তার ওপর ভারী কিছু একটা আছে ,আর ঠিক সেই সময় অঘোরী অমিতের ওপর মন্ত্র্যান্নিত ভস্ম ছুড়ে দেয় (Mystery of karna pishachini)।
অমিত বমি করতে শুরু করে , কর্ণ পিশাচিনীকে ডাকার সময় সে যা যা খেয়েছিলো সব এক এক করে বমি করতে থাকে প্রথমে সেই কাঁচা মুরগি, তারপর কাঁচা পায়রা সব। অমিত (আসল নাম অন্য কিছু ) তার জীবনে অনেক বড়ো একটা এক্সপেরিয়েন্স করেছিল, তার এই অভিজ্ঞতা থেকে এইটুক নিচ্চিত যে সহজে কোনো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। যে এই কাহানি শেয়ার করেছে তার সত্যতা ঠিক কতটা তা তো জানা নেই কিন্তু তাজা খবর আপনাদের বিনোদন দেয়ার পুরো চেষ্টা করতে থাকবে। আজ এই পর্যন্ত আবার নিয়ে এসব নতুন কিছু নিয়ে (Mystery of karna pishachini)।
More You can Visit: https://deepblogs.net/
More you may read:
https://taazakhobor.in/mystery-of-rajiv-gandhi-death-in-1991/
https://taazakhobor.in/death-mystery-of-indian-paranormal-investigator-gaurav-tiwari/
https://taazakhobor.in/story-of-horrible-crime-to-save-own-child/