Hamida Banu: The Incredible Life Story of India’s First Woman Wrestler(হামিদা বানু: ভারতের প্রথম মহিলা রেসলারের অবিশ্বাস্য জীবন কাহানী)

Hamida Banu: The Incredible Life Story of India’s First Woman Wrestler(হামিদা বানু: ভারতের প্রথম মহিলা রেসলারের অবিশ্বাস্য জীবন কাহানী)

হামিদা বানু(Hamida Banu), ভারতের প্রথম পেশাদার মহিলা কুস্তিগীর হিসাবে বিবেচিত, উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের কাছে ,1900 এর দশকের গোড়ার দিকে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতের প্রথম মহিলা কুস্তিগীর, যিনি 300 টিরও বেশি ম্যাচ জিতেছেন এবং প্রতিদিন 2 প্লেট বিরিয়ানি খেতেন| তিনি 1940 এবং 50-এর দশকে যখন হামিদা তার নাম পায়,এমন এক সময়ে যখন অ্যাথলেটিক্সে মহিলাদের অংশগ্রহণকে প্রচলিত সামাজিক নিয়ম দ্বারা নিরুৎসাহিত করা হতো ।

বিবিসির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তার ওজন ছিল 17 পাথর (108 কেজি) এবং উচ্চতা 5 ফুট 3 ইঞ্চি (1.6 মিটার), তার প্রতিদিনের খাবারে 5.6 লিটার দুধ, 2.8 লিটার স্যুপ, 1.8 লিটার ফলের রস, একটি chicken, প্রায় 1 কেজি মাটন এবং বাদাম, আধা কেজি মাখন, 6টি ডিম, দুটি বড় রুটি, এবং বিরিয়ানির দুটি প্লেট।

তার(Hamida Banu) দর্শনীয় কীর্তি এবং প্রশংসনীয় ব্যক্তিত্ব তাকে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি এনে দেয়। তিনি তার সময়ের একজন লেগেন্ট ছিলেন এবং তার নির্ভীকতা সারা ভারতে এবং সারা বিশ্বে স্মরণ করা হয়। আজ, Google ডুডল মিসেস বানুর অসাধারণ জীবনের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করছে।
হামিদা বানু এর ইতিহাস :
হামিদা বানু উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের কাছে 1900 এর দশকের গোড়ার দিকে কুস্তিগীরদের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি এমন এক সময়ে কুস্তিতে প্রবেশ করেছিলেন যখন প্রচলিত সামাজিক নিয়ম দ্বারা অ্যাথলেটিক্সে মহিলাদের অংশগ্রহণকে নিরুৎসাহিত করা হতো । মেয়েরা অ্যাথলেটিক্সে আসবে সেটা সে সময় অবিশ্বাস্য ব্যাপার ছিল। মিসেস বানু এতটাই সাহসী আর আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, তিনি পুরুষ রেস্লারদের সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন , যে তাকে হারিয়ে দেবে বানু তাকে বিয়ে করে নেবে।

মিসেস বানুর(Hamida Banu)  তার ক্যারিয়ারে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও অনেক নাম প্রসারিত করেছিলেন, যেখানে তিনি একজন রাশিয়ান মহিলা কুস্তিগীর ভেরা চিস্টিলিনকে দুই মিনিটেরও কম সময়ে হারিয়ে দিয়েছিলেন । “তার নাম বছরের পর বছর ধরে সংবাদপত্রের শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল, এবং তিনি(Hamida Banu) “আলিগড়ের আমাজন” হিসাবে পরিচিত হয়েছিলেন। তিনি যে লড়াইগুলি জিতেছিলেন, তার ডায়েট এবং তার প্রশিক্ষণের দ্বারা। তার এই ডায়েট আর প্রশিক্ষণের পদ্ধতিগুলো ব্যাপকভাবে আচ্ছাদিত হয়েছিল।

“হামিদা বানু(Hamida Banu)  ছিলেন তার সময়ে মেয়েদের অ্যাথলেটিক্সের ক্যারিয়ারের প্রবর্তক। তার নির্ভীকতা সারা ভারত এবং সারা বিশ্ব জুড়ে স্মরণ করা হয়।

you also may like:

হামিদা বানুকে কী জনপ্রিয় করেছে?
“আমাকে মার দাও , আমি তোমাকে বিয়ে করব”। বিবিসি এর রিপোর্ট অনুসারে, 1954 সালের ফেব্রুয়ারিতে মিসেস বানু(Hamida Banu) পুরুষ কুস্তিগীরদের কাছে এই চ্যালেঞ্জটি করেছিলেন। ঘোষণার পরপরই, তিনি দুই পুরুষ রেসলিং চ্যাম্পিয়নকে পরাজিত করেন – একজন পাঞ্জাবের পাতিয়ালা থেকে এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ছিলেন ।ভারতের প্রথম মহিলা রেসলার হামিদা বানু “আলিগড়ের আমাজন” হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

মে মাসে, মিসেস বানু তারপরে তার বছরের তৃতীয় লড়াইয়ের জন্য গুজরাটের ভাদোদরায় পৌঁছেছিলেন। যে কুস্তিগীরের লড়াই করার কথা ছিল, সে শেষ মুহূর্তে ম্যাচ থেকে প্রত্যাহার করে নেয়, যার ফলে তার পরবর্তী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে পরে ‘বাবা পাহলওয়ান’। ম্যাচটি মাত্র 1 মিনিট 34 সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল, সেবারও মিসেস বানু ম্যাচটি জিতেছিলেন। এরপর মিসেস বানু কুস্তি থেকে অবসর নেন ।

এর পরে, মিসেস বানুর (Hamida Banu) ওজন, উচ্চতা এবং ডায়েট সব কিছু নিয়ে খবর তৈরি হতে থাকে ।

কিন্তু মুম্বাইতে মিসেস চিস্টিলিনকে পরাজিত করার পর, মিসেস বানু রেসলিং থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় । বিবিসি অনুসারে, এটি এমন একটি বিন্দু যেখানে তার জীবন বদলে যায়। তার নাতি ফিরোজ শেখের বয়ান অনুযায়ী , মিসেস বানুর(Hamida Banu)  কোচ সালাম পাহলওয়ান তার ইউরোপে যাওয়া পছন্দ করছিলেন না। সালাম পাহলওয়ান, বানু কে ইউরোপ যাত্রা থেকে আটকাতে চাইছিলো।

তার প্রতিবেশী রাহিল খানের মতে, তার কোচ তাকে মারধর করার পর মিসেস বানুর পা ভেঙে যায় । রাহিল খানের প্রতিবেদনে তিনি বলেন, “তিনি দাঁড়াতে পারছিলেন না। পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন, কিন্তু লাঠি ছাড়া অনেক বছর সে ঠিকমতো হাঁটতে পারেননি”।

হামিদা ছিল আমাদের দেশের গর্ভ। মেয়েদের জন্য ইন্সপিরেশন। আসা করি আমাদের মাঝে এরম আরো হামিদা জন্ম নেবে।

আমাদের সাথে থাকুন আর আমাদের পেজ যতটা সম্ভব শেয়ার করুন।

Visit our another page:https://deepblogs.net/

More you can read :

https://taazakhobor.in/ancient-lost-languages-of-the-world/