Dead body of 348 no. room (৩৪৮ নম্বর কক্ষের দেহ)
টেক্সাসের বিউমন্ট এলাকার এলিগ্যান্ট হোটেলে পাওয়া গেলো রহস্যজনক মৃতদেহ, যা টেক্সাসের পুলিশকে স্তব্ধ করে দেয় ( What happened in room 348) । লাশটা ছিল জনপ্রিয় তেল-ও-গ্যাস এর ব্যবসায়ী ম্যান গ্রেগ ফ্লেনিকেনের , হত্যার কোনো উদ্দেশ্য খুঁজে পায়নি পুলিশ এবং কীভাবে রহস্যজনকভাবে তার মৃত্রু হয় সেটাও পুলিশ কিছু বুঝতে পারছিলো না। পুলিশ এর মতে অদ্ভুত কিছু অভ্যন্তরীণ আঘাত এর চিহ্ন আছে তার দেহে, যেসবের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাননি কেউ । পুলিশের দ্বারা কিছু হবে না ভেবে তার হত্যাকারীকে খুঁজে বের করার জন্য, ফ্লেনিকেনের বিধবা স্ত্রী সুসি, প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর কেন ব্রেনানের কাছে যায়, এরম বহু কেস সে আগেও solve করেছে (Dead body of 348 no. room) ।
গ্রেগ ফ্লেনিকেন হালকা-ফুলকা ভ্রমণ করতে ভালোবাসতেন এবং পরিপাটি জীবনযাপন করতেন। তিনি যেখানেই যেতেন তার হোটেলের ঘরে মেঝেতে তার রোলিং স্যুটকেসটিকে খোলা রেখে ড্রয়ার হিসাবে ব্যবহার করতেন। নিচের দিকের পড়ে ছিল নোংরা কাপড়। শার্টগুলি তিনি উপরের দিকে ঝুলে ছিল । প্রসাধন সামগ্রীগুলি একটি কাপড়ের ভাঁজ করা কেসের পকেটে ছিল যা বাথরুমের একটি তোয়ালে র্যাকের সাথে লাগানো ছিল। তার জীর্ণ বাদামী চামড়ার বুট সারিবদ্ধ ভাবে খুলে রাখা ছিল স্যুটকেসের কাছে , তার বিবর্ণ জিন্স মেঝেতে ফেলে রাখা ছিল (Dead body of 348 no. room) ।
বেশিরভাগ সন্ধ্যায় তিনি হোটেল ঘর (Dead body of 348 no. room) থেকে বের হননি। তিনি এয়ার কন্ডিশনার দিয়ে রুম কে শীতল রাখতে পছন্দ করতেন। তার অ্যাশট্রে, সিগারেটের প্যাক, লাইটার, ব্ল্যাকবেরি, টিভির রিমোট এবং একটি ক্যান্ডি বার সবই তার জায়গা মতো ছিল। টিভি দেখার সময় তিনি ধূমপান করছিলেন। 15 সেপ্টেম্বর, 2010, বুধবারের সেই সন্ধ্যায়, টেক্সাসের এলিগ্যান্ট হোটেলের 348 নম্বর কক্ষে বসে আয়রন ম্যান দেখছিলেন ফ্লেনিকেন ।
গ্রেগ নির্জন একাকী রাতে অভ্যস্ত ছিল। যুবক থাকাকালীন সমুদ্রগামী জাহাজে প্রধান প্রকৌশলী হিসাবে কাজ করতো সে , কয়েক মাস সমুদ্রেও কাটিয়েছিলেন। পরে তিনি দক্ষিণ টেক্সাসে গ্যাস এবং তেল কোম্পানি শুরু করে । প্রতি সোমবার সকালে তিনি লুইসিয়ানার লাফায়েট থেকে তার পিকআপে দুই ঘন্টার ড্রাইভ করে আন্তঃরাজ্য 10-এর পশ্চিম দিকে যেতেন।
সেই বুধবার রাতে, রাত ৭ টার পরে তার সিনেমা দেখার সময় গ্রেগ তার স্ত্রী সুসির কাছ থেকে একটি ই-মেইল পান। সুসি তাতে জিজ্ঞেস করছিলো যে, গ্রেগ ভালো আছে কিনা ( What happened in room 348) ।
পরের দিন সকালে, সুসি ফ্লেনিকেন গ্রেগের অফিসে ফোন করেছিলেন। স্বামী এবং স্ত্রী সাধারণত প্রতিদিন সকালে কথা বলতেন, কিন্তু তিনি গ্রেগ সেই দিন আর ফোনে কল ব্যাক করেননি। সে তার ফোন রিসিভ করছিল না। গ্রেগ যখন সেদিন অফিসে আসে নি, তখন তার অফিসের দুই সহকর্মী হোটেলে চলে আসে এবং তার হোটেলের দরজায় টোকা দেন ( What happened in room 348) ।
কিন্তু হোটেল রুমের ভেতর থেকে কোনো উত্তর আসছিলো না , তাই তারা হোটেলের ম্যানেজারকে রুম খুলতে বলে। তারপর তারা ভেতর গিয়ে যা দেখে তা ছিল ভয়াবহ। তারপর তারা অ্যাম্বুলেন্স এবং বিউমন্ট পুলিশকে খবর দেয় ।
সেখানে তারা মৃত অবস্থায় লাশ দেখতে পায়, লাশ ডিকম্পোজ হতে শুরু হয়েছিল এবং দেহ ফুলে দ্বিগুণ হয়ে গেছিলো, তার বাম হাতের দুটি আঙ্গুলের মাঝে একটি সিগারেটের টুকরো ছিল, আঙুল দুটো শক্ত হয়ে গেছিলো । একটা ব্যতিক্রমী জিনিস যা ছিল, 348 রুমটি উষ্ণ ছিল, যখন গ্রেগ এর লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু গ্রেগ তার রুম সবসময় ঠান্ডা করে রাখতো। লোকটির গায়ের রংও ধূসর নীল হয়ে গেছিল । তার নীল পায়জামার গায়ে একটি ভেজা দাগ ছিল, তবে এটি অস্বাভাবিক কিছু লাগছিলো না ( What happened in room 348) ।
রুমে হাতাপায়ের কোনো চিহ্ন ছিল না। রুমে কোনো কিছুই এলোমেলো ছিল না। গ্রেগ এর শরীরে কোন রক্ত বা স্পষ্ট কোনো ক্ষত ছিল। তাহলে সে মরলো টা কি করে। ফ্লেনিকেনের মানিব্যাগটি এখনও তার জিন্সের পেছনের পকেটেই ছিল এবং যাতে $100 ছিল, তাই ডাকাতি বা চুরির জন্য করা হত্যা সেটাও বলা যায় না।
হোটেলে আশেপাশের ঘরে যারা ছিল তারাও কোনো আওয়াজ শুনতে পায়নি। পুলিশ প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসা করার সাথে সাথে, পুলিশের এও মন্তব্য ছিল যে , সম্ভবত এটি একটি প্রাকৃতিক মৃত্রু । ফ্লেনিকেনের ব্যাগ ভালোভাবে দেখা হয় ,যে কোনো ওষুধ পাওয়া যায় কিনা ,যা তার মৃত্রুর কারণ হতে পারে। কিন্তু এমন কিছুই পাওয়া যায় নি, কারণ সুসির মতে গ্রেগ কখনও ডাক্তারের কাছেই যাননি, আর তার কোনো অসুস্ততাও ছিল না ।
তিনি ছিলেন একগুঁয়ে স্বাধীন মানুষ, এবং স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের সাথে তার যেন কোনো সম্পর্কই ছিল না , তিনি ব্যায়ামও করেননি কখনো । গ্রেগ একজন চেইন-স্মোকার ছিলেন, মানে খুব আসক্ত ধূমপায়ী। এটি প্রমাণ করার জন্য তার বিরক্তিকর কাশি যথেষ্ট ছিল। তাই সুসি এটা বিশ্বাস করতে প্রস্তুত ছিল যে হয়তো ধূমপান করার জন্য ,বা শরীরের যত্ন না নেয়ার জন্য হয়তো গ্রেগের আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ তারপর ময়নাতদন্তের জন্য গ্রেগ ফ্লেনিকেনের দেহ পাঠিয়ে দেয়া হয় ।ময়নাতদন্তের পর ডাক্তাররা যা বলে, তা শুনে পুরো বিশ্ব আচম্বিত হয়ে পড়ে।পোস্টমর্টেম পরীক্ষা পরিচালনা করে দেহের ভিতরে পরিদর্শন করা হলে দেখা যায় ,গ্রেগ এর পুরো শরীরের ভেতরের সব অঙ্গ খুব খারাপ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ছিল, বুকের হাড় ভাঙা ছিল, পেটের আত ফেটে খাবার বেরিয়ে এসেছিল , কোনো ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায়ও শরীরের অভন্তরে এতো খারাপ অবস্থা হয় না। তাহলে গ্রেগ ফ্লেনিকেন যে রুমে একা ছিল তার এইঅবস্থা কি করে ছিল। যার থেকে বোঝা যাচ্ছিলো এটা স্বাভাবিক মৃত্রু তো নয়।
পুলিশ ও ডিটেক্টিভ কেন ব্রেনান খোঁজ নিতে থাকে যে, কে এমন হতে পারে যে গ্রেগ এর হত্যা করবে। কিন্তু গ্রেগ এর এমন কোনো শত্রু ছিল না, যে এমন করবে।কিছুদিন পর পুলিশ জানতে পারে ,ঐদিন রাতে গ্রেগ হোটেল রুমের মাইক্রো ওভেনে পপ corn বানাচ্ছিল, আর একপর্যায়ে তার রুমের ফিউজ উড়ে যায় ,আর রিসেপশন থেকে একটা ছেলে তার রুমে আসে (Dead body of 348 no. room)।
পুলিশের কাছে তখন একটা থিওরী ছিল এইযে, ওই ছেলেটাই হয়তো কোনো কারণে গ্রেগের ওপর হামলা করে।আরেকটা সম্ভবনা ছিল, গ্রেগের সামনের রুম ৩৪৯ নম্বর রুম। সেখানে দুজন নেশাটি মিস্ত্রি ছিল ,সেইদিন রাতে।কিন্তু তদন্তের পর দুটো সম্ভবনাই ভুল বেরোয়।
এই কেস নিয়ে পুলিশ অফিসার আপেল আর ডিটেক্টিভ কেন ব্রেনান একসাথে কাজ করছিলেন। আপেল আর ডিটেক্টিভ কেন ব্রেনান আবার ক্রাইম সিন এ যান , আবার ভালোভাবে সব দেখেন। এবার ডিটেক্টিভ কেন আপেলকে বলেন , আমার মনে হচ্ছে আমি জেনে গেছি গ্রেগ ঠিক কি করে একটা বন্ধ রুমে মারা গেছে। বিউমন্টের হোটেলে কোনো খুন মানে রক্ত ছিল না ( What happened in room 348)।
কেন দুটো থিওরি দেয়, এক হতে পারে, গ্রেগকে অন্য কোথাও পিটিয়ে হত্যা করা হয় , এবং তার দেহকে ঘরে ফিরিয়ে দিয়ে সাবধানে হোটেলের রাখা হয়েছিল, কিন্তু এইক্ষেতে , এতটা প্রহার করলে তার দেহের ওপর তো অনেক চিহ্ন থাকতো , কিন্তু সেরম কিছু তো ছিল না।
তাই এবার ডিটেক্টিভ কেন নিশ্চিত ছিলেন যে , তার দ্বিতীয় থিওরি টাই গ্রেগের জান নিয়েছিল। ডিটেক্টিভ কেন বলে কোনো না কোনো ভাবে রুম নম্বর ৩৪৯ এর ছেলেগুলোই হচ্ছে গ্ৰেগ এর মৃত্রুর কারণ (Dead body of 348 no. room) ।
ডিটেক্টিভ কেন আবার সেই রুম নম্বর ৩৪৯ তে যায় ও কেন দেখতে পায় দেয়ালের একটা জায়গা প্লাস্টার করা, যা হয়তো ৬-৭ মাস আগে করা হয়েছে, আর এইসময়ের আশেপাশেই গ্রেগেরও মৃত্রুও হয়েছিল।পুলিশ আবার সেই নেশাটি দুই ছেলেকে (মিস্ত্রি ) ডেকে পাঠায় ,যারা সেদিন রাতে ৩৪৯ রুমে ছিল।এবার পুলিশের চাপে তাদের একজন সব সত্যি কথা বলে বসে।
তারা ঐদিন খুবই নেশায় ছিল, আর তাদের একজন নেশায় হঠাৎ বন্দুক দিয়ে রুমে গুলি চালিয়ে দেয়, তারপর তারা ভয় পেয়ে যায়, আর দেখে তাদের দেয়াল ফুটো হয়ে বুলেট পাশের রুমে চলে গেছে, কিন্তু পাশের রুম থেকে কোনো আওয়াজ না আসাতে তারা ভেবে নেয় গুলি কারো গায়ে লাগে নি, আর তারা বেঁচে গেছে।এখন কথা হচ্ছে ,গ্রেগের মৃত্রু তো গুলি লেগে হয় নি, তাহলে (Dead body of 348 no. room)।
ব্যাপারটা হয়েছিল এরম, যখন গুলি চলে গ্রেগ ভীষণ ভয় পেয়ে যায় আর ঐজন্য সে দরজার দিকে যেতে চাইছিলো, কিন্তু ভয় এতটাই বেশি ছিল,তার নিউরোন সিস্টেম কাজ করা বন্ধ করে দেয়, ভয়ে তার ব্লাড ভেসেল ফেটে যায়, আর সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে, মাটিতে পড়ার সাথে সাথে গ্রেগের বাকি অর্গান গুলোও ডেমেজ মানে নষ্ট হয়ে যায়।
কেস solve হওয়ার আগে অনেকেই বলছিলো যে,এটা নিচ্ছয় কোনো ভয়ানক আত্মার কাজ, পুলিশ তো তাদের এই বাখ্যা দিয়েছিলো, কিন্তু সত্যি কি রুম নম্বর ৩৪৮ এ ঐরাতে কোনো ভয়াবহ প্যারানরমাল কান্ডকীর্তি হয়েছিল?, কমেন্টে নিজের মতামত জানান (Dead body of 348 no. room)।
More you can visit : https://deepblogs.net/
More You can read:
Kalki 2898 AD Movie Review: The best movie the Indian Cinema(Bollywood) has ever seen.
Strzyga- Polish Vampire-like Creature, all important facts 2024