26 January-History Of Indian Republic Day
২৬ জানুয়ারী ১৯৫০,২১ তোপের সালামির সাথে আমাদের গর্বিত ভারতীয় পতাকা আকাশে উত্তোলনের সাথেই ভারতের রাষ্ট্রপতি Dr.Rajendra Prasad স্বতন্ত্র ভারতের সংবিধান লাঘু করেন। এটা ছিল পুরো বিশ্বের সামনে ভারতের নতুন পদযাত্রার শুরু। এরই সাথে ভারত এর সংবিধান তার গণমান্য ব্যক্তিত্ব যেমন C. Rajagopalachari,Jawaharlal Nehru, Vallabhbhai Patel এদের পায়। মাত্র ৩ বছর পূর্বে স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া ভারতবর্ষ তার স্বতন্ত্র সংবিধান নিয়ে এসে বিশ্বকে তার সপ্রভুত্বর পরিচয় দেয়,যে ভারতও কারো থেকে পিছিয়ে নেয়। কিন্তু ভারতের এই যাত্রা অতটাও সহজ ছিল না। ইতিহাস এর পাতা খুলে দেখলেই তা বোঝা যায়।(26 January-History Of Indian Republic Day)
ইংরেজদের অত্যাচারে অতিষ্ট দেশবাসীর দেশের মুক্তি চাইছিলো এমন সময় ,তারা একটা আসার আলো দেখতে পাই ,ইংরেজরা যখন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারতের কাছে সাহায্যের জন্য গুহার লাগায় ,তখন ভারতবাসী ভেবেছিলো হয়তো ইংরেজরা এই সাহায্যের বদলে আমাদের স্বতন্ত্র করে দেবে। তাই ভারতবাসী এই প্রস্তাব স্বীকার করে আর বিশ্বযুদ্ধে ইংরেজদের সাথে থাকে। কিন্তু তেমনটা হলো না যেমনটা ভাবা হয়েছিল । তারা আবার চাল চালতে লাগলো।(26 January-History Of Indian Republic Day)
স্বাধীনতা তো দিলোই না বরং আরো নতুন নাটকীয় আইন লাঘু করা হলো। যাদের বলা হতো “bharat sarkar adhiniyam 1919” (Act of the British Parliament) । এই আইনের মাদ্ধমে ভারতীয়দের বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছিলো যে ইংরেজরা তাদের অধিকার দিচ্ছে , সুতরাং স্বাধীনতার কথা ছেড়ে দাও। কিন্তু সময় তখন পাল্টে গেছিলো , লোক বুঝে গেছিলো যে ইংরেজদের অত্যাচার আর সহ্য করার করার নয়। ৩ ফেবুয়ারী ১৯২৮ এ Simon Commission আসে ভারতে।(26 January-History Of Indian Republic Day)
সাইমন কমিশন ছিল সাতজন ব্রিটিশ এমপির একটি দল, যা ১৯২৭ সালের ৮ নভেম্বর ভারতের সাংবিধানিক সংস্কার অধ্যয়নের জন্য গঠিত হয়েছিল। ভারতীয় আন্দোলনকারীরা “সাইমন কমিশন ফিরে যাও” স্লোগান দিতে থাকে এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাতে থাকে । কংগ্রেসের পাশাপাশি মুসলিম লীগও সাইমন কমিশনের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল, আসলে সেই সময় দেশকে সবার উপরে রাখা হতো জাতি-ধর্মের চাইতে, একমাত্র ইংরেজদের কূটনীতির কারণেই ভারতবর্ষে ধর্ম নিয়ে দাঙ্গা হলো আর দেশ ভাগের পর্যায় এসে পড়লো , সে যায় হোক ।(26 January-History Of Indian Republic Day)
এই আন্দোলনকে শান্ত করার জন্য ইংরেজরা রাউন্ড টেবিল বৈঠক রাখে। কিন্তু দেশের বরিষ্ঠ নেতারা এখানে অংশ নিতে নারাজ ছিলেন তাই এটা একটা অসফলতা ছিল। এইদিকে ভারতের বরিষ্ঠ নেতারা নিজের রাষ্ট্রের জন্য সংবিধান তৈরী করাও শুরু করে দেয়। তারপর ১৯৩৫ এ আসে “government of india act” । এইদিকে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের মধ্যে মদ্ধকার দ্বন্ধ বাড়তে লাগছিলো।(26 January-History Of Indian Republic Day)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ এর দিকে সব-পার্টির সম্মতিতে সংবিধানের একটা স্বরূপ তৈরী করা হয়ে গেছিলো। তার সাথে আজাদ হিন্দ ফৌজ আর ভারত ছাড়ো আন্দোলন ইংরেজদের ভারতের ওপর শাসনের স্বপ্নকে চুরমার করে দিয়েছিলো।
এই ধামাধামির মাঝেই ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৬ এ নিউ দিল্লির সেমিনার হল এ সংবিধান সভার প্রথম বৈঠক হয়। যেখানে রাষ্ট্রীয় আন্দোলনের সাথে সংযুক্ত প্রায় সকল বড়ো নেতায় উপস্থিত ছিলেন। এইখানে মুসলিমলীগ দেশের দুই ভাগের ব্যপারটাকে বহিস্কার করে। তারপর আসে ওই স্মরণীয় দিন ১৫ই আগস্ট ১৯৪৭, যখন গোলামীর জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ভারত স্বাধীনতার নতুন সকাল দেখে। প্রধানমন্ত্রী Jawaharlal Nehru প্রথমবারের মতো স্বাধীন ভারত কে সম্ভোধন করেন , সকলের মধ্যে এক নতুন উম্মাদনা ভরে যায়।(26 January-History Of Indian Republic Day)
ইতিহাসের পাতায় এই ভাষণ “Tryst with Destiny” হিসেবে স্থান পায়। ৪ নভেম্বর ১৯৪৮ এ ভারতের সংবিধানের শেষ স্বরূপ সবার সামনে রাখা হয়। এইভাবে মোট ২ বছর ১১ মাস পর আমাদের গর্বিত ভারতীয় সংবিধান তৈরী হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো লোকতন্ত্র ভারতীয় সংবিধান, যেটা ছিল অনেক বড়ো ব্যাপার।
অফিসিয়ালভাবে ২৬ নভেম্বর ১৯৪৯ এ সংবিধানকে বাস্তবায়িত করা হয়। আরসংবিধান লাঘু করার জন্য ২৬ জানুয়ারি তারিখ বেছে নেয়া হয়। ২৬ জানুয়ারি ১৯৫০ ছিল ঐ ঐতিহাসিক দিন যেদিন Rajagopalachari নিজের শব্দে ভারতকে স্বতন্ত্র লোকতান্ত্রিক গণতন্ত্র ঘোষিত করে।(26 January-History Of Indian Republic Day)
আজ এই পযন্ত , আজকের ব্লগ ভালো লাগলে শেয়ার করুন।(26 January-History Of Indian Republic Day)
More You can visit: https://deepblogs.net/
More You can read:
https://taazakhobor.in/prajwal-revanna-and-viral-video/
https://taazakhobor.in/russia-trade-isolation-grows-as-china-cuts-payments/
https://taazakhobor.in/santanu-thakurs-big-statement-on-caa/